জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যাদু করে বিয়েতে বাধা দেওয়া,কাহারো আয় উন্নতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যেতে পারে। যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইহুদীরা যাদু করে অসুস্থ্য করে দিয়েছিল। দীর্ঘদিন যাবত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাদুর প্রভাবে অসুস্থ্যতায় ভুগছিলেন। তখনি সূরা ফালাক ও সূরা নাস নাজিল হয়।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَائِشَةَ، ” أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَتَى إِلَى فِرَاشِهِ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ جَمَعَ كَفَّيْهِ، ثُمَّ نَفَثَ فِيهِمَا، وَقَرَأَ فِيهِمَا: قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ، وَقُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ، وَقُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ، ثُمَّ مَسْحَ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ، يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ، يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। প্রতি রাতে রাসূল সাঃ যখন বিছানায় আসতেন, তখন দুই তালুকে একত্র করতেন। তারপর তাতে ফুঁ দিতেন। পড়তেন “কুল হুয়াল্লাহু আহাদ” এবং “কুল আউজু বিরাব্বিল ফালাক” ও “কুল আউজু বিরাব্বিন নাছ”। তারপর শরীরের যতটুকু অংশ সম্ভব মুছে দিতেন। শুরু করতেন মাথা ও চেহারা ও শরীরের সামনের অংশ থেকে। এভাবে তিনবার করতেন। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৪৮৫৩, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫০১৭}
এই দোয়া পড়তে হবেঃ
- أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ الَّتِي لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ، مِنْ شَرِّ مَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَعْرُجُ فِيهَا، وَمِنْ شَرِّ مَا ذَرَأَ فِي الْأَرْضِ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا، وَمِنْ شَرِّ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ طَارِقٍ إِلَّا طَارِقًا يَطْرُقُ بِخَيْرٍ يَا رَحْمَنُ»
অর্থ : ‘আমি আল্লাহর ঐ সকল পরিপূর্ণ বাণীসমূহের সাহায্যে আশ্রয় চাই যা কোনো সৎব্যক্তি বা অসৎ ব্যক্তি অতিক্রম করতে পারে না; আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন, অস্তিত্বে এনেছেন এবং তৈরি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে; আসমান থেকে যা নেমে আসে তার অনিষ্ট থেকে এবং যা আকাশে উঠে তার অনিষ্ট থেকে, আর যা পৃথিবীতে তিনি সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে; আর যা পৃথিবী থেকে বেরিয়ে আসে, তার অনিষ্ট থেকে; দিনে ও রাতে সংঘটিত ফেতনার অনিষ্ট থেকে; আর রাতের বেলায় হঠাৎ করে আগত অনিষ্টতা থেকে। তবে রাতে আগত কল্যাণকর আগমনকারী ব্যতিত, হে দয়াময়।’ (হিসনুল মুসলিম)
- أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ
অর্থ : ‘আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণী সমূহের ওসিলায় আশ্রয় চাই তাঁর রাগ থেকে, তাঁর শাস্তি থেকে, তাঁর বান্দাদের অনিষ্ট থেকে, শয়তানদের কুমন্ত্রণা থেকে এবং তাদের উপস্থিতি থেকে।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে এটা সত্য বলে মনে হচ্ছেনা।
(০২)
এই বিষয়ে যারা বিজ্ঞ,তারা নাম ও বিস্তারিত তথ্য শুনলে এটি বলে দিতে পারেন।
তবে প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি সত্য বলে মনে হচ্ছেনা।
(০৩)
প্রতিদিন ফজর ও মাগরিব নামাযের পর এবং রাতে ঘুমাতে যাবার আগে চার কুল তথা সূরা কাফিরূন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে, হাতে তালুতে ফুঁ দিয়ে সাড়া শরীর মুছে দিবেন। এভাবে তিনবার করবেন।
উপরোক্ত দোয়া গুলিও তিনি পাঠ করতে পারেন।
আশরাফ আলী থানবী রহঃ রচিত একটি বই আছে। যার নাম হল, “আমালে কুরআনী” বাংলায় অনুবাদ হয়েছে। বইটি সংগ্রহ করে এর মাঝে এ বিষয়ক আমল রয়েছে। তা থেকে নিয়মিত আমল করতে পারেন। ইনশাআল্লাহ সমস্যার সমাধান হবে।
,
বাকি এর পরও যদি কাজ না হয়, তাহলে বিজ্ঞ রুকইয়াহ কারী যারা কুফরী কালাম না করে, বরং কুরআন ও হাদীসের আলোকে তদবীর দেন,তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।