আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (9 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকা-তুহ।

ওস্তাদজী,
এক বোনের বাবা বেদ্বিন।তার ইনকাম হালাল হারাম মিক্স করা।সে কিছুদিন পরপর এটা সেটা শুধু অকারণে ঝগড়া করে মেয়েদের অশ্লীলভাষায় গালিগালাজ করে, গায়ে হাত তুলতে যায়।খাবার খাওয়া নিয়ে অনেক খোঁটা দেয়।গতকালও এমন অকারণে ঝগড়া করেছে, বলেছে তোর গলায় পারা দিয়া ভালোমন্দ খাওয়ামু।সে যতটুকু তার প্রয়োজন এর বেশি খায়না।দুইবেলা খায় একবেলা না খেয়ে থাকে এবং বেশিরভাগ সময় রোজা রাখে।বোনটি তার আচরণে অনেক কষ্ট পেয়ে না খেয়ে ছিলো। । রাতে আবার তার বাবা ঝগড়া করেছে খায়নি কেন সেটা নিয়ে।তার গায়ে হাত তুলতে গিয়েছিলো তারপরও সে খায়নি কারণ খেলেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তার বাবা তাকে বলেছে মাইনষের সুদের টাকা খাছনা আমারটা খাছ কেমনে আমি যে মিথ্যা কইয়া,মাইনষের সাথে বাটপারি কইরা আইন্না খাওয়াই ওইটা খাস কেমনে।আরও অনেক কথা বলেছে।বোনটা হালাল-হারাম বেঁচে চলে শুধু তার বাবা র ছাড়া আর কারোটা খায়না হালাল ব্যাতিত।তার বাবা তাকে খাবার নিয়ে এত কথা শুনায় আবার তার ইনকাম হালাল-হারাম মিক্স তাই সে চাইছেনা তার বাবারটা আর খেতে।সে টিউশনি করে ২০০০টাকা পায় তার মধ্যে ৫/৬০০পড়াশোনার খরচ নিয়ে বাকি যা থাকবে  সেটা দিয়েই সারামাস খেঁজুর ও অন্যান্য শুকনো বা হালকা খাবার খেয়ে থাকতে চাইছে।

★এটা কি ঠিক হবে?এমন করলে কি তার গুনাহ হবে? এমন পরিস্থিতিতে করনীয় কি?তাকে কি উপদেশ দেওয়া যেতে পারে?

২.যদি সন্তানকে এভাবে গালিগালাজ, মারধোর করে/করতে যায় এবং সন্তান রাগ করে না খেয়ে থাকে এবং সন্তানের না খাওয়ার কারণে বাবা-মা তার উপর রাগ করে বাবা-মাও না খেয়ে থাকে এক্ষেত্রে কি সন্তান গুনাহগার হবে?

৩.সমিতি থেকে সুদ নিয়ে সেই টাকায় দোকান ভাড়া নিয়ে বেচাকেনা করলে সেই টাকা কি হারাম হবে?দোকানে টিভি আছে তবে বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে।এবং বিক্রয়ের সময় কম-বেশি মিথ্যা কথা বলে।

★এক্ষেত্রে ইনকাম হালাল নাকি হারাম?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} [المؤمنون: ٥١] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} [البقرة: ١٧٢] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ "

 তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)

★★প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী বোন!
শরীয়ত উপার্জন সক্ষম বালেগ পুরুষ এর উপর আরো অনেকের লালন পালনের দায়িত্ব দিয়েছে।যেমন, উপার্জন অক্ষম মাতা-পিতা, নাবালিগ ছেলে,মেয়ে,স্ত্রী সহ অনেকের ভরণপোষণের দায়িত্ব রয়েছে একজন পুরুষের উপর।
এখন অভিবাবকের সম্পদ হারাম হলে, সেই সম্পদ থেকে খরছ না করে নিজ মাল থেকে খরছ করাই উচিৎ,যদি নিজের সম্পদ থাকে।তবে বালেগ ছেলের উপর ওয়াজিব যে,তার সম্পদ না থাকলেও সে হালাল তরিক্বায় তার জীবিকা নির্বাহ করার চেষ্টা করবে।হ্যা উপার্জন অক্ষম ব্যক্তির জন্য অভিবাবকের  হারাম মাল থেকে তাওবাহ-ইস্তেগফারেরর সাথে প্রয়োজন পর্যন্ত খোরাকি গ্রহণ করা বৈধ রয়েছে।কেননা এই উপার্জন অক্ষম ব্যক্তিগণকে ভরণপোষণ করা তার একান্ত দায়িত্ব ছিলো।সুতরাং গোনাহ ঐ অভিবাবকের ই হবে।(বিস্তারিত জানতে দেখুন-ফাতাওয়ায়ে উসমানী-৩/১২৭)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত বোন তার বাবার ইনকাম গ্রহন করে চলতে পারবে,তিন বেলা খাবার খেতে পারবে। প্রয়োজনীয় পোশাক সহ প্রয়োজনীয় সবই তার বাবা হতে নিতে পারবে। 

তবে যতটুকু প্রয়োজন, ঠিক ততটুকুই নিবে,বেশি নিবেনা।
তার দোয়া ইবাদত কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ।    

সে যে টিউশনি করে সারামাস খেঁজুর ও অন্যান্য শুকনো বা হালকা খাবার খেয়ে থাকতে চাইছে,এটি তার জন্য শরীয়ত কর্তৃক আবশ্যক নয়।

আরো জানুনঃ

(০২)
হ্যাঁ, এক্ষেত্রে সন্তান যদি বালেগ হয়,সেক্ষেত্রে  সন্তান গুনাহগার হবে। 

(০৩)
এক্ষেত্রে সমিতির সেই লোন হালাল টাকায় পরিশোধ করলে ইনকাম হালাল হবে।

আর হারাম টাকায় সেই লোন পরিশোধ করলে ইনকাম হারাম হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...