আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
342 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্
ইসলামি শরয়া মুতাবেক আমার ৪-১১-২০২১ ইং বিয়ে হয়
ছেলের মানসিক ও শারীরিক সমস্যার কারণে থাকা সম্ভব হচ্ছিল না বিধায় আমার মা বিয়ের প্রায় দুই মাস পর আমাকে নিয়ে এক কাজীর কাছে গিয়ে তিনটা কাগজে  সাইন দিয়ে চলে আসি তালাক সম্পর্কে ধারণা না থাকায় ওই কাগজগুলোতে কি লেখা ছিল সেটাও খেয়াল করিনি
কিন্তু এখন তালাকের মাসআলা সম্পর্কে অবগত হাওয়ায় আমি চমার বিসয়টা নিয়ে খুবি পেরেশানির মধ্যে আছি
ছেলে একদিন ফোন করে বলেছিল আমি তালাক দেয়নি আমার কাছে কোনও কাগজও আসে নি  সে নাকি জীবনেও তালাক দিবে না এই কথা বলে কিন্তু সে আমার কোন খোঁজ খবর এবং ভরণপোষণ কোন কিছুই দেয় নাই

আমি কিছুদিন আগে কোন এক কাজীর মাধ্যমে জানতে পারি কাবিননামায় ১৮নং শর্তে স্বামীর  অনুমতি ছাড়াই কাজীরা কতিপয় কারনে স্ত্রীর তালাকের অধিকার দিয়ে দেয় সরকারি আইন হওয়ার কারণে

এহেন পরিস্থিতিতে আমার কি করণীয় আমার বাবা নাই মারা গেছে আমার মা আছে আমার মাকে বললে বিষয়টা গুরুত্ব দেয় না এদিকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে

দ্রুত মাসআলাটা জানিয়ে পেরেশানি মুক্ত করবেন ইনশাআল্লাহ

আল্লাহ আপনাদের আরো বেশি দ্বীনি মেহনত করার তাওফিক দান করুক

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।

আরো জানুনঃ- 

★শরীয়তের বিধান হলো স্বামী যদি জেনে শুনে নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দেয়, অথবা সেখানে কাজী সাহেব বা অন্য কেহ হ্যাঁ লিখে দেয়,আর স্বামী তাহা জেনে শুনে নিচে স্বাক্ষর দেয়,আর এই নিকাহ নামা বিবাহের ইজাব কবুল হওয়ার পরে যদি লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবে। 

তবে যদি এমনটি না হয়,স্বামী যদি না জেনেই নিচে সাইন করে,সে যদি তালাকের ক্ষমতা প্রদানের এই বিষয় সম্পর্কে স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা,অথবা এই নিকাহ নামা যদি বিবাহের ইজাব কবুল হওয়ার আগে লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবেনা।
 
كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى الطلاق بالكتابة-1/379، المحيط البرهانى، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-4/486، تاتارخانية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-3/380)
সারমর্মঃ
প্রত্যেক ঐ লেখা,যেটা নিজ হাত দিয়ে লিখেনি,নিজের মন সেদিকে ঝুকেওনি,তাহলে তালাক পতিত হবেনা।
যদি সে এটা স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা।    

সুতরাং  যদি স্বামীর দস্তখত করার সময় জানা থাকে যে, কাজী স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দিয়েছে মর্মে উপরে লিখে দিয়েছে, একথা জানার পরও যদি স্বামী উক্ত কাগজের নিচে সাইন করে, তাহলে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দেয়া হয়েছে বলে সাব্যস্ত হবে। সেই হিসেবে স্ত্রী যদি পরবর্তীতে নিজের উপর তালাক পতিত করে থাকে, তাহলে তালাক পতিত হয়ে যায়।

আরো জানুনঃ 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাদের বিবাহের কাবিননামায় স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয়া না থাকলে তো আপনি তালাকের অধিকারই পাবেননা।

আর যদি সেই কাবিননামায় স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয়া লেখা থাকে,সেক্ষেত্রে ১৮ নং ধারার বিষয় না জেনে না শুনে আপনার স্বামী ইজাব কবুলের পরেও সাইন করে থাকলে আপনি তালাকের অধিকার পাবেননা।

হ্যাঁ যদি তিনি ১৮ নং ধারার বিষয় জেনে শুনেই নিচে সাইন করে,এক্ষেত্রে তিনি আসলেই ইজাব কবুলের আগে সাইন করেছিলেন না কি ইজাব কবুলের পরে?
বিষয়টি স্বামী থেকে জেনে নিতে হবে।
স্বামী মনে করতে না পারলে তিনি উক্ত বিবাহের সাক্ষীদের সহায়তা নিবেন,তারাও মনে করতে না পারলে সেখান আর যারা উপস্থিত ছিলো কাজী সাহেব সহ সকলের সহায়তা নিবে।

তারা যেটি বলবে,সেটির উপরেই নির্ভর করবে যে আপনি তালাকের অধিকার পেয়েছেন কিনা?

