আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته

হুজুর ছোটবেলায় আমি গালি দিতাম রাগ উঠলে । অভিশাপ দিতাম। মা বাবাকে তুই করে বলতাম। এর জন্য পরিবেশ দায়ী ছিল। সঙ্গ থেকে আমি এগুলো শিখছিলাম। হেদায়াত পাওয়ার পড়ে এগুলো মনে পড়ে। অভিশাপ গুলোর জন্য আল্লাহর কাছে মাফ চাই। আমার প্রশ্ন
১. আমাকে ও অনেকে অভিশাপ দিত। সেগুলো কাটানোর কোনো উপায় কি আছে। আমার জীবনটা অনেক অগোছালো। মাঝে মাঝে মনে হয় এসবের শাস্তি।

 ২. আল্লাহ হেদায়াত দিয়েছেন বছর কয়েক হলো আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু এখনও আমার মধ্যে বদ আখলাক ভরা। রাগ উঠে যায় হুটহাট, রাগে রিরি করি। মা বাবাকে তুই করে বলি রাগের সময়। শয়তান পাগল গরু এগুলো গালি দেই। আরো যত যত দোষ সব আমার মাঝে। আমার তো গুনাহ হচ্ছে, কবিরা গুনাহ। দুআ করি। কিন্তু সংশোধন তো হচ্ছি না। ফরয নামায ও ছুটে। আমার কি করা উচিত। কিভাবে আমি উত্তম আখলাকের অধিকারী হবো। এসব গুনাহ ছাড়ব।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
অভিশাপ দেওয়া সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أنَّ رَجُلًا اِسْمُه عَبْدُ اللّٰهِ يُلَقَّبُ حِمَارًا كَانَ يُضْحِكُ النَّبِىَّ ﷺ وَكَانَ النَّبِىُّ ﷺ قَدْ جَلَدَه فِى الشَّرَابِ فَأُتِىَ بِهِ يَوْمًا فَأَمَرَ بِه فَجُلِدَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ : اَللّٰهُمَّ الْعَنْهُ مَا أَكْثَرَ مَا يُؤْتٰى بِه فَقَالَ النَّبِىُّ ﷺ : «لَا تَلْعَنُوْهُ فَوَ اللهِ مَا عَلِمْتُ أَنَّه يُحِبُّ اللّٰهَ وَرَسُوْلَه». رَوَاهُ البُخَارِىُّ

‘উমার ইবনুল খত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তির নাম ছিল ‘আবদুল্লাহ, কিন্তু তাকে ‘হিমার’ (গাধা) উপাধিতে ডাকা হতো। সে (অবোধের ন্যায় কথাবার্তা বলে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে হাসাতো। একদিন মদ্যপায়ীর জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ওপর দণ্ড প্রয়োগ করেছিলেন। এরপর আবার একদিন তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আনা হলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে চাবুক মারার নির্দেশ করলেন। তখন এক ব্যক্তি বলে উঠল, হে আল্লাহ! তার ওপর তোমার অভিসম্পাত বর্ষিত হোক। কতবারই না তাকে এ অপরাধে আনা হলো? এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে অভিশাপ দিও না। আল্লাহর শপথ! আমি তার সম্পর্কে জানি যে, সে আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে ভালোবাসে।
 (সহীহ : বুখারী ৬৭৮০,মিশকাত ৩৬২৫)
,
★কাউকে অভিশাপ দিলে তার গুনাহ মাফের দোয়া চাইবে,অভিশাপের বিপরিত তার জন্য ভালো কিছু আল্লাহর কাছে চাইবে,এবং তওবা ইস্তেগফার পাঠ করবে।
ইনশাআল্লাহ ক্ষতি হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যারা অভিশাপ দিয়েছে,তাদের কাছে গিয়ে মাফ চাইতে হবে।
অভিশাপের বিপরিত নিজের জন্য ভালো কিছু চাইতে হবে। তওবা ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে।

(০২)
তাবলীগে যাওয়ার পরামর্শ থাকবে। 
অথবা কোনো হক্কানী শায়েখের নিকটে যেতে হবে।
তার পরামর্শ মোতাবেক চলতে হবে।

উত্তম চরিত্রবান হতে করনীয় সম্পর্কে জানুনঃ- https://ifatwa.info/52112/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...