আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।
আমি জানতে চাই যে, যদি মুরাবাহা লেনদেনে ক্রেতা বিক্রেতাকে পন্যের নির্দিষ্ট দাম বা পারসেন্ট বলে, এবং বিক্রেতা রাজি হয় তাহলে কি সেই লেনদেন জায়েজ আছে? উদাহরণ স্বরূপ, ক্রেতা ক এর কাছ থেকে কাঁচামাল কিনতে চায় ১,০০,০০০ টাকা দিয়ে। সে খ'কে সেই টাকা ইনভেস্ট করতে বললো এবং তাকে ৬০০০ টাকা প্রফিট দিয়ে ৬ মাস পরে তার পুরো টাকা ফেরত দিবে জানালো। এবং কাঁচামালও সে নিজেই কিনবে, খ'কে কোন শ্রম দিতে হবে না। এখানে বিক্রেতা  প্রফিট নির্ধারণ করেনি কিন্তু এই লেনদেনে সে রাজি। এটা কি মুরাবাহা লেনদেনের শর্ত পূরণ করে সহীহ হবে? জানালে উপকৃত হবো।

জাযাকাল্লাহ খায়ের।
by (574,260 points)
প্রশ্নটি আরো স্পষ্ট করলে ভালো হতো।
বিশেষ করে "খ" ব্যাক্তি কে? এবং তার কাজ কি? বিস্তারিত উল্লেখ করলে জবাব প্রদানে সুবিধা হবে।
by
একজন ব্যবসায়ী যিনি ১ লক্ষ টাকার  কাঁচামাল কিনতে চায় কিন্তু তার কাছে এই টাকা নেই। তিনি যদি আমাকে এসে বলে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ওই কাঁচামাল কিনতে তবে আমাকে সরাসরি যেতে হবে না কেনার ব্যবস্থা তিনিই করবেন। এরপর উনি কাঁচামালগুলো আমার কাছে থেকে ১ লক্ষ ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে কিস্তিতে কিনে নিবেন। ১ হাজার করে ৬ মাস পর্যন্ত মোট ৬ হাজার টাকা বিক্রয়মূল্যের প্রফিট দিবেন, ৬ মাস পরে মূল টাকা উঠানো যাবে, চাইলে আবার বিনিয়োগ করা যাবে। 

আমি যদি এই লেনদেনে রাজি হই তাহলে এটা কি সহীহ মুরাবাহা লেনদেন হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

বাই মুয়াজ্জাল (বাকিতে বিক্রি)। এর মানে হলো, নির্ধারিত সময়ে দাম পরিশোধ করার শর্তে বাকিতে বিক্রি। অর্থাৎ ভবিষ্যতে নির্ধারিত সময়ে একসঙ্গে বা কিস্তিতে সম্মত মূল্য পরিশোধের শর্তে নির্দিষ্ট পরিমাণ শরিয়ত অনুমোদিত পণ্য বিক্রি করাকে বাই মুয়াজ্জাল বলা হয়।

বাই মুয়াজ্জালের বৈশিষ্ট্য হলো, নির্ধারিত দামে বাকিতে বিক্রি করা হয়। পণ্য ক্রয় করে মালিকানা লাভ করে বিক্রি করতে হবে। বাই মুয়াজ্জাল চুক্তির সময় পণ্যের অস্তিত্ব থাকতে হবে এবং তা ক্রয়যোগ্য হতে হবে। 

বাকিতে বিক্রির ক্ষেত্রে অবশ্যই মূল্য পরিশোধের সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে।
নতুবা এটি বৈধ হবেনা।
এটি ধোকার দিকে নিয়ে যাবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

: یلزم أن تکون المدة معلومة في البیع بالتأجیل والتقسیط (مجلة الأحکام العدلیة مع شرحہا :درر الحکام لعلي حیدر، ۱:۲۲۷، ۲۲۸۔ط: دار عالم الکتب الریاض)، 
সারমর্মঃ
কিস্তি ও বাকিতে বিক্রির ক্ষেত্রে মূল্য পরিশোধের সময়সীমা জানা থাকতে হবে।

أما الأئمة الأربعة وجمہور الفقہاء والمحدثین فقد أجازوا البیع الموٴجل بأکثر من سعر النقد بشرط أن یبتّ العاقدان بأنہ بیع موٴجل بأجل معلوم بثمن متفق علیہ عند العقد (بحوث فی قضایا فقہیة معاصرة، ص:۷)، 
সারমর্মঃ
কিস্তির ক্রয় বিক্রয় চার মাযহাব মতে জায়েজ আছে,তবে মূল্য নির্দিষ্ট করতে হবে, মূল্য পরিশোধের সময়সীমা নির্দিষ্ট করতে হবে।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে লেনদেন জায়েজ আছে। এতে শরীয়াহ দৃষ্টিকোন হতে কোনো সমস্যা নেই। উক্ত প্রফিট হালাল।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...