আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
182 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম
১।আমার পরিবারে সদস্য আমি,আমার স্বামী  আর শ্বশুর- শাশুড়ি।শাশুড়িকে মা বলেই সম্বোধন করবো শাশুড়ি কথাটা আমার পছন্দ নয়।

আমার মা(শাশুড়ি,বয়স ৫২+) তার চাচাতো বোনের ছেলেকে(জন্ম থেকে এখন ৩২+ বছর।তার মা জন্ম দিয়ে মারা যান)এ যাবতকাল নিজের বড় সন্তানের মতো করে বড় করেছেন।কখনো আলাদা করেননি বরং আমার স্বামীর থেকেও ওই ভাইকে অনেক ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।ওই ভাইয়ের বাবা জীবিত থাকার পরও এবং তাদের যথেষ্ট ভালো সামর্থ্যরে পরও ভাইয়ের দায়িত্ব আমার মা ছাড়েননি।ওই ভাইয়ের আরো একজন বড় ভাই আছেন।উনি এবনরমাল কথাতে জড়তা রয়েছে।বয়স 40+ তবে বুদ্ধি সুস্থ মানুষের থেকেও ভালো।পাগল বলে তাকে বিয়ে দেয়া হয়নি।এটুকু ছাড়া র শারীরিক সমস্যা নেই।ত মা যাকে বড় করেছেন উনি আমাদের বাসার নিচতলা পুরোটা নিয়েই ব্যাবসা করেন(ভাড়া ছাড়াই,এমনকি তার খাওয়া দাওয়া সব খরচ আমরাই করি।মনে আমার স্বামী বড় ভাই থাকে যেমন হতো এমনি।অন্য চোখে দেখা হয়না। আর শুধু মা না আমার নানিশাশুরি ওই ভাইকে একদম মা হিসেবেই পেলেছে ছোট্ট থেকে।মনে মা খরচ দিলেও মেয়ের বিয়ের পর ভাই থেকেছে ওই নানীর কাছে।ওই নানীকে ভাই মা বলে ডাকে।ওই নানি ও ছেলেদের থেকে বেশি তাকে ভালোবাসে।এবং তাকে সম্পত্তির অংশ ও দিয়েছে।যেটা আমার শাশুড়ি মেয়ে হয়েও পায়নি।মনে আমার নানা শশুর তার 300বিঘা সম্পত্তির সব 2ছেলে আর এই ভাইকে দিয়েছেন।মা কে এখানে কোনো অংশ দেননি।এরপরও মা নিঃস্বার্থভাবে তাদের জন্য করে যাচ্ছেন।

এখানে বলে রাখি যে আমার নানাশশুররা ফকির। মানে পীর মানে গান করে ঐরকম বিশ্বাসী।

এখন ওই ভাই ব্যাবসার কারনে আমাদের বাসায় ছিলেন 6মাস আমি খুব কঠিনভাবে পর্দা মানি।আমার স্বামী ও চার দেননি।ওই ভাই বাসায় থাকলেও এর মাঝে 3দিন সামনে পরএ গিয়েছিলাম।আমার মা বাবা ও গুরুত্ব দেন।ভাই আমাদের বাসার সাথেই বাড়ি করে বউ বাচ্চা নিয়ে উঠে গিয়েছে তবে ব্যাবসার জিনিসপত্র রয়েছে।আর উনার বাড়ি বলে উনার বড় ভাই (উনাদের সাথেই থাকবে এখন থেকে)এসেছেন।সঠে নানা র নানিশাশুরী ও।মূলত ওরা ওই ভাইকে মানুষ করার জন্য ভাই এর একটা এমন দায়িত্ব পরে গিয়েছে যে ওই নানারা ওদের বাড়িতে থাকবে। আর তাছাড়া নানা ওদের বাড়ি করতে+মাসে মাসে একটা খরচ ও দিবে।কিন্তু ওদের বাসায় ওই ভাইয়ের বড় ভাই র নানার রাত্রিযাপন করলেও সারাদিন আমাদের বাসাতেই থাকছেন।রাতেও খেয়ে শুধু ঘুমায়। আর সকালে আসার সময় নাস্তা করে আসেন।

