জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَّ الۡمُحۡصَنٰتُ مِنَ النِّسَآءِ اِلَّا مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ۚ کِتٰبَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ ۚ وَ اُحِلَّ لَکُمۡ مَّا وَرَآءَ ذٰلِکُمۡ اَنۡ تَبۡتَغُوۡا بِاَمۡوَالِکُمۡ مُّحۡصِنِیۡنَ غَیۡرَ مُسٰفِحِیۡنَ ؕ فَمَا اسۡتَمۡتَعۡتُمۡ بِہٖ مِنۡہُنَّ فَاٰتُوۡہُنَّ اُجُوۡرَہُنَّ فَرِیۡضَۃً ؕ وَ لَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ فِیۡمَا تَرٰضَیۡتُمۡ بِہٖ مِنۡۢ بَعۡدِ الۡفَرِیۡضَۃِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ﴿۲۴﴾
আর নারীদের মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী ছাড়া সব সধবা (অন্যের বিবাহিতা স্ত্রী) তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ, তোমাদের জন্য এগুলো আল্লাহর বিধান। উল্লেখিত নারীগণ ছাড়া অন্য নারীকে অর্থব্যয়ে বিয়ে করতে চাওয়া তোমাদের জন্য বৈধ করা হল, অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য নয়। তাদের মধ্যে যাদেরকে তোমর সম্ভোগ করেছ তাদের নির্ধারিত মাহর অর্পণ করবে। মাহর নির্ধারণের পর কোন বিষয়ে পস্পর রাযী হলে তাতে তোমাদের কোন দোষ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
(সুরা নিসা ২৪)
মুফতী সালমান মনসুরপুরী দাঃ বাঃ বলেন,
যদিও ভিন্ন ভিন্ন আক্বীদা সম্পন্ন লোকদের মধ্যকার বিবাহ সংগঠিত হয়ে যায়,তবে সহীহ আক্বীদা সম্পন্ন লোকদের জন্য অত্যন্ত জরুরী যে তারা নিজ নিজ আক্বীদা-বিশ্বাসের উপর অটল অবিচল থাকবে।(কিতাবুন নাওয়াযিল;৮/৯৩)
★ভিন্ন মাযহবের কাউকে বিয়ে করা জায়েয।সে হিসেবে সালাফি এবং হানাফিদের বিয়ে শাদী জায়েয।নাবালক সন্তান বাবার অনুসারী হিসেবে গণ্য হবে।
তবে উত্তম হল, নিজ মানহাজের কাউকে বিয়ে করা ।কেননা এত করে ভবিষ্যতে কোনোরকম সমস্যা সূষ্টি হবে না।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যারা মাযহাব মানেনা,তারাও যেহেতু মুসলমান,তারাও যেহেতু আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত। তাই তাদের কাউকে বিবাহ করলে সেই বিবাহ শুদ্ধ হবে।
তবে এই বিবাহের পর তাদের বৈবাহিক জীবনে তিন তালাকের মাসয়ালা,নামাজের মাসয়ালা,মসজিদে গিয়ে নামাজের মাসয়ালা,ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামাজের মাসয়ালা,সহ অসংখ্য মাসয়ালা নিয়ে সমস্যা হতে পারে।
তাই উলামাকে কেরামগন নিজ মাযহাব অনুসারীদের কেই বিবাহ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
আপনার বড় ভাই যাহা বলেছেন,তাহা সঠিক নয়।
বিস্তারিত জানুনঃ-