ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নারী পুরুষের বিবাহ বহির্ভূত শারিরিক সম্পর্ক, দেখা সাক্ষাৎ সবকিছুই হারাম। এতে কোনো প্রকার সন্দেহ নাই। বিবাহ বহির্ভূত শারিরিক সম্পর্ককে ইসলাম যিনা ব্যভিচার বলেই আখ্যায়িত করেছে। কেউ এমনটা করলে মারাত্বক পর্যায়ের গোনাহ হবে,তাকে তাওবাহ ইস্তেগফার করতে হবে।
যিনা ব্যভিচারের কারণে যদি গর্ভে সন্তান চলে আসে, তাহলে এই গর্ভাবস্থায় যিনাকারী ব্যক্তিটির সাথে বিয়ে-শাদি নাজায়েয হবে না। বিয়ের ৬ মাসের পর যদি বাচ্ছা ভুমিষ্ট হয়, তাহলে স্বামীর দিকেই সন্তানের নসব প্রমাণিত থাকবে। কিন্তু যদি বিয়ের ৬ মাসের পূর্বে সন্তান ভূমিষ্ট হয়ে যায়, তাহলে উক্ত সন্তানের নসব স্বামী থেকে প্রমাণিত থাকবে না। হ্যা, তখন যদি যিনাকারী ব্যক্তিটি যিনার কথা উল্লেখ না করে,নিজের সন্তান বলে স্বীকার করে নেয়, তাহলে (কাযাআন) তখন ঐ সন্তানের নসব যিনাকারী ব্যক্তি থেকে প্রমাণিত হয়ে যাবে।(তখন মনে করা হবে যে, ৬ মাস পরেই ভূমিষ্ট হয়েছে)
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (3/ 49):
"لو نكحها الزاني حل له وطؤها اتفاقاً، والولد له ولزمه النفقة.
(قوله: والولد له) أي إن جاءت بعد النكاح لستة أشهر، مختارات النوازل، فلو لأقل من ستة أشهر من وقت النكاح لايثبت النسب، ولايرث منه إلا أن يقول: هذا الولد مني، ولايقول: من الزنى، خانية. والظاهر أن هذا من حيث القضاء، أما من حيث الديانة فلايجوز له أن يدعيه؛ لأن الشرع قطع نسبه منه، فلايحل له استلحاقه به، ولذا لو صرح بأنه من الزنى لايثبت قضاءً أيضاً، وإنما يثبت لو لم يصرح؛ لاحتمال كونه بعقد سابق أو بشبهة حملاً لحال المسلم على الصلاح، وكذا ثبوته مطلقاً إذا جاءت به لستة أشهر من النكاح؛ لاحتمال علوقه بعد العقد، وأن ما قبل العقد كان انتفاخاً لا حملاً، ويحتاط في إثبات النسب ما أمكن".