আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
142 views
in পবিত্রতা (Purity) by (13 points)
১. মাসিক শেষ হওয়ার আগ মূহুর্তে হালকা হলুদ রঙের (একেবারে সাদাও না আবার হলুদও না) স্রাব দেখা যায় এটা কি মাসিকের রক্ত হিসেবে গন্য হবে?

২.ভার্সিটির আবাসিক হলে বেডমেট যদি হিন্দু হয় তাহলে তার রান্না করা কিছু খেলে কি সমস্যা হবে?

৩. তালাকের অধিকার প্রাপ্ত কোনো মহিলা যদি নিচের এই কথাগুলো বলে বা লেখে যে,

 "তোমাকে তালাক দিলাম।এর পরের মাসে যদি না দি তখন আমি অন্য দিকে ঘোরানোর জন্য বলি যদি কেউ তার স্ত্রীকে না দেয় সাথে সাথে সেও বলে যদি না দেয়। এরপরের মাসে যদি না দেয়(এখানে আমি অন্য স্বামী স্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করে বলার পর সে যতোটুকু কথা বলছে আমার মনে হয় সেও অন্যদের দিকে ইঙ্গিত করে বলছে। তাও লাস্ট বাক্যটা নিয়ে একটু সন্দেহ হচ্ছে অন্যদের দিকে ইঙ্গিত করে বলছে কিনা দেয় বলেছে নাকি দিই বলেছে।) তাহলে এমনিতে তালাক হয়ে যাবে।"
এখানে এই কথা গুলো লিখলে বা বললে উক্ত মহিলার পক্ষ থেকে কি কোনো শর্তযুক্ত তালাক  হওয়ার সম্ভাবনা আছে?? বা কোনো প্রকার তালাক কি উক্ত মহিলার উপর পতিত হবে??

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,
أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ১০ দিনের মধে হালকা হলুদ কালারের এই স্রাব হায়েজ।

এক্ষেত্রে দশদিনের আগেই হায়েজ বন্ধ হলে পুরোটাই হায়েজ বলে গন্য হবে।
দশদিন পরেও যদি এমন কিছু আসে,তাহলে পূর্বের মাসের অভ্যাস এর দিনের পর দিন থেকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরা হবে। 
তখন নামাজ পড়তে হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০২)
তার রান্না করা কিছু খেলে সমস্যা হবেনা।
তবে শর্ত হলো গোশত হলে মুসলিমদের দ্বারা বিসমিল্লাহ বলে জবাই কৃত পশুর গোশত হতে হবে,এবং খাবারে নাপাকির মিশ্রণ না থাকতে হবে।

(০৩)
এখানে এই কথা গুলো লিখলে বা বললে উক্ত মহিলার পক্ষ থেকে কোনো শর্তযুক্ত তালাক  হওয়ার সম্ভাবনা নেই।এর দরুন কোনো প্রকার তালাক উক্ত মহিলার উপর পতিত হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...