জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সুরা ইয়াসিন এ ৭ মুবিন পড়া সংক্রান্ত কোনো ফজিলত কুরআন হাদীসে পাইনি।
এটা সমাজে প্রচলিত রয়েছে।
তবে সম্পূর্ণ সুরা ইয়াসিন পাঠের ফজিলত হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত।
,
তিরমিযি শরীফে এসেছে
" إن لكل شيء قلبا وقلب القرآن يس ومن قرأ يس كتب الله له بقراءتها قراءة القرآن عشر مرات". ( سنن الترمذي، فضل يس، رقم:2887)
‘‘প্রত্যেক বস্তুর একটি হৃদয় রয়েছে, আর কুরআনে হৃদয় হচ্ছে ‘ইয়াসিন’। যে ব্যক্তি ‘ইয়াসিন’ পড়বে আল্লাহ তার আমলনামায় দশবার পূর্ণ কুরআন পড়ার নেকী দান করবেন।
দারেমী শরীফে এসেছেঃ
عن عطاء بن أبي رباحٍ قال: بلغني أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: من قرأ یٰٓس في صدر النہار قضیت حوائجہ۔ (رواہ الدارمي) (فضائل اعمال / فضائل قرآن ۱؍۵۲ إشاعۃ دینیات دہلي)
হজরত আতা বিন আবি রাবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন আমি শুনেছি যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দিনের বেলায় সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে, তার সব হাজত (প্রয়োজন) পূর্ণ করা হবে।’
অন্যত্রে এসেছেঃ
عن شہر بن حوشب قال: قال ابن عباس رضي اللّٰہ عنہ : من قرأ یٰسٓ حین یصبح، أعطي یسر یومہ حتی یمسي، ومن قرأ ہا في صدر لیلۃ أعطي یسر لیلتہ حتی یصبح۔ (المسند للإمام الدارمي، بحوالہ: أحکام القرآن للقرطبي ۲؍۱۵)
হজরত ইয়াহইয়া ইবনে কাসির রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে-স্বস্তিতে থাকবে। যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে।’
عن جندب بن عبد اللّٰہ رضي اللّٰہ عنہ قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: من قرأ یسٓ في لیلۃ ابتغاء وجہ اللّٰہ غفرلہ۔ (رواہ ابن السني، عمل الیوم الولیلۃ ۶۷۴، الترغیب والترہیب مکمل ص: ۳۶۳ رقم: ۲۴۶۶ بیت الأفکار الدولیۃ)
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে রাতে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে, আল্লাহ তার ওই রাতের সব গোনাহ মাফ করে দেবেন।’
عن أنس رضي اللّٰہ عنہ قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: إن لکل شيء قلبًا وقلب القرآن یٰسٓ، ومن قرأ یٰسٓ کتب اللّٰہ لہ بقراء ۃ القرآن عشر مراتٍ، زاد في روایۃ: دون یٰسٓ۔ (الترغیب والترہیب ۲؍۲۵۴ رقم: ۲۱۷۵)
۔হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘প্রত্যেক বস্তুরই একটা হৃদয় থাকে আর কুরআনের হৃদয় হল সুরা ইয়াসিন। যে ব্যক্তি সুরা ইয়াসিন একবার পড়বে, মহান আল্লাহ তাকে দশবার পুরো কুরআন পড়ার সওয়াব দান করবেন।’
عن أنس رضي اللّٰہ عنہ أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: من دخل المقابر فقرأ سورۃ یسین خفف اللّٰہ عنہ وکان لہ بعدد من فیہا حسنات۔ (شرح الصدور ۳۰۴)
হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত রাসুল সাঃ বলেছেন,যে ব্যাক্তি কবরস্থানে প্রবেশ করে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করে,আল্লাহ তায়ালা কবর বাসীর আযাব হালকা করে দেন,এবং তার জন্য নির্দিষ্ট পরিমান ছওয়াব লেখা হয়। .