★উপরে উল্লেখিত সবকিছু মিলিয়ে যদি আপনি তালাকের অধিকার পেয়েও থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনি যে তিনটি কাগজে সাইন করে তালাক প্রদান করেছেন,সেই কাগজ গুলি বা তার ফটোকপি ঐ কাজীর সাথে যোগাযোগ করে নিয়ে আসতে হবে।

যদি সেই তালাক নামায় স্বামীকে তালাক দেয়ার কথা উল্লেখ থাকে,সেক্ষেত্রে আপনার তালাক পতিত হবেনা।  এক্ষেত্রে আপনার স্বামীর কাছেই ফিরিয়ে যেতে হবে।
আপনার মা কোনোক্রমেই ফিরিয়ে দিতে রাজী না হলে সেক্ষেত্রে আদালতের মাধ্যমে খোলা করতে পারেন।

★আর যদি সেই তালাক নামায় নিজের নফসের উপর তালাক প্রদানের কথা উল্লেখ থাকে,সেক্ষেত্রে স্বামীর নিকট তালাকনামা না পৌছলেও তালাক পতিত হয়ে গিয়েছে।
এক্ষেত্রে ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার পর আপনি অন্যত্রে বিবাহ বসতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
reshown by
ঐ কাগজ আছে ওই কাগজে আছে আমার স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়াই আমি সেচ্ছায় বায়েন তালাক প্রদান করিয়া বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করিলাম, আমার কাবিননামায় ১৮ নং শর্তে দেওয়া আছে ভরনপোষণ না দিতে পারলে  অন্যায় কষ্ট দিলে স্ত্রীর ইখতেয়ার আছে, কিন্তু আমি জানিনা তিনি অর্থাৎ যার সাথে বিয়ে হয়ছে ওনি অনুমতি দিছেন কি না, আমার জানার উপায়ও নাই আমি অনেক চেষ্টা করছি পায়না, কারো সাথে এি সব বিষয়ে বললে হাসে এন্ড কথা শুনায়।
আমি তো ওইখানে যায়তে চায় না, আমার মায়েরে তালাক না হওয়ার ব্যাপারে কো কথা বললে গুরুত্ব দেয় না এইসব কথা শুনলে তিনিও বকেন রাগ করেন।
বমার স্বামীর সত্যিকার অর্থেই মানসিক সমস্যা ছিল এন্ড ফিউজিক্যালিও। 
আমার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করে ফেলছে।
আর এদিক দিয়ে আমি অনেক পেরেশানির মধ্যে আছি।
এক মুফতি বলছে শারীরিক সমস্যার কারণে স্ত্রী তালাক দিতে পারবে।
আমাকে শরয়ী মোতাবেক এমন সিদ্ধান্তঃ দিলে ভালো হয় যেটা আমার পেরেশানি মুক্তির কারণ হবে এন্ড আমার জন্য সহজ হবে।

জাঝাকাল্লাহু ফিদ দারাইন।
by (3 points)
আর যদি সেই তালাক নামায় নিজের নফসের উপর তালাক প্রদানের কথা উল্লেখ থাকে,সেক্ষেত্রে স্বামীর নিকট তালাকনামা না পৌছলেও তালাক পতিত হয়ে গিয়েছে।
এক্ষেত্রে ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার পর আপনি অন্যত্রে বিবাহ বসতে পারবেন।

স্ত্রীকে তালাকের অধিকার না দিলেও কি এই বিধান কার্যকর হবে, ওই ডিভোর্স পেপারের লেখাগুলো এরকম, স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় সেচ্ছায় সজ্ঞানে নিজ প্রতি তালাক বায়েনের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করিলাম।
হাতের লেখা আছিলো বিধায় পুরোটানবুঝতে পারি নাইঅবেক চেষ্টা করার পরে বুঝলাম।

মেহেরবানি করে উত্তর টা দিলে খুবি উপকার হতো ইনশাআল্লাহ। 
by (559,140 points)
আপনার নিকাহনামার ১৮ নং ধারাতে আপনাকে যে তালাকের অধিকার দেয়া আছে,সেই অধিকারের বিষয় জেনে শুনে আপনার স্বামী ইজাব কবুলের পরে উক্ত নিকাহ নামায় সাইন করে থাকলে,এবং শর্তমাফিক তিনি যদি আপনাকে ভরনপোষণ না দিয়ে থাকে,অথবা অন্যায় ভাবে কষ্ট দিয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে কমেন্টের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে তালাক পতিত হবে। 

