আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
আমি একজন পুরুষ ডাক্তার।আমি এনেস্থিসিয়া তে ক্যারিয়ার করতে চাচ্ছি।কিন্ত বেশিরভাগ সময়ে আমাকে মহিলাদের সিজারিয়ান সেকশন অপারেশনে আমাকে এনেস্থিসিয়া দিতে হবে।সেক্ষেত্রে,এনেস্থিসিয়া দেয়ার জন্য মহিলাদের আওরাহ উন্মুক্ত করার প্রয়োজন পড়বে।তাহলে,আমার ইনকাম কি হারাম হবে /আমার গুণাহ হবে কি না।যদি আল্লাহর অসন্তোষ্টিজনক কাজ হয়,আমি এনেস্থেসিয়াতে ক্যারিয়ার করবো না।এমতাবস্থায়,আপনার মতামত জানতে চাচ্ছি।জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (713,920 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইবনে আবেদীন শামী রাহ, এর নিম্নোক্ত আলোচনা অতিলক্ষণীয়................. 
إذا كان المرض في سائر بدنها غير الفرج يجوز النظر إليه عند الدواء، لأنه موضع ضرورة، وإن كان في موضع الفرج، فينبغي أن يعلم امرأة تداويها فإن لم توجد وخافوا عليها أن تهلك أو يصيبها وجع لا تحتمله يستروا منها كل شيء إلا موضع العلة ثم يداويها الرجل ويغض بصره ما استطاع إلا عن موضع الجرح اهـ فتأمل والظاهر أن " ينبغي " هنا للوجوب
যদি কোনো মহিলার স্ত্রী লিঙ্গ ব্যতীত সমস্ত শরীরে রোগ হয়ে যায়, তাহলে পুরুষ ডাক্তারের জন্য উক্ত মহিলার সমস্ত শরীরে দৃষ্টি দেয়া জায়েয আছে।কেননা তখন চিকিৎসার স্বার্থে দেখাটা অতি প্রয়োজনীয় হয়ে যায়।আর যদি রোগ স্ত্রী লিঙ্গে(লজ্জাস্থানে) থাকে,তখন ওয়াজিব হয়ে যায়, কোনো মহিলাকে ডাক্তারি শিক্ষা দেওয়া, যে মহিলা পরবর্তিতে উক্ত মহিলার চিকিৎসা করবে।কিন্তু যদি কোনো মহিলা না পাওয়া যায় বা দেরী হলে উক্ত মহিলার রোগ বেড়ে যাবে বা মহিলা মারা যাবে,তখন রোগাক্রান্ত লজ্জাস্থান ব্যতীত উক্ত মহিলার সমস্ত শরীর ঢেকে দেওয়া হবে,অতঃপর  পুরুষ ডাক্তার উক্ত মহিলার রোগাক্রান্ত লজ্জাস্থানের চিকিৎসা করবে।তবে চিকিৎসা করার সময় রোগাক্রান্ত স্থান ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত অঙ্গ থেকে নিজ চক্ষুকে হেফাজত করবে।(রদ্দুল মুহতার;৬/৩৭০--৩৭১)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3716

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সাধারণত নিয়ম হল, পুরুষ ডাক্তার পুরুষ রোগীদের চিকিৎসা করবে। আর মহিলা ডাক্তার মহিলা রোগীদের চিকিৎসা করবে। যদি কোথাও বিপরীত লিঙ্গের ডাক্তার ব্যতিত অন্য কোনো ডাক্তার পাওয়া না যায়, তাহলে তখন বিপরীত লিঙ্গের ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা করানো জায়েয। 
যেহেতু এখনকার সময়ে নারী পুরুষের কোনো ভেদবিচার করা হয় না, প্রথম থেকেই নারীদের জন্য পৃথক এবং পুরুষদের জন্য পৃথক কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়, তাই এনেস্থিসিয়াতে চাকুরী করা সমুচিত হবে না। প্রত্যেকটি মেডিকেলের উচিৎ নারীদের জন্য নারী এনেস্থিসিয়া এবং পুরুষদের জন্য পুরুষ এনেস্থিসিয়া রাখা উচিৎ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...