বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সাবালক হওয়ার পর থেকে সকল কা'যা নামাযকে আদায় করতে হবে।এক্ষেত্রে কা'যা নামাযকে আদায় না করে শুধুমাত্র তাওবাহ ইস্তেগফার যথেষ্ট হবে না।বরং অবশ্যই আদায় করতে হবে।এবং সাথে সাথে তাওবাহ ইস্তেগফার জারী রাখতে হবে।
জীবনে কতটি দিন বা মাস কিংবা বৎসরের নামায কা'যা হয়েছে,সে বিষয়ে অধিকাংশ ধারণার উপর ভিত্তি করেই মূলত নামায-কে কা'যা করতে হবে।যখন মনের মধ্যে পূর্ণ ঈয়াক্বিন চলে আসবে যে,এখন থেকে আরো কোনো নামায কা'যা নেই।তখন থেকেই কা'যা নামায কে সমাপ্ত করা হবে।
(২)
উমরি কা'যার নামাযে আযান-ইকামতের বিধান
وذكر الشارح أن الضابط عندنا أن كل فرض أداء كان أو قضاء يؤذن له ويقام سواء أدى منفردا أو بجماعة إلا الظهر يوم الجمعة في المصر فإن أداءه بأذان وإقامة مكروه يروى ذلك عن علي. اهـ
নিয়ম হল,প্রত্যেক ফরয নামায চায় আদা হোক বা কা'যা হোক, এর জন্য আযান-ইকামত দেওয়া সুন্নত।চায় একাকি আদায় করা হোক বা জামাতের সাথে আদায় করা হোক।তবে শরয়ী উযরে জুমুআহ এর দিন জোহরের নামায কে শহরে আযান-ইকামত ছাড়া পড়তে হবে।কেননা এটা মাকরুহ।হযরত আলী রাযি থেকে এমনটাই বর্ণিত রয়েছে।
(বাহরুর রায়েক-১/২৭৬)
তবে এ বিষয়ে ব্যতিক্রমী কিছু মাস'আলা ও আছে।