আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
106 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (11 points)

আসসালামু আলাইকুম, উস্তাদ
ইবাদত কবুলের অন্যতম শর্ত হালাল রিজিক।
এখন ইনকামকারীর ইনকাম হালাল হারাম মিশ্রিত।কোন টাকাটা হালাল আর কোন টাকাটা হারাম এটা বেশিরভাগ সময়ই চিহ্নিত করা যায়।এটা চিহ্নিত করে হারাম থেকে তার পরিবারের সদস্য বেচে থাকল।
1️⃣কিন্তু কখনো কখনো চিহ্নিত করা যায় না।এখন মেয়ে হিসেবে যদি সে বাবা/মাকে জিজ্ঞেসা করে এটা হালাল নাকি হারাম টাকায়।তারা রেগে যাবে,যায়।তখন কি সেটা সে খেতে বা পরতে পারবে?
2️⃣তার মা যদি হারাম টাকায় আনা জিনিস (মেইন টুকটাক চানাচুর, বিস্কিট,ফল আনা হয় এই টাকায়)মেয়ে খাবে না এজন্য ঘরে থাকা হালাল টাকা তার বাবাকে(লুকিয়ে মানিব্যাগে রাখে) দেয় তবে কি মেয়ে সেটা খেতে পারবে?তবে তার আশংকা হয় এভাবে তার মা টাকা দিতে থাকলে একসময় সাপ্তাহিক  বাজার (সবজি,আনাজ)তার বাবার হারাম ইনকামে হবে এবং তখনতো তাকে দৈনন্দিন খাবার খেতেই হবে।এক্ষেত্রে কি করবে?আর শুধুমাত্র তার খাবারটা হালাল করার জন্য তার মা এমন করছে।শুধু খাবারের ক্ষেত্রেই না বরং সবক্ষেত্রেই মা চায় মেয়ে সব খাবে পড়বে,।আর শুধুমাত্র মেয়ের খাওয়ার,পড়ার টাকাটা হালাল টাকার নিয়ত করে খরচ করবে।মেয়ে এমনভাবে খাবে, পড়বে এটা কি স্বার্থপরতা হবে না?
3️⃣মেয়ের জন্য গহনা বানাবে।তার টাকাও এমনভাবে আনুমানিক হারাম টাকার থেকে বেশি টাকা ঘরে রেখে বাকি টাকাগুলো  হালাল টাকার নিয়ত করে গহনা বানাতে দিয়েছে।মেয়ে এটা নিতে পারবে?
4️⃣এমন অনেক জিনিস যেগুলো আগে কেনা সোয়েটার,পর্দা করার জন্য কেনা হাতমোজা,পামোজা,ঘরে পড়া স্যান্ডেল এমন বিভিন্ন জিনিস সে সন্দেহ করছে হারাম টাকায় কেনা হতে পারে।কোনো কোনোটার ক্ষেত্রে শিওর জানেও এটা হারাম টাকাতে কেনা।তো এরকম প্রত্যেকটা জিনিস সে কি ব্যবহার করতে পারবে?নাকি বিরত থাকবে?
5️⃣ইনকামকারী তার মেয়েকে ফোন কিনে দিয়েছে ১৬ হাজার টাকায়।যার মধ্যে আনুমানিক ৫/৬ হাজার টাকা হারাম।যা তার মেয়েই তার বাবার হারাম ইনকামের টাকা থেকে জমিয়ে তাকে দিয়েছিল।তার জন্য সে লজ্জিত।কিন্তু সে ফোন দিয়েই বর্তমানে IOM এর class,islamic lectures,video এগুলো দেখা হয়।এটা কি জায়েজ হবে?না হলে কি করণীয়?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বাবার ইনকাম হারাম হলে,
সাবালক ছেলে বাবার ইনকাম থেকে কিছুই গ্রহণ করতে পারবেনা।
তবে যদি সে অপারগ থাকে,তাহলে পরবর্তীতে ঐ টাকা সদকাহ করার নিয়তে হিসেব করে করে বাবার কাছ থেকে আপাতত নিতে পারবে।

মেয়ের বাবার ইনকাম যদি হারাম হয়,এবং ঐ বাবার মেয়ে যদি দ্বীনদ্বার হয়,তাহলে এমন মেয়েকে বিয়ে করতে কোনো অসুবিধে নাই।
কেননা বাবার ইনকাম হারাম হলেও বাবার উপর শরীয়ত কর্তৃক মেয়েকে লালন পালন করা ওয়াজিব।হারাম খাওয়ানোর দরুণ বাবাকে জবাবদিহি করতে হবে।তবে মেয়ে নিরাপরাধ হিসেবেই থাকবে।
নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা,ভাই,চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।
ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى 
বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২) বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/2362

কতটুকু খাবার খাওয়া জায়েয?
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3799


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নাবালক ছেলে সন্তান ও সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের ভরণপোষণ যেহেতু বাবার উপর ওয়াজিব।তাই বাবার হারাম ইনকাম থেকে তাদের জন্য জরুরত অনুযায়ী গ্রহণ করা জায়েয হবে। জরুরত অতিরিক্ত যেমন, গহেনা ইত্যাদি বাবার হারাম ইনকাম দ্বারা গ্রহণ করা জায়েয হবে না। মুবাইল ফোন দ্বারা যেহেতু দ্বীন শিখা হচ্ছে, তাই এটাও জরুরতের অন্তর্ভুক্ত, তাছাড়া প্রয়োজনিয় কাপড় ইত্যাদিও প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...