আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আমার বিয়ে হইছে ২০২১ সালের এপ্রিলে। আমার হাজবেন্ড বিয়ের সময় বলছিল নগদ কাবিন দিয়ে দিবে এবং ১০ ভরি স্বর্ণ দিবে। বিয়ের পর ওমরা করতে নিবে। তখন রমজান মাস চলে আসাতে ঈদের পর অনুষ্ঠান করবে বলে। কিন্তু করে নাই।৫ মাস পর ঢাকায় নিয়ে যায়।সে বিয়ের সময় বলছিল এক্সপোর্ট -ইমপোর্ট এর ব্যবসায় করে। খুলনায় তার চিংড়ী মাছ এর হেচারি আছে।কক্সবাজার ও আছে বলছে। চট্টগ্রাম, ঢাকায় জায়গা আছে বলছে।  সবকিছু মিথ্যা বলছে।সে অন্যের ব্যবসায় দেখায় ভিজিটিং কার্ড ও বানাইছে। এমনকি পড়ালেখা নিয়ে ও মিথ্যা বলছে। এস.এস সি পাশ হয়ে বলছে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করছে। সে দেশের বাইরে যাইত।বিয়ের সময় রেডিসন ব্লু তে অনুষ্ঠান করবে।কত কি চাপাবাজি।
বিয়েটা ফ্যামিলিগত ভাবে হইছে। পুরো পরিবার যে চিটার আসলেই আমার বাবা বুঝতে পারেনি। ওরা এমনভাব করছে অনেক ফরহেজগার। ওর একটা বোন আছে এমন ভাবে পর্দা করে চোখ ও দেখায় না।আমরা তার কথা বিশ্বাস করছি। আমাকে দেখতে আমার হাজবেন্ড এর ফুঁফা-ফঁফি,ফুঁফাতো ভাই,মামি,নানি, বন্ধু, আমার শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, ননদ সবাই আসছে।  ওদের আত্বীয়স্বজন এর আর্থিক অবস্থা অনেক ভালো। তবে আমার হাজবেন্ড এর যে ঘর আছে ওটা ও তার ফুঁফারা যাকাত এর টাকায় করে দিছে। ওদের অবস্থা তেমন ভালো না। ওরা আমার বাবাকে বলছে পরে বাড়ি করবে।এখনোও করেনাই। আসলেই ওরা এমন ভাবে কথা বলছে মনে হইত সব সত্যি। বুঝার কোন ওয়ে ছিল না এত বড় বাটপার।  আমাদের আর্থিক অবস্থা তাদের থেকে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো।
 আমি এতকিছু শুরুতে জানতাম না।পরে আস্তে আস্তে সব সত্যি জানতে পারি। আমার শ্বাশুড়ি অনেক লোভী মহিলা।সে এমন ভাব করে ছেলের সামনে অনেক ভালো।পিছনে বিয়ের কয়েকদিন পর থেকে আমার কাছে জিনিস খুঁজত। আকদের সময় ও আমার হাজবেন্ড কে ১ভরির একটা চেইন দেয়।উনি সেটা ও ছেলের গলা থেকে খুলে নিয়ে যায়। এর পর আমার বাবা অনেক জিনিস দিছে। একটা গুরু দিছে ১,২০,০০০ টাকা দিয়ে। গ্রামের মানুষকে খাওয়াবে বলে নিছে।পরে এটা আমার শ্বশুর বিক্রি করে ফেলে। আমরা আকদ এর সময় ও ওদের অনেক মানুষ কে খাওয়াই। পরে বড় করে অনুষ্ঠান করবে তারা বললেও আর করে নাই।
আমার শ্বাশুড়ি প্রথম থেকে আমার পিছনে লেগে আছে।আমার হাজবেন্ড আমাকে বেশি দেখতে পারে এটা আমার শ্বাশুড়ি আর ননদের সহ্য হয় না। ননদ অবিবাহিত। এমন কি সেও আমাকে অনেক খারাপ কথা বলছে। আমার হাজবেন্ড প্রথম প্রথম আমাকে অনেক ভালোবাসা দেখাইত।পরে আমাকে কথায় কথা গাঁয়ে হাত তুলত।অনেক বিশ্রী গালি দিত।কিছু না হইলে ও মিথ্যা কথা বলে আমার ফ্যামিলি কে বিচার দিত। আর অনেক  টাকা নিছে ধার এর কথা বলে। অথচ পরে আর শোধ করে নাই। তাকে অনেকবার টাকা দেওয়া হইত । এমন কি আমি বাপের বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় নিত্য বাজার ও নিয়ে যাইতাম। আমার হাজবেন্ড এর মেজাজ খুবই গরম। সে মা বোনের এর কথা শুনে আমাকে অত্যাচার করলেও মারার পর নিজে থেকে আবার ভালো হয়ে যাইত।