আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in সালাত(Prayer) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি বিবাহিত কিন্তু এখনো শ্বশুরবাড়ি তে থাকা শুরু করিনি মানে আমাদের শুধু আকদ হয়েছে, আমি পড়াশোনা করছি এজন্য হোস্টেলে ই থাকি এবং ছুটি হলে বাবার বাড়ীতেই আসি।
আমার বাবা মা ঢাকায় একটি বাসা নিয়ে থাকে যেটা আমাদের স্থায়ী ঠিকানা থেকে ১৬৩ কি.মি. দূরে এবং আমার হোস্টেল থেকে ১৪৫ কি মি দূরে।
এক্ষেত্রে (১) আমি ১৫ দিনের কম সময়ের জন্য আব্বু আম্মুর ঢাকার বাসায় এসে থাকলে বা
(২) আমার বাবার নিজের মালিকানাধীন বাড়ীতে গিয়ে ১৫ দিনের কম দিন থাকলে..
দুই ক্ষেত্রেই আমি কি কসর করবো নাকি সম্পূর্ণ সালাত আদায় করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)

 

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

 

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাব,

https://ifatwa.info/58289/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

https://ifatwa.info/5066/নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শরীয়তের বিধান হলো ওয়াতনে আসলী (স্থায়ী নিবাস) তে এক দিনের জন্য গেলেও পুরো নামাজ পড়তে হবে।

ব্যক্তি নিজে স্থায়ী নিবাসে গেলে কখনো মুসাফির হয়না। স্থায়ী নিবাস বলে এমন স্থানকে-“যেখানে ব্যক্তির বসবাসের জন্য স্থায়ী গৃহ থাকে, স্ত্রী সন্তান নিয়ে যেখানে সর্বদার জন্য থাকার নিবাস হয়”।

শরীয়তের বিধান হলো কোন স্থানে গিয়ে সেখানে যদি কমপক্ষে পনের দিন থাকার নিয়ত না করে, তাহলেও কসর পড়তে হবে। বেশি দিন থাকার নিয়ত করলে কসর করতে পারবে না।

৭৮ কিলোমিটার হল সফরের দূরত্ব। এর কম নয়। সুতরাং কেউ যদি ৭৮ কিলোমিটার দূরত্বের সফরের নিয়তে বের হয় কেবল সেই ব্যক্তি কসর পড়তে পার। এরচে’কম দূরত্বের সফরের জন্য কসর পড়া জায়েজ নয়।

হাদীস শরীফে এসেছে

سنن أبى داود -صلاة السفر باب متى يقصر المسافر (1 / 465)حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ يَحْيَى بْنِ يَزِيدَ الْهُنَائِىِّ قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنْ قَصْرِ الصَّلاَةِ فَقَالَ أَنَسٌ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- إِذَا خَرَجَ مَسِيرَةَ ثَلاَثَةِ أَمْيَالٍ أَوْ ثَلاَثَةِ فَرَاسِخَ – شُعْبَةُ شَكَّ – يُصَلِّى رَكْعَتَيْنِ.

যখন তিন ফারছাখ সফরের নিয়ত করে,তাহলে কসরের নামাজ পড়তে পারবে। যদি উপরোক্ত বোন তার শ্বশুরবাড়িকেই ওয়াতলে আসলী তথা মূল বাড়ি হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন। অর্থাৎ সেখানেই তিনি মূলত থাকেন পরিবার নিয়ে,বা আপাতত অন্যত্রে ভাড়া বাসায় থাকলেও মূলত তাদের স্বামীর বাড়ি (শশুর বাড়ি) তেই থাকার ইচ্ছা থাকে ।

নিজ বাবার বাসায় স্থায়ী ভাবে থাকার যদি কোনো নিয়ত না থাকে, তাহলে সে যদি বাবার বাসায় গিয়ে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করে,তাহলে সে মুসাফির। সেখানে কসরের নামাজ পড়বে।

যদি নিজ বাবার বাসা এবং শশুর বাড়িকেও ওয়াতনে আসলী (স্থায়ী নিবাস) হিসেবে ঠিক না করে,বরং এখন যেখানে ভাড়া আছে, সেখানেই স্থায়ী ভাবে থাকার নিয়ত করে,তাহলে এমতাবস্থায় শশুর বাড়িতে ১৫ দিন থেকে কম থাকার নিয়ত করলে তিনি মুসাফির হবেন,এবং  কসরের নামাজই পড়বেন।

এবং এমতাবস্থায় পিতার বাড়িতে বেড়াতে এলে পনের দিনের কম থাকার নিয়ত করলে তিনি মুসাফির হবেন। তাই তার কসরই পড়তে হবে। {ফাতাওয়া দারুল উলুম জাকারিয়া-২/৫১৪, ফাতাওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ-৪/৪৮৩, আপকি মাসায়িল আওর উনকা হল-২/৩৮৩}

وَالْوَطَنُ الْأَصْلِيُّ هُوَ وَطَنُ الْإِنْسَانِ فِي بَلْدَتِهِ أَوْ بَلْدَةٍ أُخْرَى اتَّخَذَهَا دَارًا وَتَوَطَّنَ بِهَا مَعَ أَهْلِهِ وَوَلَدِهِ، وَلَيْسَ مِنْ قَصْدِهِ الِارْتِحَالُ عَنْهَا بَلْ التَّعَيُّشُ بِهَا وَهَذَا الْوَطَنُ يَبْطُلُ بِمِثْلِهِ لَا غَيْرُ، وَهُوَ أَنْ يَتَوَطَّنَ فِي بَلْدَةٍ أُخْرَى وَيَنْقُلَ الْأَهْلَ إلَيْهَا فَيَخْرُجَ الْأَوَّلُ مِنْ أَنْ يَكُونَ وَطَنًا أَصْلِيًّا حَتَّى لَوْ دَخَلَهُ مُسَافِرًا لَا يُتِمُّ (البحر الرائق، كتاب الصلاة، باب المسافر-2/136، حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح، باب صلاة المسافر-429، شرح منية المصلى-541)

فى رد المحتار- (الوطن الاصلى يبطل بمثله) ( قوله إذا لم يبق له بالأول أهل ) أي وإن بقي له فيه عقار قال في النهر : ولو نقل أهله ومتاعه وله دور في البلد لا تبقى وطنا له وقيل تبقى كذا في المحيط وغيره (رد المحتار-كتاب الصلاة، باب صلاة المسافر، مطلب في الوطن الأصلي ووطن الإقامة-2/614)

ওয়াতনে আসলিতে যদি স্থায়ী আর না থাকার নিয়ত করে,এবং  পরিবার সামানা যদি সেখানে আর না থাকে,তাহলে সেটা আর ওয়াতনে আসলি থাকবেনা। অন্যথায় সেটা ওয়াতনে আসলি হিসেবেই থাকবে।

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/4145/

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি আপনার বাবার উভয় বাড়ীতে মুকীম হিসেবে পূর্ণ সালাত পড়বেন। কারণ, আপনি এখনো স্বামীর বাড়ীতে বসবাস শুরু করেননি। বিধায় আপনার বাবার বাড়ী আপনার ওয়াতনে আসলী হবে। আর তাদের বর্তমান ঠিকানা ওয়াতনে ইকামত হিসেবে গণ্য হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 148 views
0 votes
1 answer 145 views
+1 vote
1 answer 256 views
0 votes
1 answer 113 views
0 votes
1 answer 142 views
0 votes
1 answer 274 views
...