আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
622 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম।

অনেক মানুষ আছে যারা বিভিন্ন কবিরাজের কাছ থেকে চিকিৎসা নেয় যেসব কবিরাজ শিরকি কুফরি করে। অনেকসময় মাজারে মানত করে।সবই অজ্ঞতাবশত।।এইগুলা শিরক।কুফর তা না জেনেই।

১-অজ্ঞতাবশত এমন কাজে দীর্ঘদিন জড়িত থাকার পর যখন বুঝতে পেরে এগুলো ছেড়ে দেয় তখন কি সে মুসলিম থাকে?আর যদি না থাকে তাহলে বয়স্ক অবস্থায় তাদের কি তালাক হয়ে যায়?

২-বাচ্চাদের কাছে লোহার জিনিস রাখা বা বিয়ের সময় ম্যাচের বক্সে মরিচ, রাখা এইগুলোকে জিনের হাত থেকে রক্ষার উপকরণ ভাবে কিন্তু মূল বিশ্বাস থাকে যে আল্লাহই সব কিছু থেকে রক্ষা করতে পারেন।।।এরূপ করলে কি কেউ অমুসলিম হয়ে যায়?

৩-যদি সতর্কতার জন্য কেউ বিয়ে নবায়ন করতে চায় তখন কি কেউ তার প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে,মেয়ে ও ছেলের বউকে সাক্ষী রেখে।এবং।ছেলে তার বাবা মা ও প্রাপ্তবয়স্ক বোনকে সাক্ষী রেখে বিয়ে নবায়ন করতে পারবে? আর ইমান চলে গেছিলো কি না এই ব্যপারে নিশ্চিত না হয়ে শুধু সন্দেহবশত বিয়ে নবায়ন করা কি ঠিক হবে?

৪-কেউ কি শিরক,কুফর করলেই কি তালাক হয়।।নাকি তওবা করে ফিরে আসলে হয় না?সব শিরক,কুফরই কি মানুষকে কাফির করে দেয়?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
কুফরী বাক্যর অর্থ জানা নেই এবং বলার ইচ্ছে নেই তবে মুখ ফসকে কোনো কুফরী বাক্য মুখ থেকে উচ্ছারণ হয়ে গেছে,এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কাফির হবে না।যেমন হযরত আবুযর রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,

عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ رضي الله عنه قَالَ :قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :(إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মত থেকে ভূল ভ্রান্তি এবং নিরুপায় মূলক কাজ কে ক্ষমা করে দিয়েছেন।(সুনানু উবনি মা'জা-২০৪৩)
,
★সুতরাং না জেনে কুফরী করলে যেহেতু কেহ কাফের হয়না,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তি কাফের হয়ে যায়নি।
,  
বিস্তারিত জানুনঃ 
,
(০২)
শরীয়তের বিধান হলো ঔষধ  গ্রহনকারী যদি বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ ব্যতীত এসব জিনিসের নিজস্ব শক্তি রয়েছে, তাহলে সে বড় শির্ককারী হিসাবে গণ্য হবে। পক্ষান্তরে যদি সে বিশ্বাস করে যে, সবকিছু আল্লাহর হাতে; কিন্তু এগুলি অসিলা আর সুন্নাত মাত্র এবং এগুলির নিজস্ব কোনো শক্তি নেই, তাহলে তা জায়েজ আছে। 

বিস্তারিত জানুনঃ 

,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত  ছুরতে কেউ অমুসলিম হবেনা।
,
(০৩)

প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে,মেয়ে ও ছেলের বউকে সাক্ষী রেখে বিবাহ করা যাবে।
এতে বিবাহ হয়ে যাবে।

এছেলে তার বাবা মা ও প্রাপ্তবয়স্ক বোনকে সাক্ষী রেখে বিবাহ করলেও বিবাহ হয়ে যাবে।
তবে আদালতে তাদের সাক্ষী গ্রহনযোগ্য হবেনা।
,
তাই তাদেরকে সাক্ষী না বানানোই ভালো। 

عن الشعبي أن شریحاً کان یجیز شہادۃ الأخ لأخیہ إذا کان عدلاً۔ (السنن الکبریٰ للبیہقي / باب ما جاء في شہادۃ لأخیہ ۱۵؍۲۷۸ رقم: ۲۱۴۶۶)
সারমর্মঃ ভাই ভাইয়ের জন্য সাক্ষী হতে পারবে,যদি সে আদেল হয়।
  
تنویر الابصار مع الدر المختار  :
"(وَ) شُرِطَ (حُضُورُ) شَاهِدَيْنِ (حُرَّيْنِ) أَوْ حُرٌّ وَحُرَّتَيْنِ (مُكَلَّفَيْنِ سَامِعَيْنِ قَوْلَهُمَا مَعًا) عَلَى الْأَصَحِّ (فَاهِمَيْنِ) أَنَّهُ نِكَاحٌ عَلَى الْمَذْهَبِ بَحْرٌ (مُسْلِمَيْنِ لِنِكَاحِ مُسْلِمَةٍ وَلَوْ فَاسِقَيْنِ أَوْ مَحْدُودَيْنِ فِي قَذْفٍ أَوْ أَعْمَيَيْنِ أَوْ ابْنَيْ الزَّوْجَيْنِ أَوْ ابْنَيْ أَحَدِهِمَا، وَإِنْ لَمْ يَثْبُتْ النِّكَاحُ بِهِمَا) بِالِابْنَيْنِ".

تحته في رد المحتار:
"(قَوْلُهُ: وَإِنْ لَمْ يَثْبُتْ النِّكَاحُ بِهِمَا) أَيْ بِالِابْنَيْنِ أَيْ بِشَهَادَتِهَا، فَقَوْلُهُ: بِالِابْنَيْنِ بَدَلٌ مِنْ الضَّمِيرِ الْمَجْرُورِ، وَفِي نُسْخَةٍ لَهُمَا أَيْ لِلزَّوْجَيْنِ، وَقَدْ أَشَارَ إلَى مَا قَدَّمْنَاهُ مِنْ الْفَرْقِ بَيْنَ حُكْمِ الِانْعِقَادِ، وَحُكْمِ الْإِظْهَارِ أَيْ يَنْعَقِدُ النِّكَاحُ بِشَهَادَتِهِمَا، وَإِنْ لَمْ يَثْبُتْ بِهَا عِنْدَ التَّجَاحُدِ وَلَيْسَ هَذَا خَاصًّا بِالِابْنَيْنِ كَمَا قَدَّمْنَاهُ". (الشامية، كِتَابُ النِّكَاحِ، ٣ / ٢١ - ٢٤، ط: دار الفكر)
সারমর্মঃ পাত্র পাত্রীর ছেলে,মেয়ে যদি সাক্ষী হয়,তাহলে বিবাহ হয়ে যাবে।
যদিও তাদের এই বিবাহ ছাবেত (আদালতে ছাবেত) হবেনা। 
,
(০৪)
এক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান অনুযায়ী যদি সে কাফের হয়ে যায়,তাহলে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে।
নতুবা নয়।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...