আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
217 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম

আমার এক মাস আগে একটা বিয়ের প্রস্তাব আসে। কিছু কথাবার্তা এগিয়েছে এরপর ছেলে পক্ষের বাড়ি আমার অভিভাবক দেখে আসে। আব্বুর ছেলেদের থাকার জায়গা নিয়ে সমস্যা ছিল ওখানে পর্দা মেইনটেইন করা যাবে না ঠিক মত তাই। উনাদের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল বাসা পরিবর্তন করার জন্য তাহলে সামনে আগাবে। কারণ বাহ্যিক দিক থেকে দ্বীনদার মনে হচ্ছিল। কিন্তু তারা সম্মত হয় নি। আর তারা জানান আমার সম্পর্কে জানার জন্য নাকি আলেম নিকট গিয়েছিল। উনি নাকি বলেছেন আমার বিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। কিন্তু আমার মধ্যে তেমন কোন পরিবর্তন দেখি না। বিয়েটা নিয়ে ইস্তিখারা করেছিলাম তেমন কিছু খারাপ মনে হয় নি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে

১.বিয়ে এমনভাবে বন্ধ করে রাখা হয়েছে এটা যে তারা জানিয়েছেন এটা কি সত্য কি না কিভাবে বুঝব

২. উনারা কেন আলেম এর নিকট গিয়ে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল এটা উনারা জানায় নি। এরকম কি কখনো কোনো আলেম নাম শুনলেই যাদু করা হয়েছে কিনা বলতে পারেন।

৩. আর বিয়ে বন্ধ করে রাখলে এটা ঠিক করার জন্য কিভাবে রুকাইয়া করব।

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

যাদু করে বিয়েতে বাধা দেওয়া,কাহারো আয় উন্নতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যেতে পারে। যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইহুদীরা যাদু করে অসুস্থ্য করে দিয়েছিল। দীর্ঘদিন যাবত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাদুর প্রভাবে অসুস্থ্যতায় ভুগছিলেন। তখনি সূরা ফালাক ও সূরা নাস নাজিল হয়।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عَنْ عَائِشَةَ، ” أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَتَى إِلَى فِرَاشِهِ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ جَمَعَ كَفَّيْهِ، ثُمَّ نَفَثَ فِيهِمَا، وَقَرَأَ فِيهِمَا: قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ، وَقُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ، وَقُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ، ثُمَّ مَسْحَ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ، يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ، يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ

হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। প্রতি রাতে রাসূল সাঃ যখন বিছানায় আসতেন, তখন দুই তালুকে একত্র করতেন। তারপর তাতে ফুঁ দিতেন। পড়তেন “কুল হুয়াল্লাহু আহাদ” এবং “কুল আউজু বিরাব্বিল ফালাক” ও “কুল আউজু বিরাব্বিন নাছ”। তারপর শরীরের যতটুকু অংশ সম্ভব মুছে দিতেন।  শুরু করতেন মাথা ও চেহারা ও শরীরের সামনের অংশ থেকে। এভাবে তিনবার করতেন। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৪৮৫৩, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫০১৭}

এই দোয়া পড়তে হবেঃ

- أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ الَّتِي لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ، مِنْ شَرِّ مَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَعْرُجُ فِيهَا، وَمِنْ شَرِّ مَا ذَرَأَ فِي الْأَرْضِ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا، وَمِنْ شَرِّ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ طَارِقٍ إِلَّا طَارِقًا يَطْرُقُ بِخَيْرٍ يَا رَحْمَنُ»

অর্থ : ‘আমি আল্লাহর ঐ সকল পরিপূর্ণ বাণীসমূহের সাহায্যে আশ্রয় চাই যা কোনো সৎব্যক্তি বা অসৎ ব্যক্তি অতিক্রম করতে পারে না; আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন, অস্তিত্বে এনেছেন এবং তৈরি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে; আসমান থেকে যা নেমে আসে তার অনিষ্ট থেকে এবং যা আকাশে উঠে তার অনিষ্ট থেকে, আর যা পৃথিবীতে তিনি সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে; আর যা পৃথিবী থেকে বেরিয়ে আসে, তার অনিষ্ট থেকে; দিনে ও রাতে সংঘটিত ফেতনার অনিষ্ট থেকে; আর রাতের বেলায় হঠাৎ করে আগত অনিষ্টতা থেকে। তবে রাতে আগত কল্যাণকর আগমনকারী ব্যতিত, হে দয়াময়।’ (হিসনুল মুসলিম)

- أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ

অর্থ : ‘আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণী সমূহের ওসিলায় আশ্রয় চাই তাঁর রাগ থেকে, তাঁর শাস্তি থেকে, তাঁর বান্দাদের অনিষ্ট থেকে, শয়তানদের কুমন্ত্রণা থেকে এবং তাদের উপস্থিতি থেকে।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে এটা সত্য বলে মনে হচ্ছেনা।

(০২)
এই বিষয়ে যারা বিজ্ঞ,তারা নাম ও বিস্তারিত তথ্য শুনলে এটি বলে দিতে পারেন।

তবে প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি সত্য বলে মনে হচ্ছেনা।

(০৩)
প্রতিদিন ফজর ও মাগরিব নামাযের পর এবং রাতে ঘুমাতে যাবার আগে চার কুল তথা সূরা কাফিরূন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা  নাস পড়ে, হাতে তালুতে ফুঁ দিয়ে সাড়া শরীর মুছে দিবেন। এভাবে তিনবার করবেন।  
উপরোক্ত দোয়া গুলিও তিনি পাঠ করতে পারেন। 

আশরাফ আলী থানবী রহঃ রচিত একটি বই আছে। যার নাম হল, “আমালে কুরআনী” বাংলায় অনুবাদ হয়েছে। বইটি সংগ্রহ করে এর মাঝে এ বিষয়ক আমল রয়েছে। তা থেকে নিয়মিত আমল করতে পারেন। ইনশাআল্লাহ সমস্যার সমাধান হবে।
,
বাকি এর পরও যদি কাজ না হয়, তাহলে বিজ্ঞ রুকইয়াহ কারী যারা কুফরী কালাম না করে, বরং কুরআন ও হাদীসের আলোকে তদবীর দেন,তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (9 points)
তারা যেহেতু আমার সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের থেকে খবর না নিয়ে এমন আলেম এর নিকট থেকে জানতে চাইছে তাহলে উনাদের সাথে বিয়ের ব্যাপারে আগানো কি ঠিক হবে? যদিও ইস্তিখারা দিয়ে তেমন কিছু বুঝিনি কিন্তু উনাদের এভাবে আলেম এর কাছে গিয়ে আমার নাম, বাবা মার নাম বলে আমার সম্পর্কে জানতে চাওয়ার বিষয়টি কেমন যেন লাগছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...