আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
572 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (11 points)
edited by
কোন মুসলিম যদি ঈমান ভঙ্গ হওয়ার মত কোন কথা বলে ফেলেন তখন তিনি পুনরায় ঈমান আনার জন্য কালেমায়ে শাহাদাত পড়েন এবং তওবা করেন । আমার প্রশ্ন হল, পুনরায় ঈমান আনবেন এমন ব্যক্তি যাদি (সুদে ঋণ গ্রহন, দাড়ি কাটা, টাকনুর নিচে প্যান্ট পরা, ইন্টারনেট ব্যাবহার কারার সময় পর নারী দেখা ) ইত্যাদি গোনাহ প্রতিনিয়তই করে থাকেন তবে শিরক করেন না এই অবস্থায় তিনি কালেমা পাঠ করলে কি তিনি তার ঈমান ফিরে পাবেন ? নাকি তাকে আগে উক্ত গোনাহ গুলো থেকে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে হবে ? তারপর কালেমা পাঠ করলে ঈমান ফিরে পাবেন? মুসলিম থাকা কালিন উক্ত গোনাহ গুলো করলে পাপ হয় তবে ঈমান নষ্ট হয় না কিন্তু পুনরায় ঈমান আনার ক্ষেত্রে কি তাকে  উল্লেখিত উক্ত গোনাহ গুলো আগে ত্যাগ করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَمَنْ يَرْتَدِدْ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَيَمُتْ وَهُوَ كَافِرٌ فَأُولَئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالْآَخِرَةِ وَأُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
‘আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি নিজের ধর্ম থেকে ফিরে যায়। আর সে অবিশ্বাসী অবস্থায় মারা যায়, তাহলে দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের সকল নেক আমল বরবাদ হয়ে যাবে। এই লোকেরাই হল জাহান্নামের অধিবাসী, তারা চিরকাল সেখানে থাকবে। (বাকারা ২ : ২১৭)

আরেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
(তরজমা) ‘প্রকৃতপক্ষে যারা তাদের সামনে হেদায়েত পরিস্ফুট হওয়ার পরও মুরতাদ হয়ে যায়, (আসলে) শয়তান তাদেরকে ফুসলিয়েছে এবং অমূলক আশা দিয়েছে। এসব এজন্য যে, যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিষয়কে অপছন্দ করে, তাদেরকে (সেই কাফেরদেরকে) তারা (মুরতাদ-মুনাফিকেরা) বলে, কিছু কিছু বিষয়ে আমরা তোমাদের কথাও মানবো। (স্মরণ রাখা উচিত) আল্লাহ তাদের গুপ্ত কথা সম্পর্কে অবগত। ফেরেশতারা যখন এদের চেহারায় এবং পিছন দিক থেকে আঘাত করতে করতে এদের জান কবজ করবে, তখন এদের কী দশা হবে! এসব (শাস্তি) এজন্য যে, তারা এমন মতবাদ বেছে নিয়েছে, যা আল্লাহ তাআলাকে নারাজ করে এবং তারা তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন পছন্দ করে না। তাই আল্লাহ তাদের আমলগুলো বরবাদ করেছেন। (মুহাম্মাদ (৪৭) : ২৫-২৮)
.
★সুতরাং যে ব্যাক্তি কোনোভাবে ইসলাম ত্যাগ করে,তাকে ইসলাম গ্রহন করতে হবে।
,
পরিপূর্ণ ইসলামে প্রবেশ করতে হবে।    
ইরশাদ হয়েছে-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
‘তোমরা যারা ঈমান এনেছ, তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (বাকারা ২ : ২০৮)
,
★সুতরাং গুনাহ ছেড়ে দিলে পরিপূর্ণ মুসলিম হতে হবে। 

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছেঃ

 واسلامه أي المرتد أن يأتي   بكلمة  الشهادة ويتبرأ  عن الأديان كلها سوي  الإسلام وأن  يتبرأ عما انتقل  إليه 
.
যার সারমর্ম হলো   প্রথমেই মুরতাদ ব্যাক্তিকে  কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করতে হবে,তারপর ইসলাম ধর্মকে অন্যান্য ধর্মের উপর প্রাধান্য দিতে    হবে,তারপর তাকে পূর্বের মতবিশ্বাস,কাজকর্ম থেকে ফিরে আসতে  হবে।
(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ২/২৫৩ মাতবুয়ায়ে মাজিদাহ কোয়েটাহ)       
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে খালেছ দিলে তওবা করে কালেমায়ে শাহাদত পাঠ করে তাকে মুসলমান হতে হবে।
তবে এই তওবার পরেও সে যদি প্রশ্নে উল্লেখিত গুনাহের কাজ করেই যায়,তাহলে এতে তার গুনাহ হবে,তবে সে উক্ত গুনাহ পরিপূর্ণ ত্যাগ না করতে পারলে  মুসলিমই হতে  পারবেনা,এমন কোনো কথা নেই।
সে আস্তে আস্তে উক্ত গুনাহের কাজ ত্যাগ করার চেষ্টা করবে,আল্লাহ তায়ালার কাছে নিয়মিত ইস্তেগফার পাঠ করবে।   

মুরতাদ ব্যাক্তি কিভাবে ইসলাম গ্রহন করবে,জানুনঃ 
,
তওবার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...