আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
132 views
in পবিত্রতা (Purity) by (6 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته

বাবু হওয়ার আগে পিরিয়ড প্রতি মাসে হতো। ৭ দিন পর্যন্ত লাল আভা থাকতো। এরপর ভালো হয়ে যেতো।

১ম বাবু হওয়ার পর নেফাছ চলা অবস্থায় নির্দিষ্ট ডেটে দাক্তারের দেয়া সাজেশন অনুযায়ী পিল খেতে হয়, এজন্য সব সময় একটু করে ব্লিডিং হতোই।বাবু হওয়া থেকে শুরু করে ৪ মাসের মতো এমন চলে। এর পর পিল খাওয়া বন্ধ করে দিলে পিরিয়ড নরমাল হয়ে যায়। প্রতি মাসে যেমন হতো বাবু হওয়ার আগে। ৭ দিন থাকতো, বাকি সময় ব্লিডিং হতো না।
২য় বাবু হওয়ার পর ও সেম। পিল খাওয়ার কারনে সব সময় একটু করে ব্লিডিং হয়।(৪০ দিন পার হয়ে গেছে)

এটা নরমাল, এটা একটা সাইড ইফেক্ট। যে কোনো পদ্ধতি নিলেই সাইড ইফেক্ট হয়।

প্রশ্ন হলো আমি একটানা কতো দিন নামাজ পড়বো? আমি তো আলাদা করে বুঝতে পারি না কোনটা পিরিয়ড কোনটা পিরিয়ড না। কারন প্রতি দিন একটু হলেও ব্লাড বের হয়।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার যেহেতু ৪০ দিন পার হয়ে গিয়েছে,এবং এখনো প্রতিদিন রক্ত আসেই,সুতরাং প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি ১০ দিন হায়েজ হিসেবে ধরবেন,এর পর ১৫ দিন পবিত্র হিসেবে ধরবেন। এই পনেরো দিন নামাজ আদায় করবেন। আবারো ১০ দিন হায়েজ ধরবেন। আবার এর পর ১৫ দিন পবিত্র হিসেবে ধরবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (6 points)
বিষয়টা আসলে বুঝতে পারিনি আফওয়ান। বেবি হওয়ার আগে হায়েজ হত ৭ দিন এর মত। তাহলে এখন কি ৫৫ তম দিন অব্দি তুহর ধরে এরপর সাত দিন হায়েজ ধরবে না? দশ দিন কেন ধর্তব্য এটা একটু বুঝিয়ে দিলে ভাল হয়।
by (574,050 points)
তাহলে ৭ দিন করে হায়েজ ধরবেন। 
১৫ দিন করে পবিত্রতা ধরবেন।

৪০ দিনের পর ৫৫ তম দিন অব্দি তুহর ধরে এরপর দিন হতে সাত দিন হায়েজ ধরবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 147 views
...