ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَكَذَا لَوْ لَفَّ الثَّوْبَ النَّجَسَ فِي ثَوْبٍ طَاهِرٍ وَالنَّجَسُ رَطْبٌ مُبْتَلٌّ وَظَهَرَتْ نَدْوَتُهُ فِي الثَّوْبِ الطَّاهِرِ لَكِنْ لَمْ يَصِرْ بِحَالٍ لَوْ عُصِرَ يَسِيلُ مِنْهُ شَيْءٌ مُتَقَاطِرٌ لَا يَصِيرُ نَجَسًا. اهـ
যদি ভিজা নাজাসত সম্ভলিত কাপড়কে পবিত্র কাপড়ের সাথে লেপ্টিয়ে দেয়া হয় বা ভাজ করা হয়,এবং শুকনা কাপড়ে নাজাসতের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়,যদি শুকনো কাপড় এমন পর্যায়ে পৌছে না যে,তাকে চিপানো হলে, তা থেকে কিছু বের হবে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত কাপড় নাপাক হবে না।(আল-বাহরুর রায়েক-১/২৪৪)
আল্লামা হাসক্বাফী রাহ লিখেন,
لُفَّ طَاهِرٌ فِي نَجِسٍ مُبْتَلٍّ بِمَاءٍ إنْ بِحَيْثُ لَوْ عُصِرَ قَطَرَ تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا. وَلَوْ لُفَّ فِي مُبْتَلٍّ بِنَحْوِ بَوْلٍ، إنْ ظَهَرَ نَدَاوَتُهُ أَوْ أَثَرُهُ تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا.
যদি পবিত্র কাপড়কে -অপবিত্র এমন কাপড় যা পানি দ্বারা ভিজা থাকে- এর সাথে ভাজ করা হয়ে থাকে,যদি পবিত্র শুকনো কাপড় এমনভাবে ভিজে যে,তা তাকে চিপানো হলে তা থেকে কিছু বের হবে,তাহলে সেই শুকনো পবিত্র কাপড়ও অপবিত্র হয়ে যাবে।নতুবা অপবিত্র হবে না।আর যদি শুকনো কাপড়কে প্রস্রাব ইত্যাদি দ্বারা ভিজা কাপড়ের সাথে ভাজ করা হয় বা লেপ্টানো হয়,যদি পবিত্র কাপড়ে নাজাসতের কোনে চিহ্ন পরিলক্ষণ করা যায়,তাহলে উক্ত পবিত্র কাপড়ও অপবিত্র হবে, নতুবা অপবিত্র হবে না।(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/7947
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
স্বপ্নদোষের কারনে অথবা অন্য কোনো কারনে যদি বীর্য পরিধানের পোষাকের সাথে লেগে যায় এবং পোষাকটা বীর্যের কারনে ভিজে যায়, সেই ভেজা স্থানটা যদি অন্য কোনো পবিত্র কাপরের সাথে স্পর্শ করে, এবং সেই পবিত কাপড়ে যদি বীর্য না লাগে, তাহলে পবিত্র কাপড়টা নাপাক হবে না।
(২)
যদি পবিত্র কাপড়ে ভেজা অংশটা স্পর্শ করার পড়েও পবিত্র কাপড়টা না ভিজে অথবা এমন কোনো চিন্হ পাওয়া না যায় যে, ভেজা অংশের সাথে স্পর্শ করেছে,তাহলে এক্ষেত্রেও পবিত্র কাপড়টা নাপাক হবে না।
(৩)
কোনো হারাম জিনিস হালাল জিনিসকে হারাম করতে পারে না।
(৪)
ইসলামে ব্লাকমেইল নাজায়েয।
(৫)
ব্লাকমেইলের মাধ্যমে কাউকে দিয়ে খারাপ কাজ করানো হয়, যে ব্যক্তি খারাপ কাজটা করবে তারও গুনাহ হবে এবং ব্লাকমেইলকারী ও গোনাহ হবে। তবে মৃত্যুর ভয় দেখালে বা সত্যিই মেরে ফেলবে বা ইজ্জতহানি করবে, এমনটা নিশ্চিত হলে, তখন শুধুমাত্র ব্লাকমেইলকারীর-ই গোনাহ হবে।