আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in সালাত(Prayer) by (37 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
আমার প্রায় প্রতিদিনই মাগরিবের সালাতের পর মাথা ব্যাথা হয়। এমন একটা অভ্যাস আর আতঙ্ক হয়ে গেছে যে মাথা ব্যাথা না হলেও মনে হয় মাথা ব্যাথা করছে। তখন আমি চিন্তায় পড়ে যায় মাথা ব্যাথা নিয়ে নামাজ পড়ব কিভাবে। তবুও আমি মাথা ব্যাথা নিয়েই নামাজ পড়ে নিই। এতে আমার কষ্ট হয়। আবার মনেও থাকে না। পরে নামাজ শেষ করার পর আবার মাথা ব্যাথা চলে যায়। মাথা ব্যাথা চলে গেলে কি পুনরায় ঔ নামাজটা পড়ে দিতে হবে?? আর মাথা ব্যাথা নিয়ে নামাজ পড়লে কি গুনাহ হবে??আমার কি মাথা ব্যাথা ভালো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তারপর নামাজ পড়তে হবে?


২. কাচা পিয়াজ খাওয়া কি মাকরুহ

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
মাথা ব্যাথা নিয়ে নামাজ পড়লে গুনাহ হবেনা। আপনি সেই সময়ে নামাজ পড়তে পারবেন। 
তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসা গ্রহনের পরামর্শ থাকবে। 

(০২)
দুর্গন্ধের সম্ভাবনায় কাঁচা পেঁয়াজ খেয়ে মসজিদে বা জনসম্মুখে যাওয়া মাকরুহে তানযিহি।পিয়াজ খাওয়ার দরুণ নামাযে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً فَلْيَعْتَزِلْنَا - أَوْ لِيَعْتَزِلْ مَسْجِدَنَا - وَلْيَقْعُدْ فِي بَيْتِهِ " . وَإِنَّهُ أُتِيَ بِبَدْرٍ فِيهِ خَضِرَاتٌ مِنَ الْبُقُولِ فَوَجَدَ لَهَا رِيحًا فَسَأَلَ فَأُخْبِرَ بِمَا فِيهَا مِنَ الْبُقُولِ فَقَالَ " قَرِّبُوهَا " . إِلَى بَعْضِ أَصْحَابِهِ كَانَ مَعَهُ فَلَمَّا رَآهُ كَرِهَ أَكْلَهَا قَالَ " كُلْ فَإِنِّي أُنَاجِي مَنْ لاَ تُنَاجِي "

আহমদ ইবন সালিহ (রহঃ) ......... জাবির ইবন আবদিল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রসুন বা পেয়াজ খাবে, সে যেন আমাদের থেকে পৃথক থেকে, অথবা আমাদের মসজিদ হতে দূরে থাকে। আর তার উচিত, সে যেন তার ঘরের মধ্যে থাকে। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট একটি পাত্র পেশ করা হয়, যাতে সবজীর তরকারি ছিল। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তরকারীর গন্ধ পেয়ে জিজ্ঞাসা করেনঃ এটি কিসের তৈরী? তখন তাঁকে তরকারি সম্পর্কে জানানো হয়। তখনা তিনি সেটি তাঁর কোন সাহাবীর নিকট রাখার জন্য নির্দেশ দেন। উক্ত সাহাবী তা খেতে অনীহা প্রকাশ করলে তিনি বলেনঃ তুমি তা খাও। কেননা, আমি এমন জাতের সঙ্গে একান্তে কথাবার্তা বলি, যার সাথে তুমি কথা বল না।
(আবু দাউদ ৩৭৭৯)

নবীজী ﷺ বলেছেন,
مَنْ أَكَلَ الْبَصَلَ وَالثُّومَ وَالْكُرَّاثَ فَلَا يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا، فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ تَتَأَذَّى مِمَّا يَتَأَذَّى مِنْهُ بَنُو آدَمَ
যে ব্যক্তি পেঁয়াজ, রসুন এবং পেঁয়াজের মতো গন্ধ হয় এমন কোনো সবজী খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদের ধারে কাছেও না আসে, কেননা; মানুষ যে খারাপ গন্ধ দ্বারা কষ্ট পায়, ফিরিস্তারাও তদ্রূপ কষ্ট পায়। (সহীহ মুসলিম ১/৩৯৫)

আর বলা বাহুল্য যে, সিগারেটের দুর্গন্ধ কাঁচা পেঁয়াজ ও রসুনের চেয়েও অধিক দুর্গন্ধ। 

قال رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم: من أکل من ھذہ الشجرة فلا یقربن مسجدنا، وفی روایة فإن الملائکة تتأذی مما یتأذی منہ الإنس (مسلم شریف: ج۱ ص۲۰۹) 
সারমর্মঃ-
রাসুল সাঃ বলেছেন যে যারা এসব জিনিস খায়,তারা যেনো মসজিদের নিকটবর্তী না হয়,অন্য রেওয়ায়েতে এসেছে যে ফেরেশতারা এতে কষ্ট পায়। 
,  
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কাঁচা পেয়াজ খাওয়া মাকরুহ নয়,তবে দুর্গন্ধের সম্ভাবনায় কাঁচা পেঁয়াজ খেয়ে মসজিদে বা জনসম্মুখে যাওয়া মাকরুহ।

তাই কাঁচা পেঁয়াজ খেলে মুখ পরিস্কার করে মুখ হতে দুর্গন্ধ দূর করে মসজিদে/জনসম্মুখে যেতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 109 views
0 votes
1 answer 222 views
...