আমার প্রশ্ন হলো-

১।নানাশশুর বৃদ্ধ হওয়ার কারণে আমার পর্দার বিষয়ে শিথিলতা আসলেও ওই বড়ভাই এর সাথী পর্দার বিধান কি?উনাকে সবাই পাগল এ বলেন।ছোটদের কাতারে ফেলেন।এখানে কি শিথিলতা রয়েছে কিনা?কারণ আমার তাদের খেদমত করতে হয়।নানএকে বার বার চা করে দেয়া, নাশতা বানানো,আবার ২ বেলা ভাত গুছিয়ে তাদের টেবিল সাজিয়ে খেতে দেয়া।পানি গরম করে দেয়া।এসব করতে যেয়ে ওই ভাই থাকলে আমি বের হতে পারিনা।কারণ সব সময় আমার স্বামী থাকেননা বাসায়।আমার শাশুড়ি চাকরি করে।র বাসাতে থাকলেও এসব আমাকে করতে হয়।উনিও সাহায্য করেন।আবার তাদের গুছিয়ে খেতে দিয়ে ভালো ব্যবহার করতে হয় কথাবলতে হয়।নয়তো খারাপ লাগে যে কষ্ট পাবে কিনা।

আমার মায়ের সাথে ওই দুই ভাইয়ের পর্দার বিধান কি?মা যেহেতু অপেনলি মিশে সন্তান নজরে দেখে।কিন্তু তারাতো নন মাহরাম। আর মায়ের বয়সতো উল্লেখ করেছি উস্তায। আর মায়ের মাসিকচ্ক্র বন্ধ।

2।কিন্তু এসব করতে যেয়ে সারাদিন রান্না এবং তাদের যত্ন ছাড়াও আবার আমার শ্বশুরকে খেতে দেয়া,স্বামীর খেদমত সব মিলিয়ে আমি আইওএম এর ক্লাসে মনোযোগ আনতে পারছিনা। অনেক পিছিয়ে গিয়েছি ক্লাস না করার দরুন।এদিকে এক্সাম আছে 25তারিখ থেকে।আমি যে নিয়তে ইলম অর্জন করবো বলে আইওএম ভর্তি হলাম সেটাই পিছিয়ে পড়ছি।কুরআন প্র্যাক্টিস ও হচ্ছেনা।কিন্তু আমি ভর্তির উদ্দেশ্যই হলো আমার শিক্ষা জানা যেটা হচ্ছেনা।আমার করণিয় কি?আমি কি তাদের খেদমতকে গুরুত্ব দিব নাকি আইওএম ক্লাস,দৈনন্দিন আমলকে?ইলম অর্জন আগে নাই তাদের খেদমত?

1 Answer

0 votes
by (573,000 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠] 

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই বড় ভাই যদি যৌনকামনামুক্ত পুরুষ হয়,সেক্ষেত্রে তার সামনে পর্দা না করে চেহারা খুলে আসা জায়েজ হবে।

অন্যথায় তার সামনেও পূর্ণ পর্দা করতে হবে। 

(০২)
স্বামীর খেদমতকে অগ্রাধিকার দিবেন।
আর অতিরিক্ত কাজ গুলির বিষয়ে স্বামীর সাথে আলোচনা করে একটি সমাধান করে নিবেন।

কেননা এতো কাজ শরীয়ত আপনার উপর চাপিয়ে দেয়নি। প্রয়োজনে বাসায় কাজের লোক রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (18 points)
উযতাজ আমার শাশুরির সাথে ওই ভাইদের পর্দা কেমন হবে?আমার শাশুরির মসিকচ্ক্র বন্ধ র তার বয়স ৫২বছর

by (573,000 points)
একই বিধান হবে।

যদি ব্যাক্তিটি যৌনকামনামুক্ত পুরুষ হয়,সেক্ষেত্রে আপনার শাশুড়ীর জন্য তার সামনে পর্দা না করে চেহারা খুলে আসা জায়েজ হবে।

অন্যথায় তার সামনেও পূর্ণ পর্দা করতে হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...