আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)
**প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের যেমন সম্মতি ছাড়া বিবাহ দিলে সেটা বৈধ হয়না।


**আবার একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে অভিভাবক ছাড়া যদি বিয়ে করে এবং পরবর্তীতে তার অভিভাবক যদি মনে করে কুফু ঠিক নেই, সেক্ষেত্রে যেমন অভিভাবক সেই বিবাহ বাতিল করার অধিকার রাখে (হানাফী মাযহাব অনুযায়ী)।
_______________________________


আমরা জানি নাবালেগ অবস্থায় মেয়ের পিতা (না থাকলে দাদা) তার বিয়ে দেয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর সেই মেয়ের সম্মতি দেয়ার আর কোনো অধিকার থাকেনা। এটার কারণ কি? নাবালেগ অবস্থায় মেয়ের বিয়ের সময় যদি কূফু ঠিক না থাকে? পিতা যদি মূর্খ হয় এবং আরেক মূর্খের সাথে তার মেয়ের বিয়ে দেয়? এসব ক্ষেত্রেও কেনো মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বিয়ে বাতিলের অধিকার রাখেনা?

1 Answer

0 votes
by (574,020 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن بُرَيْدَةَ بن الحصيب قال : جَاءَتْ فَتَاةٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَتْ : إِنَّ أَبِي زَوَّجَنِي ابْنَ أَخِيهِ لِيَرْفَعَ بِي خَسِيسَتَهُ .
فَجَعَلَ الْأَمْرَ إِلَيْهَا .
فَقَالَتْ : قَدْ أَجَزْتُ مَا صَنَعَ أَبِي ، وَلَكِنْ أَرَدْتُ أَنْ تَعْلَمَ النِّسَاءُ أَنْ لَيْسَ إِلَى الْآبَاءِ مِنْ الْأَمْرِ شَيْءٌ.
رواه ابن ماجه (1874) ، وصححه البوصيري في مصباح الزجاجة (2/102) ، وكذا قال الشيخ مقبل الوادعي : " صحيح على شرط مسلم " ، انتهى من الصحيح المسند صـ 160

 উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রা. বলেন, একবার এক তরুণী তাঁর কাছে এসে বলল, আমার বাবা আমাকে তার ভাতিজার সাথে বিবাহ দিয়েছে-উদ্দেশ্য আমার দ্বারা তার হীনাবস্থা ঘুচানো-কিন্তু আমার তাতে সম্মতি ছিল না।

উম্মুল মুমিনীন বললেন, তুমি বসো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসুন। অতপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলে তিনি তাঁকে সে ঘটনা অবগত করলেন। তা শুনে তিনি মেয়েটির বাবাকে ডেকে পাঠালেন।

তারপর মেয়েটিকে নিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার দিলেন। মেয়েটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার বাবা যা করেছেন আমি তা অনুমোদন করলাম। আমার উদ্দেশ্য কেবল নারীদেরকে জানানো যে, এ বিষয়ের ক্ষমতা বাবাদের হাতে নয়। (সুনানে নাসায়ী, হাদীস : ৫৩৯০; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ১৮৭৪; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২৫০৮৭)

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-

الدر المختار و حاشیۃ ابن عابدين

"(وللولي) الآتي بيانه (إنكاح الصغير والصغيرة)جبرا (ولو ثيبا) كمعتوه ومجنون شهرا (ولزم النكاح ولو بغبن فاحش) بنقص مهرها وزيادة مهره (أو) زوجها (بغير كفء إن كان الولي) المزوج بنفسه بغبن (أبا أو جدا) وكذا المولى وابن المجنونة (لم يعرف منهما سوء الاختيار) مجانة وفسقا(وإن عرف لا) يصح النكاح اتفاقا وكذا لو كان سكران فزوجها من فاسق، أو شرير، أو فقير، أو ذي حرفة دنية لظهور سوء اختياره فلا تعارضه شفقته المظنونة

و في الرد: أن المانع هو كون الأب مشهورا بسوء الاختيار قبل العقد فإذا لم يكن مشهورا بذلك ثم زوج بنته من فاسق صح وإن تحقق بذلك أنه سيئ الاختيار واشتهر به عند الناس، فلو زوج بنتا أخرى من فاسق لم يصح الثاني لأنه كان مشهورا بسوء الاختيار قبله، بخلاف العقد الأول لعدم وجود المانع قبله۔"
(کتاب النکاح، باب الولی: 3 / 65، 66، ط: سعید)

সারমর্মঃ-
এক্ষেত্রে মেয়েটির বাবা যদি বিবাহের পূর্ব থেকেই মন্দ পছন্দের ব্যপারে প্রসিদ্ধ হয়, তাহলে এটা বিবাহ সহীহ হওয়া থেকে প্রতিবন্ধক হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মেয়ে যদি নাবালেগাহ হয়,এমতাবস্থায় যদি তার বাবা অথবা দাদা বিয়ে দিয়ে দেয়,সেক্ষেত্রে বালেগাহ হওয়ার সেই বিবাহ বাতিল করার অধিকার মেয়েটি পাবেনা।
কেননা বাবা মেয়েটির তুলনায় অধিক বুঝবান,ও মেয়েটির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মুহাব্বত কারী।

হ্যাঁ যদি বাবা/দাদার পছন্দ মন্দ হয়,তাদের পছন্দ মন্দ হওয়াটা তাদের নাবালেগাহ মেয়েকে বিবাহ দেয়ার আগ থেকেই সকলের কাছে প্রসিদ্ধ হয়,সেক্ষেত্রে মেয়ে বালেগাহ হওয়া মাত্র তার বিবাহকে বাতিল করতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...