আমার শ্বশুর, শ্বাশুড়ি আমাকে এত হিংসা করত।আমার শ্বশুর নিজে বলত ছাড়ি দেয় দরকার হলে দেনমোহর জায়গা বিক্রি করে দিয়ে দিব। উনাদের সমস্যা আমি কেন উনার ছেলের সাথে শহরে থাকব। অথচ বিয়ের সময় বলছে ছেলের বউ ছেলের সাথে শহরে থাকবে।এটা জানার পর আমি বিয়েতে রাজি হইছি।আমি  সবসময় শহরে থেকে পড়ালেখা করছি। শহরে থাকতে আমার ভালো লাগে।
আমার শ্বাশুড়ি আমাকে একবার ২টা কাঁথা দিছিলো।উনি আমার বাসায় আমার সাথে ঝগড়া করি আসার সময় কাঁথা ২টা ও নিয়ে আসছে। ঝগড়ার কারন আমার হাজবেন্ড কেন আমাকে কাজে সাহায্য করে,আর ননদকে রুটি ছ্যাঁকতে কেন বলছি।উনারা চায় সব কাজ আমি একা করি।কেউ সাহায্য করতে পারবে না। আমার হাজবেন্ড নিজে থেকে করে।সে ছোট থেকে তার মা এর সব কাজ করে,এমনি কি বাড়িতে গেলে রান্না থেকে সব কাজ একাই করে।এটা তো ছোট থেকে ওর মা শিখাইছে।এমন না যে আমি করতে বলছি। আমার শ্বাশুড়ির কাজ করলে সমস্যা না।আমার কাজ করলে সমস্যা। সে লাস্ট ১বছর আমাকে কোন হাত খারচ,জামা কাপড় কিছুই দিতনা। বলত সব বাপের থেকে নিতে।
যাইহোক ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর এর মাসের ২২ তারিখে আমাদের বাড়িতে আসে।আমি সহও।১২ হাজার টাকা নেয় আমার আব্বু থেকে।এমন কি একদিন থাকেও আমাদের বাড়িতে। তারপর তাদের বাড়িতে যায়। ২৬ তারিখ আমাকে একটা ডিভোর্স লেটার পাঠায়। তাও অনেক মিথ্যা অপবাদ দিয়ে। ডিভোর্স দেওয়ার পর আমার হাজবেন্ড না কি অনেক কান্না ও করছে আমার জন্য।এর পর আমার সাথে কথা বলে বলছে তার মা বাপের জন্য।আমি যাতে তাদের কে বুঝাই।অথচ সে বাসার তালা ও চেন্জ করে ফেলছে।বাসা থেকে সব জিনিসও নিয়ে গেছে।আমি ঢাকায় গিয়ে দেখি বাসায় দাড়োয়ান আমাকে বাসায় ঢুকতে দিচ্ছেনা। ডিভোর্স দিয়ে দিছে বলছে। ওখানে ও কত কাহিনি।আমার হাজবেন্ড এর মা বোন এত জঘন্য ওরা চাইত আমি যাতে ওদের হাতে পায়ে ধরে সংসার করি। এমন কি ডিভোর্স দিয়ে পুরা এলাকায়, আত্বীয়স্বজন সবাইকে ফোন করে বলছে। আর ও আমার নামে  এত খারাপ খারাপ কথা বলছে যেগুলো আমি করিও নাই। আমার হাজবেন্ড আমাকে বলছে তার মা এর কাছে বলতাম।আমি বলি নাই কিছু। কাউকে ফোন করিনি। সে তখন আর আমার সাথে যোগাযোগ করে না।সিম চেন্জ করে ফেলছে। আমার শ্বশুর নিজে থেকে ফোন করে বলে সংসার করার জন্য। তবে শর্ত দেয়। আমি গ্রামে থাকতে হবে।হাজবেন্ড এর চেহারা দেখতে পারব না।আর কোনদিন ও হাজবেন্ড এর সাথে থাকতে পারব না শহরে। আমি তখন ও কিছু বলিনি।চুপ ছিলাম। আমার হাজবেন্ড এর কাছে মানুষ ১কোট টাকার মত পাবে। সে মূলত মানুষকে মিথ্যা বলি টাকা নিত।তার মিথ্যা বলা একটা স্বভাব। আমার বাবাকে ও অনেকবার বলছিল সংসার করার জন্য। আমার বাবা রাজি হয়নি।আমি যা ডিসিশন নিই।  এর পর আমার হাজবেন্ড ডিভোর্স কার্যকর হওয়ার আগে আমার সাথে অন্য নাম্বার এ হোয়াটসআপ খুলে যোগাযোগ করছে।