আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
129 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)

আমি আমার বোনের বিয়েতে তার পক্ষের সাক্ষী ছিলাম যখন বিয়ে পড়ানো শুরু হয় আমি এবং আমার বাবা কোনো কারণে সেখানে উপস্থিত ছিলাম না আমার বোন যখন কবুল বলে সেই পার্ট টা আমি এবং আমার বাবা নিজ চোখে দেখিনি তবে অন্যদের কাছে শুনেসি

ছেলেকে যখন বলা হয় অমুকের মেয়ে তমুককে তোমার সাথে বিবাহ দিতে চায়, তুমি রাজি কিনা এই কথা গুলো আমার মামা বলেছিলেন এই কথা গুলো বলার সময় এবং ছেলে কবুল বলার সময় পুরো সময়টায় আমি এবং আমার বাবা উপস্থিত ছিলাম

মেয়ে পক্ষের বাকি ১ জন এবং ছেলের পক্ষের ২ জন সাক্ষী পুরোটা সময় উপস্থিত ছিলেন এছাড়া আরো অনেক পূর্ণ বয়স্ক মুসলিম পুরুষ, নারী পুরোটা সময় উপস্থিত ছিলেন


আমি এবং আমার বাবার পুরো সম্মতি ছিল এই বিয়েতে কোনো এক কারণে আমরা দুইজন উপরে উল্লেখিত সময়ে উপস্থিত থাকতে পারি নিএখন বিয়ে কি শুদ্ধ হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, 

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।

আরো জানুনঃ- 

فتاوی شامی
"(كما للوكيل) 
الذي وكلته أن يزوجها على نفسه فإن له (ذلك) فيكون أصيلًا من جانب وكيلًا من آخر."
(رد المحتار3/ 98ط:سعيد)
সারমর্মঃ-
(উকিল) যাকে উকিল বানানো হয়েছে উক্ত মহিলাকে নিজের সাথে বিবাহ দিয়ে দেয়ার জন্য,তাহলে তার জন্য এভাবে বিবাহের অধিকার আছে।

بدائع الصنائع
"الحرة البالغة العاقلة إذا زوجت نفسها من رجل أو وكلت رجلاً بالتزويج فتزوجها أو زوجها فضولي فأجازت جاز في قول أبي حنيفة وزفر وأبي يوسف الأول سواء زوجت نفسها من كفء أو غير كفء بمهر وافر أو قاصر غير أنها إذا زوجت نفسها من غير كفء فللأولياء حق الاعتراض".
 (2/ 247،کتاب النکاح، فصل ولایۃ الندب والاستحباب فی النکاح، ط: سعید )
সারমর্মঃ-
আযাদ সুস্থ বিবেক সম্পন্ন বালেগাহ নারী যদি নিজেকে কোনো পুরুষের সাথে বিবাহ দিয়ে দেয়,অথবা বলে যে আমি তোমাকে বিবাহের জন্য উকিল বানালাম,এক্ষেত্রে সে যদি তাকে বিবাহ দিয়ে দেয়,অথবা নিজেই তাকে বিবাহ করে নেয়,আর মহিলাটি অনুমতি দেয়,তাহলে এই বিবাহ বৈধ।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বোন থেকে যখন ইজাব নেয়া হয়েছিলো,তখন সেখানে কি আপনার মামা উপস্থিত ছিলো?
অথবা আপনার বোনকে যে ব্যাক্তি বিবাহের ইজাবের কথা বলেছিলো,সে কি আপনার মামাকে উকিল বানিয়েছিলো?
যদি তাই হয়,তাহলে এই বিবাহ সম্পুর্ন হয়ে গিয়েছে।

★আর যদি সেখানে আপনার মামা উপস্থিত না থাকে,আপনার বোনের পক্ষ থেকে উকিলও যদি না হয়ে থাকে ,সেক্ষেত্রে আপনার মামা মেয়ের উকিল না হয়েই বিবাহ পড়িয়েছে।

সুতরাং এমতাবস্থায় বিবাহটি মওকুফ থাকবে।
আপনার বোন বিবাহের অনুমতি দেয়া মাত্র বিবাহ হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...