আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

আমি একজন শিক্ষার্থী। একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিলাম ১ বছরের কোর্স এ। সেখানে ভর্তি ফি অনেক ছিল আমার সাধ্যের চেয়েও অনেক বেশি। আমি আগেই জানিয়েছিলাম আমার পক্ষে একসাথে সব টাকা দেয়া সম্ভব না। আমি ১ বছরে ভেঙ্গে ভেঙ্গে দিবো এবং তাতে তারা সম্মতি প্রকাশ করেন। ৩ মাস ক্লাস হবার পর তারা হুট করেই জানান তারা ৬ মাসে কোর্স শেষ করে দিবেন, ৮ মাসের মাথায় পরীক্ষা হবে। পরীক্ষায় বসার আগে সব টাকা পরিশোধ করে তারপর বসতে হবে। আমি অর্ধেক টাকা পরিশোধ করেছি।সব ক্লাস নিয়মিত করা হয়েছে, পরীক্ষার আগে জানতে পারি, যেই সার্টিফিকেট দেয়া হবে সেটা আসলে অন্য কোথাও কাজে লাগানো যাবে না। কিন্তু যেই পরিমাণ টাকা ছিল কোর্সের, সেই টাকা দিয়ে অন্য জায়গায় ভালো মানের একটা সার্টিফিকেট পাওয়া যেত, যা দিয়ে বাস্তবিক জীবনে ব্যবহার করতে পারতাম।

কোর্স এ ভর্তির আগে বলা হয়েছিল ভিডিও, ক্লাস নোট সব ক্লাস শেষে সাথে সাথে দিয়ে দেয়া হবে কিন্তু ক্লাস রেকর্ড অনেক দিন পর দেয়া হয়েছে এবং কিছু নির্দিষ্ট সময় পর সেগুলো কেটে দেয়া হবে।

পরীক্ষার ১০ দিন আগে ক্লাস নোট দেয়া হয়েছে, পরীক্ষার পর সেগুলো কেটে দেয়া হবে। এসব ব্যাপার ভর্তির আগে আমাদের জানানো হয়নি।
আমি পরবর্তী তে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করিনি, কারণ আমার হাতে টাকা ছিলোনা। এবং প্রতিষ্ঠান থেকে বলা হয়েছিলো টাকা পরিশোধ না করলে পরীক্ষায় বসা যাবেনা।

এখন বাকি টাকা পরিশোধ না করলে কি আমি গুনাহগার হব? (উল্লেখ্য টাকা পরিশোধ করলেও তারা আমাকে আর পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দিবেন না, কারন তারা বার বার পরীক্ষার আগে জানিয়েছেন পরবর্তীতে এমন সুযোগ দেয়া হবেনা)

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
حدثنا الحسن بن علي الخلال حدثنا أبو عامر العقدي حدثنا كثير بن عبد الله بن عمرو بن عوف المزني عن أبيه عن جده أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الصلح جائز بين المسلمين إلا صلحا حرم حلالا أو أحل حراما والمسلمون على شروطهم إلا شرطا حرم حلالا أو أحل حراما قال أبو عيسى هذا حديث حسن صحيح
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলমানদের একে অপরের সাথে সন্ধি স্থাপন করা জায়িয। কিন্তু বৈধকে অবৈধ অথবা অবৈধকে বৈধ করার মত সন্ধি চুক্তি জায়িয নেই। মুসলমানগণ তাদের একে অপরের মধ্যে স্থিরকৃত শর্তাবলী মেনে চলতে বাধ্য। কিন্তু হালালকে হারাম অথবা হারামকে হালাল করার মত শর্ত বৈধ নয় (তা বাতিল বলে গণ্য হবে)।(জা'মে তিরমিযি-১৩৫২, পৃষ্টা-৪৮৭, সুনানু ইবনু মা'জাহ-২৩৫৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
চুক্তির বিপরীত কাজ করা ওদের জন্য জায়েয হয়নি। আপনি তাদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনে দুইজন মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...