জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
কুফরী বাক্যর অর্থ জানা নেই এবং বলার ইচ্ছে নেই তবে মুখ ফসকে কোনো কুফরী বাক্য মুখ থেকে উচ্ছারণ হয়ে গেছে,এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কাফির হবে না।যেমন হযরত আবুযর রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ رضي الله عنه قَالَ :قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :(إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মত থেকে ভূল ভ্রান্তি এবং নিরুপায় মূলক কাজ কে ক্ষমা করে দিয়েছেন।(সুনানু উবনি মা'জা-২০৪৩)
,
★সুতরাং না জেনে কুফরী করলে যেহেতু কেহ কাফের হয়না,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তি কাফের হয়ে যায়নি।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০২)
শরীয়তের বিধান হলো ঔষধ গ্রহনকারী যদি বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ ব্যতীত এসব জিনিসের নিজস্ব শক্তি রয়েছে, তাহলে সে বড় শির্ককারী হিসাবে গণ্য হবে। পক্ষান্তরে যদি সে বিশ্বাস করে যে, সবকিছু আল্লাহর হাতে; কিন্তু এগুলি অসিলা আর সুন্নাত মাত্র এবং এগুলির নিজস্ব কোনো শক্তি নেই, তাহলে তা জায়েজ আছে।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কেউ অমুসলিম হবেনা।
,
(০৩)
প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে,মেয়ে ও ছেলের বউকে সাক্ষী রেখে বিবাহ করা যাবে।
এতে বিবাহ হয়ে যাবে।
এছেলে তার বাবা মা ও প্রাপ্তবয়স্ক বোনকে সাক্ষী রেখে বিবাহ করলেও বিবাহ হয়ে যাবে।
তবে আদালতে তাদের সাক্ষী গ্রহনযোগ্য হবেনা।
,
তাই তাদেরকে সাক্ষী না বানানোই ভালো।
عن الشعبي أن شریحاً کان یجیز شہادۃ الأخ لأخیہ إذا کان عدلاً۔ (السنن الکبریٰ للبیہقي / باب ما جاء في شہادۃ لأخیہ ۱۵؍۲۷۸ رقم: ۲۱۴۶۶)
সারমর্মঃ ভাই ভাইয়ের জন্য সাক্ষী হতে পারবে,যদি সে আদেল হয়।
تنویر الابصار مع الدر المختار :
"(وَ) شُرِطَ (حُضُورُ) شَاهِدَيْنِ (حُرَّيْنِ) أَوْ حُرٌّ وَحُرَّتَيْنِ (مُكَلَّفَيْنِ سَامِعَيْنِ قَوْلَهُمَا مَعًا) عَلَى الْأَصَحِّ (فَاهِمَيْنِ) أَنَّهُ نِكَاحٌ عَلَى الْمَذْهَبِ بَحْرٌ (مُسْلِمَيْنِ لِنِكَاحِ مُسْلِمَةٍ وَلَوْ فَاسِقَيْنِ أَوْ مَحْدُودَيْنِ فِي قَذْفٍ أَوْ أَعْمَيَيْنِ أَوْ ابْنَيْ الزَّوْجَيْنِ أَوْ ابْنَيْ أَحَدِهِمَا، وَإِنْ لَمْ يَثْبُتْ النِّكَاحُ بِهِمَا) بِالِابْنَيْنِ".
تحته في رد المحتار:
"(قَوْلُهُ: وَإِنْ لَمْ يَثْبُتْ النِّكَاحُ بِهِمَا) أَيْ بِالِابْنَيْنِ أَيْ بِشَهَادَتِهَا، فَقَوْلُهُ: بِالِابْنَيْنِ بَدَلٌ مِنْ الضَّمِيرِ الْمَجْرُورِ، وَفِي نُسْخَةٍ لَهُمَا أَيْ لِلزَّوْجَيْنِ، وَقَدْ أَشَارَ إلَى مَا قَدَّمْنَاهُ مِنْ الْفَرْقِ بَيْنَ حُكْمِ الِانْعِقَادِ، وَحُكْمِ الْإِظْهَارِ أَيْ يَنْعَقِدُ النِّكَاحُ بِشَهَادَتِهِمَا، وَإِنْ لَمْ يَثْبُتْ بِهَا عِنْدَ التَّجَاحُدِ وَلَيْسَ هَذَا خَاصًّا بِالِابْنَيْنِ كَمَا قَدَّمْنَاهُ". (الشامية، كِتَابُ النِّكَاحِ، ٣ / ٢١ - ٢٤، ط: دار الفكر)
সারমর্মঃ পাত্র পাত্রীর ছেলে,মেয়ে যদি সাক্ষী হয়,তাহলে বিবাহ হয়ে যাবে।
যদিও তাদের এই বিবাহ ছাবেত (আদালতে ছাবেত) হবেনা।
,
(০৪)
এক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান অনুযায়ী যদি সে কাফের হয়ে যায়,তাহলে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে।
নতুবা নয়।