(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَجُلاً قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ مِنْ الثِّيَابِ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَلْبَسُ الْقُمُصَ وَلاَ الْعَمَائِمَ وَلاَ السَّرَاوِيلاَتِ وَلاَ الْبَرَانِسَ وَلاَ الْخِفَافَ إِلاَّ أَحَدٌ لاَ يَجِدُ نَعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسْ خُفَّيْنِ وَلْيَقْطَعْهُمَا أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ وَلاَ تَلْبَسُوا مِنْ الثِّيَابِ شَيْئًا مَسَّهُ الزَّعْفَرَانُ أَوْ وَرْسٌ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! মুহরিম ব্যক্তি কী প্রকারের কাপড় পরবে? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে জামা, পাগড়ী, পায়জামা, টুপি ও মোজা পরিধান করবে না। তবে কারো জুতা না থাকলে সে টাখ্নুর নিচ পর্যন্ত মোজা কেটে (জুতার ন্যায়) পরবে।
তোমরা জা‘ফরান বা ওয়ারস্ (এক প্রকার খুশবু) রঞ্জিত কোন কাপড় পরবে না। [আবূ ‘আবদুল্লাহ (রহ.) বলেন, মুহরিম ব্যক্তি মাথা ধুতে পারবে। চুল অাঁচড়াবে না, শরীর চুলকাবে না। মাথা ও শরীর হতে উকুন যমীনে ফেলে দিবে।]
(বুখারী শরীফ ১৫৪২.১৩৪, মুসলিম ১৫/১, হাঃ ১১৭৭, আহমাদ ৪৮৩৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪৪৭)
غنية الناسك في بغية المناسك (ص:35، المطبعة الخيرية، هند):
"أما الثوب فلايجوز أن يتطيب بما تبقى عينه بعد الإحرام إجماعاً
সারমর্মঃ-
কাপড়কে আতর লাগিয়ে নেয়া,যার চিহ্ন ইহরামের পরেও বাকি থাকবে,এটি জায়েজ নেই।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উমরাহের উদ্দেশ্যে এহরাম পড়ার আগে সুগন্ধিযুক্ত সাবান শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে লোশন,ডিওডোরেন্ট(এলকোহলযুক্ত),কাপড়ে আতর ইত্যাদি ব্যবহার করার পর যদি এহরাম পড়েন, তাহলে জায়েজ হবে।
তবে শর্ত হলো কাপড়ে আতর লাগানোর পর যেনো আতরের কোনো চিহ্ন/দাগ কাপড়ে না থাকে,শুধু সুগন্ধি থাকতে পারে।
(০২)
ইহরাম এর কাপড় খুলে ফেলার পর এক্ষেত্রে সে যেহেতু আর মুহরিম নেই,তাই উপরোক্ত জিনিস গুলো ব্যবহার করতে পারবে।
(০৩)
উমরাহ এর কাজ সম্পন্ন করার পর ইহরাম এর কাপড় খুলে ফেলে মদিনায় গেলে সর্বাবস্থায় এগুলা ব্যবহার জায়েজ হবে।