জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আপনি মনে প্রানে আকীদা বিশুদ্ধ রাখবেন।
ঐ আওয়াজের প্রতি মনোযোগী হবেননা।
কোনো কাজে ব্যস্ত থাকবেন।
তাহলে কোনো সমস্যা হবেনা।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমাম ও মুয়াযযিনের ব্যাপারে বলেছেন,
ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺿﺎﻣﻦ ﻭﺍﻟﻤﺆﺫﻥ ﻣﺆﺗﻤﻦ، ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺃﺭﺷﺪ ﺍﻷﺋﻤﺔ ﻭﺍﻏﻔﺮ ﻟﻠﻤﺆﺫﻧﻴﻦ
‘ইমাম হচ্ছে দায়িত্বশীল আর মুয়াজ্জিন আমানতদার, হে আল্লাহ! ইমামদের সঠিক পথ দেখান এবং মুয়াজ্জিনদেরকে ক্ষমা করুন’। (তিরিমিযী ২০৭)
عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ، كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ»
হযরত ইবাদা বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, গোনাহ থেকে তওবাকারী গোনাহ করে নাই ব্যক্তির মত হয়ে যায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২৫০]
فى تنوير الأبصار-ويثبت بشهادة أربعة في مجلس واحد بالزنا لا الوطء والجماع –––– ويثبت بإقراره أربعا في مجالسه الأربعة كلما أقر رده (رد المحتار-كتاب الحدود-4/7-9)
وكذا فى الفتاوى الهندية- كتاب الحدود، الباب الثانى فى الزنا-5-4- 6
وفيه ايضا- ( ويكره إمامة عبد وأعرابي وفاسق وأعمى
সারমর্মঃ-
এক মজলিসে চারজনের সাক্ষ্য দ্বারা যেনা সাব্যস্ত হবে। গোলাম,অনারবী,ফাসেকের ইমামতি মাকরুহ।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইসলামী শরীয়তে কোন ব্যক্তি জিনাকারী হিসেবে সাব্যস্ত হয় দুটি পদ্ধতিতে। এক হল উক্ত ব্যক্তি নিজে তা স্বীকার করলে। দ্বিতীয়ত চারজন সৎ ব্যক্তি যদি তাকে নিজের চোখে জিনা করতে দেখার স্বাক্ষ্যি দেয় তাহলে।
এ দুই কারণ ছাড়া ইসলামী শরীয়তে কাউকে জিনাকারী বলা যায় না।
উপরোক্ত বিবরণ মতে যদি প্রশ্নে উল্লেখিত ইমাম সাহেব ইসলামী শরীয়ত মতে জিনাকারীরূপে সাব্যস্ত না হয় তাহলে উক্ত ব্যক্তির পিছনে নামাজ পড়তে কোনো সমস্যা নেই। অন্য মসজিদে যাওয়া আপনার জন্য উচিত হবেনা। জামাত ছাড়া নামাজ পড়াও জায়েজ হবেনা।
★আর যদি প্রশ্নে উল্লেখিত ইমাম সাহেব ইসলামী শরীয়ত মতে জিনাকারীরূপে সাব্যস্ত হয় তাহলে উক্ত ব্যক্তি উক্ত গোনাহ থেকে তওবা না করলে তার পিছনে নামায পড়া মাকরূহে তাহরিমী হবে।
এক্ষেত্রে আপনি অন্য মসজিদে নামাজ পড়বেন। ফিতনা হলে বা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হলে কমিটি/অন্যান্য মুছল্লিদের টনক নড়বে,ইনশাআল্লাহ।
আর যদি তওবা করে ভাল হয়ে যায়, তাহলে তার পিছনে নামায পড়তে কোন সমস্যা নেই।
(০৩)
ইসলামী শরীয়ত মতে এভাবে যেনার বিষয়টি সাব্যস্ত হবেনা।
হ্যাঁ যদি ইমাম সাহেব নিজেই যেনার বিষয়টি স্বীকার করে,তাহলে যেনা সাব্যস্ত হবে।
(০৪)
এই টাকা নেয়া জায়েজ নেই।
হারাম। এটি স্পষ্ট জুয়া।