জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শিরক দুই প্রকার: এক. শিরকে জলী, দুই. শিরকে খফী তথা শিরকে আছগর। শিরকে জলী সবচেয়ে মারাত্মক। শিরকে জলীর অনেক প্রকার রয়েছে।
যেমন ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হক, তাতে আল্লাহ ছাড়া কাউকে শরীক করা, উপায়-উপকরণের ঊর্ধ্বের বিষয়ে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, উপায়-উপকরণকে উপায়-উপকরণের সৃষ্টিকর্তার মান দেওয়া, গাইরুল্লাহকে উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতাধারী মনে করা ইত্যাদি।
,
শিরকের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-
وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.
নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫
অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেছেন-
اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.
আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২
ইবাদতের মধ্যে কেবল মাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্য শামিল রাখা। অথবা কোনো বিষয়ে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কিছুকে প্রভাবকে জ্ঞান করা। প্রত্যেক প্রভাবের ধারণা রাখা।
শিরকে আছগর এর প্রকারসমূহ : শিরকে আসগরকে নিম্মোক্ত প্রকারসমূহে সীমাবদ্ধ করা যায়- ১. কথাগত শিরক : যা মুখের দ্বারা সংঘটিত হয়ে থাকে। যেমন-
ক.‘আল্লাহ এবং আপনি যা চান’।
খ. আল্লাহ ব্যতীত অন্য কিছুর নামে শপথ করা। রাসুল (স) ইরশাদ করেছেন- যে আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করালো সে শিরক করলো।
২. কার্যগত শিরক : এমন শিরক যা কর্মের দ্বারা সংঘটিত হয়ে থাকে। যেমন- রিয়া অর্থাৎ লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে কোনো ইবাদত বান্দেগী করা।