আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম

((((((হুজুর এই প্রশ্নে আপনি বলেছেন তালাক হবে না।।।

আমার প্রশ্নটা হল- আমার স্বামী যে আমাকে বলছে তুমি শুধু মৌখিকভাবে বলো ডিভোস দিবা তাহলে আমার শেষ বাক্য হয়ে যাবে ।আমার স্বামী যে এই কথাটা বলছে তাতে কোন সমস্যা হবে কি না।।।কারন এরপর একদিন আমি ডিভোস  দিবো বলছি।।আমার স্বামী শেষ বাক্য হয়ে যাবে দ্বারা বুঝাইছে আমি তালাক দিবো বললে ;আমার   স্বামী তালাক বলে দিবে ।এতে কি শর্ত তালাক হবে। ))))))

 

ঝগড়া  করে আমি আমার স্বামীকে বলেছিলাম ডিভোর্স লেটার পাঠাই দিব। তখন আমার স্বামী বলে ওকে পাঠাই দিও।।পরের দিন মেসেজে অনেক কথা হওয়ার পর স্বামী  বলে কই ডিভোর্স লেটার পাঠালে না তো।।আমি বললাম মেয়েরা পাঠাতে পারে না,,আপনি পাঠান আমি    সই করে দিব।।।  তখন স্বামী বলে আমি কেন পাঠাব    আমি তো বলিনি,,, তারপর আমার স্বামী বলে যদি না পাঠাও তাহলে আরেকবার ডিভোর্স দিবা  বলো তাহলে আমি ওই ৩  টা শব্দ বলে দিব।।তখন আমি বললাম        তখনের জন্য অপেক্ষা করে কি লাভ এখনই বলে দেন,,,,তখন আমার স্বামী বলে তুমি শুধু মৌখিকভাবে বলো ডিভোর্স দিবা তাহলে আমার শেষ বাক্য হয়ে যাবে।।।এরপর আমি আর কিছু বলি নি,,,

কিছু দিন আগে আমি মেসেজ গুলো দেখতে গিয়ে এই মেসেজ গুলা চোখে পরে,,,পরে আমার স্বামীকে জিজ্ঞেস করি তুমি যে আমাকে  বললা তুমি শুধু মৌখিক ভাবে বলো ডিভোর্স দিবা তখন আমার শেষ বাক্য হয়ে যাবে তার মানে কি।।।তখন আমার স্বামী বলে তুমি যদি চূড়ান্ত ভাবে বলো ডিভোর্স দিবা তাহলে আমি ঐ শব্দটা বলে দিব  এটা বুঝিয়েছি।।।তারপর আমি বললাম তুমি কি ডিরেক্ট তালাক হয়ে যাবে এটা বুঝাইছো  আমার স্বামী বলে না এটা বুঝায়নি,,বলেছি শেষ বাক্য হয়ে যাবে মানে তুমি ডিভোর্স দিবা বললে আমি আমি এই বাক্যটা বলে দিব এটা বুঝায়ছি।।।।

তারপর একদিন আমি আমার আপার কাছে বলছি সে যদি এমন করে আমার চাকরী করা নিয়ে তাহলে আমি তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিব।।।এখন কি এতে কোন সমস্যা হবে।।এটা কি কোন শর্তযুক্ত তালাক,,আমার বোন কে যে বলেছি ডিভোর্স দিয়ে দিব। স্বামীকে অনেক বার বলছি ছেড়ে দাও।আমি আমার স্বামীকে ডিভোর্স দিব  বলছি কিনা মনে করতে পারছি না।।। কিন্তু  মা বোনকে বলছি তাকে ডিভোস দিব।
স্বামীকে ডিভোস দিব বলছি কিনা মনে করতে পারছি না।একবার মনে হয় বলছি আবার মনে হয় বলিনি।

এটা কি শর্তযুক্ত তালাক হবে।।আমি বলে থাকলেও বিবাহে কি কোন সমস্য হবে।

1 Answer

0 votes
by (681,600 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...