অন্যথায় তালাক পতিত হবেনা।
by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়রাকাতুহ্ 
মেহেরবানী করে বিষয়টা জানালে খুবি উপকার হতো
আমার বিয়ের কাবিননাময় ১৮ নং শর্তে সাইন দিয়েছিল ইজাব কুলের আগে আর সে মনে হয় সে সম্পর্কেও জ্ঞাতও ছিলো না আমি বমার দুলাভাইয়ের মাধ্যমে জানতে পারি, আমার যার সাথে বিয়ে হয়েছিলো সে কিছুই বলতে পারে না কেউ কিছু শিখিয়ে না দিলে,  তার কাছে আমার কাকা গিয়েছিল আমার পীড়াপীড়িতে তিনি গিয়ে দেখেন সে বাড়িতে ছিল না পাগলামির কারণে নাকি আইসিওতে আছে এখন পরে আমার ডিভোর্সের কাগজে ওর ভাইয়ের সাইন নিয়ে আসছে কাকা।
আমি এই বিষয়টা কেমনে সুরাহ করবো অনুগ্রহ করে জানিয়ে আমাকে চিন্তামুক্ত করবেন।
by (559,140 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

উপরোক্ত বিবরণ মতে আপনি তালাকের অধিকার পাননি।
ডিভোর্স এর কাগজে ইচ্ছাকৃতভাবে আপনার স্বামী সাইন করে থাকলে এক্ষেত্রে তালাক হবে।

যদি জবরদস্তি মূলক সাইন নেয়া হয়,বা তার নামে অন্য কেউ সাইন দিয়ে দেয়,অথচ সে জানেইনা,সেক্ষেত্রে তালাক পতিত হবেনা। 
by (3 points)
 আমি জোর করছি বলতে আমাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিতে চায়তাছে তাই আমি বলছি সে মুখ দিয়ে তালাক না দিলে আমি বিয়ে বসবোনা তারপর দুলাভাইয়রে বলছে পরে আমার মায়েরে বুঝায়ছে পরে আমার মা আমার কাকারে ফোন দিয়ে যায়তে বলছে পরে আমার কাকা গেছে তাদের ওখানে আরেকদিন গিয়ে ঘুরে আসছে সে বাড়ি ছিল না সে নাকি পাগলামি করছিল পরে অনেক মারসে তাই হসপিটালে ছিল সে তখনও পরে দ্বিতীয় বার যেয়েও পায় নাই শুনে আসে সে আইসিওতে ভর্তি
 **আমরা প্রথমে কাজীর কাছে যাওয়ার আগে ওদেরকে আসতে বলছিলো আমাদের ওখানে সে আমাদের বাড়িতে ছিল যখন কিন্তু তাদের বাড়ির লোক আসে নাই ওরে (স্বামী) কিছু  জিগায়লে চুপ থাকে ওরে যেকোন বিষয় জিগায়ইলেই চুপ থাকে কিছু বলে না সবসময় , আমাদের বাড়িতে ছিল যখন তখন  আমরা তাকে গাড়িতে তুলে দিয়ে আসি বিয়ে হওয়ার পর পর সময়ে প্পরায় দেড় মাস, পরে আমার মা এর কিছুদিন পর কাজীর কাছে যায় , ছেলের গার্ডিয়ান কেউ আসে নাই দেখে, আমি জানলে যায়তাম না কাজীর কাছে,   যে এমনে দিলে তালাক হবে না, এখন খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি এই বিষয় নিয়ে বিভিন্ন  কারণে আমার এই কথা অর্থাৎ তালাক না হওয়ার কথা শুনতেই চায় না, বিভিন্য ধরণের কথা শুনাই যে ডিভোর্সের আড়াই বছর পর তর মনে হয়ছে আরও অনেক কিছু বলে অনেকে, এখন খুবি খুবি টেনশনে আছি, জোর করে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেয় এখনো সঠিক ফয়সালা পাচ্ছি না তাই, আপনাদের আমার বিষয় নিয়ে বারবার বিরক্ত করে কষ্ট দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে খুবি দুঃখিত,  আফওয়ান। 
جزاكم الله خيرا فى الدرين

by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্। 
  
আমার যার সাথে বিয়ে হয়ছিল তার  মানসিক সমস্যা এখন খুবি শোচনীয়,  আগে তার ভাইয়েরা স্বল্প কিছু চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করার কারণে এত পাগলামি করতো না চুপচাপ থাকতো কিছু বলতো করতো না এখন চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেওয়ায় সে অনেক পাগলামি করছে ইদানীং মানুষদের লাঠি দিয়ে মারপিট করে আরোও বিভিন্ন ধরণের পাগলামি করে এখন আমি তার কাছ থেকে তালাক কেমনে আদায় করবো?
আমার চাচা তাদের এখানে একদিন গিয়ে তাকে বাড়ি পায়নি সে হসপিটালে ভর্তি ছিল পরে তার এক ভাইকে বলছে তালাক হয়নি পরে তার এক বড় ভাইয়ের কাছ থেকে দস্তখত আনছে, যে কাজী বিয়ে পড়াইছে তিনিও বলে এই পাগলের আবার কিসের তালাক,
এখন আমি কি করলে অন্যত্রে বিয়ে বৈধ হবে?
মেহেরবানি করে জানালে খুবি উপকৃত হতাম ইনশাআল্লাহ, 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...