সে এমনি আমাকে ভালোবাসে বলে আবার আমার নামে মা বোনের কারনে মানুষের কাছে বদনাম করে।যাতে কোন ভাবে তার মা বোন কারো কাছে ছোট না হয়। সে আমাকে চুরি করে সংসার করার কথা ও বলছিল।আমি রাজি হইনি। আমার অনেক কষ্ট হয় কি এমন হইছে যে ডিভোর্স দিতে হবে।এটা তো একটা জুলুম। এরপর সে সব জিনিস নিয়ে যাবে। ডিভোর্স যদি দিতেই হয় তাহলে আমার সবকিছু, দেনমোহর বুঝিয়ে দিয়ে ডিভোর্স দিবে।এটা তো পুতুল খেলা না ইচ্ছে হলে ডিভোর্স দিবে আবার সংসার করবে। সে ডিভোর্স লেটার এ এক তালাক,দুই তালাক,তিন তালাক, বাইন তালাক এই ভাবে লিখছে।  তার কাছে কোন টাকা ও নাই দেনমোহর অনেক বেশি সে দিতেও পারবেনা কোনদিন। সে বলে কোর্টে মামলা করলে আস্তে আস্তে দিবে।
 আমি এত কষ্ট পাইছি লিখে আমি সেটা কখনোই বুঝাতে পারব না।এমন কোন দিন যায় নাই আমি কান্না করিনা। আমার কত শখের সংসার এক নিমিষেই ভেঙ্গে দিল।আমি কখনো এক মিনিটের জন্য চিন্তা ও করিনি আমার সাথে এতকিছু হবে।শুধু মাত্র আমার শ্বাশুড়ি ননদের জন্য আমার সংসার ভাঙ্গছে। আমি জানি আমার হাজবেন্ড অনেক খারাপ, শুধু না। তাও আমি মানিয়ে নিয়ে সংসার করছি। আমি জীবনে একবার এ বিয়ে করতে চাইছি। আমার কপালে আল্লাহ এমন স্বামী রাখছে আমি আমার ভাগ্যকে মেনে নিছি। কিন্তু ডিভোর্স এটা আমি কিছুইতে মানতে পারিনি

আমার কি করা উচিত। আমার হাজবেন্ড এর জন্য আমার অনেক মায়া কাজ করে। আমার এত কষ্ট হয় সেটা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আপনজন মরলেও মনে হয় আমার এত কষ্ট হইত না

আমার শ্বশুর -শ্বাশুড়ি এমন কাউকে বাদ রাখেনি যার কাছে আমার নামে বদনাম করেনি। তাও এত খারাপ কথা।আমি না কি অন্য পুরুষের সাথে থাকতাম।কোথায় চলে যাইতাম।আমি না কি ৫/৬ বার বাচ্চা নষ্ট করছি। আমি না কি জীবনেও ভাত রান্না করিনি।অনলাইন থেকে খাইতাম। সব কিছু মিথ্যা।মানুষ উনাদের কে খারাপ বলাতে আমার নামে এগুলো বলতেছে।এমন কি ডিভোর্স পেপার এ ও লিখছে।এগুলো শুনতে শুনতে আমি অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। তখন আমার অনেক রাগ কাজ করে।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে
আমার হাজবেন্ড  আমার সাথে সংসার করতে চায় এখনো।কিন্তু ডিভোর্স কার্যকর হয়ে গেছে। সবাই আমার হাজবেন্ড কে অনেক খারাপ বলে।ওর সাথে সংসার করতে মানা করে।
আমার কি করা উচিত। আমি যদি নতুন করে আবার বিয়ে করি সংসার করা কি যাবে। সে ডিভোর্স এ এক তালাক লিখা নিয়া না কি কিছু বুঝেনা।উকিল যেভাবে লিখছে। কিন্তু সে বিয়ের পর থেকে কথায় কথায় আমাকে ছাড়ি দিবে বলত।ওর মা বোনের জন্য।পরে বলত এমনি বলছি। কোরআন শরীফ ছুঁয়ে ও বলছে জীবনে ডিভোর্স দিবে না।তাও দিছে। এমন কি আমাকে মুখে ও বলছে ফোনে এক,দুই,তিন তালাক এই ভাবে।সেইম কথা আর ও একদিন ও বলছিল সংসার জীবনে। তারা মেজাজ এত বেশি গরম। যখন তার মেজাজ উঠে এমন কোন নোংরা কথা নাই তোর মুখে আসে না।আমাকে নিয়ে বলে না।
তার কিছু ভালো গুন ও আছে।সে আমি অসুস্থ থাকলে অনেক কেয়ার করত। আমাকে মাঝে মধ্যে কাজে সাহায্য করত। আমার প্রতি প্রথমে আর ও অনেক যত্নশীল ছিল।তার মা বোনের কারনে অনেক পাল্টে যায়।