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০২)
তাকে বন্ধরুপে গ্রহন করতে পারবেনা।
এমনিতেই কুশলাদি বিনিময় করতে পারবে।
দাওয়াতের নিয়তে ঘনিষ্ঠ হতে পারবে,তবে মন থেকে বন্ধু বানানো যাবেনা।
(০৩)
টাখনুর নিচে পায়ের পাতা খোলা রাখতে পারবে।
তবে টাখনু হতে ঢেকে রাখতে হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৪)
এক্ষেত্রে তাতে যদি কুরআনের আয়াত/ আল্লাহর নাম/দুআয়ে মাসুরা বা শিরকমুক্ত আরবি অর্থবোধক কিছু পড়ে ফুক দিলে আকীদা বিশুদ্ধ রেখে (অর্থাৎ মুয়াসসার বিজজাত তথা আরোগ্যের ক্ষমতা আল্লাহ তাআলাকেই মনে করে) তাহা ব্যবহার করা যাবে।
অন্যথায় তাহা ব্যবহার করা যাবেনা।
কিছু আলেমের মতে সর্বাবস্থায় তাহা নাজায়েজ।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★আল্লাহর নিকট বা বান্দার নিকট বিশেষ কোন প্রয়োজন হলে কিংবা শারীরিক মানসিক যে কোন পেরেসানী দেখা দিলে উত্তমভাবে উযু করে দুই রাকাত নফল নামায পড়বে। অতঃপর আল্লাহর হামদ ও ছানা (প্রসংসা) এবং দরুদ শরীফ পাঠ করে আল্লাহর নিকট দোয়া করবে।
বিশেষভাবে হাদীস শরীফে নিন্মোক্ত দুয়া পাঠের বর্ণনা আছেঃ-
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ الْحَلِيْمُ الْكَرِيْمُ سُبْحَانَ اللهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ الْحَمْدُ ِللهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ. اَسْأَلُكَ مُوْجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالْغَنِيْمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ وَالسَّلاَمَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ لاَتَدَعْ لَنَا ذَنْبًا إِلاَّ غَفَرْتَهُ وَلاَ هَمًّا إِلاَّ فَرَّجْتَهُ وَلاَ حَاجَةً هِىَ لَكَ رِضَا إِلاَّ قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম। সুবহানাল্লাহি রব্বিল আরশিল আযীম। আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন। আছআলুকা মু’জিবাতি রহমাতিকা অয়া আযা- ইমা মাগফিরাতিকা অয়াল গ’নিমাতা মিন কুল্লি বিররিউ অয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন লা তাদা’লানা- যাম্বান ইল্লা গাফারতাহু ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু অয়ালা হাজাতান হিয়া লাকা রিযান ইল্লা কযাইতাহা ইয়া আর হামার রাহিমিন।
অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি ধৈর্যশীল ও মহামহিম। মহান আরশের মালিক আল্লাহ তা’আলা খুবই পবিত্র। সকল প্রশংসা সারা বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহ তা’আলার জন্য। (হে আল্লাহ!) আমি তোমার নিকট তোমার রহমত লাভের উপায়সমূহ, তোমার ক্ষমা লাভের কঠিন ওয়াদা, প্রত্যেক ভাল কাজের ঐশ্বর্য এবং সকল খারাপ কাজ হতে নিরাপত্তা চাইছি। হে মহা অনুগ্রহকারী! আমার প্রতিটি অপরাধ ক্ষমা কর, আমার প্রতিটি দুশ্চিন্তা দূর করে দাও এবং যে প্রয়োজন ও চাহিদা তোমার সন্তোষ লাভের কারণ হয় তা পরিপূর্ণ করে দাও
(জামে’ আত-তিরমিজি হাদিস নাম্বারঃ ৪৭৯, সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস নাম্বারঃ ১৩৮৪, নাসায়ী)