আমি জানতে চাচ্ছি আমার এখন করনীয় কি। আমি কি আমার হাজবেন্ড এর সাথে ওর পরিবার থেকে চুরি করে দুইজনে মিলে সংসার করব। না কি আর সংসার করা যাবে না। আমার অনেক কষ্ট হয় আমি আবার বিয়ে করব।আবার অন্য পুরুষ এর সাথে থাকব।সংসার করব।কত কিছু।  আমি অনেক ডিপ্রেশন এ আছি। আমি তো এমনটা চাইনি। আমার হাজবেন্ড অনেক খারাপ তা ও আমি চাইতেছি ওর সাথে থাকতে। আমি একটা মেয়ে হয়ে আবার অন্য পরুষকে বিয়ে  করব। অন্যজন এর সাথে থাকব।এটা আমার কাছে ভালো লাগেনা।  আমাকে প্লিজ পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করবেন।আমার কি করা উচিত।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
 فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠] 
তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০]

 وقال الليث عن نافع كان ابن عمر إذا سئل عمن طلق ثلاثا قال لو طلقت مرة أو مرتين فأن النبي صلى الله عليه و سلم أمرني بهذا فإن طلقتها ثلاثا حرمت حتى تنكح زوجا غيرك
 হযরত নাফে রহ. বলেন,যখন হযরত ইবনে উমর রাঃ এর কাছে এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হওয়া না হওয়া(রুজু করা যাবে কিনা) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো,তখন তিনি বলেন-যদি তুমি এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকো তাহলে রুজু [তথা স্ত্রীকে বিবাহ করা ছাড়াই ফিরিয়ে আনা] করতে পার। কারণ,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এরকম অবস্থায় রুজু করার আদেশ দিয়েছিলেন। যদি তিন তালাক দিয়ে দাও তাহলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে, সে তোমাকে ছাড়া অন্য স্বামী গ্রহণ করা পর্যন্ত। {সহীহ বুখারী-২/৭৯২, ২/৮০৩} 


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তিন তালাকের পর স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অতঃপর তাদের জন্য বিধান হল যে,তারা অন্যত্র সংসার করবে,এটাই ইসলামের বিধান।
হ্যা ঘটনাক্রমে যদি সেই তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর অন্য কোথাও বিয়ে হয়, এবং বিয়ের পর উক্ত স্বামী স্ত্রীর পরিপূর্ণ সংসার হয় তথা সহবাস হয়, তারপর ঘটনাক্রমে বনাবনি না হওয়ার কারণে তালাক হয়ে যায়, এবং এই স্ত্রী তার প্রাক্তন স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায়, তাহলে তখন পূর্বের স্বামীর সাথে আবদ্ধ হওয়া জায়েয হবে। এটা আল্লাহর বিধান,চোখ বুঝে মেনে নিতে হবে।এখানে লাভক্ষতির চিন্তা করলে হবে না। কেননা আল্লাহর হেকমত বান্দার জন্য বুঝা সম্ভবপর নয়।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনার বিবরণমতে তিন তালাক হয়ে গেছে। কেননা সে মৌখিকভাবে ফোনে তিন তালাক আপনাকে দিয়েছে। তাছাড়া সে ডিভোর্স লেটারও পাঠিয়েছে। সুতরাং আপনারা আর এক সাথে সংসার করতে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...