ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﻦْ ﺗَﺸَﺒَّﻪَ ﺑِﻘَﻮْﻡٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ( ﺍﻟﻠﺒﺎﺱ / 3512 ) ﻗﺎﻝ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺢ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ : ﺣﺴﻦ ﺻﺤﻴﺢ . ﺑﺮﻗﻢ ( 3401
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ বলেন যে ব্যক্তি অন্য গোত্রে (অমুসলিম)-র অনুসরণ করবে সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত হবে।(আবু-দাউদ-৩৫১২) ইমদাদুল ফাতাওয়া,৪/২৬৬।
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জামানায় কানে ছিদ্র করা তথা পিয়ার্সিং এর প্রথা ছিল।আরবদের রীতিনীতির এর মধ্যে এটাও ছিলো যে, তাদের মহিলাগণ কানে ছিদ্র করে তারা তথায় গহনা পরিধান করত।এখন পর্যন্তও এ রীতি আরবদের মধ্যে অবশিষ্ট আছে। রাসূলুল্লাহ সাঃ এ সব দেখে কোনো প্রকার অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন নি।
যেহেতু রাসূলুল্লাহ এর মৌনসম্মতি তাতে রয়েছে। তাই ফুকাহায়ে কিরামগণ কান ছিদ্রকে তাগাইয়ুরে খালকিল্লাহ হওয়ার পরও সেটাকে জায়েয মনে করেন।(তাগাইয়ুরে খালকিল্লাহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/466নাকের ছিদ্র নিয়ে কিছুটা দ্বিমত থাকলেও শেষপর্যন্ত কানের উপর কিয়াস করে এটাকেও ফুকাহায়ে কিরামগণ জায়েয ফাতাওয়া দিয়েছেন।এগুলো শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য (বিস্তারিত দেখুন........অাহসানুল ফাতাওয়া-৮/১৯২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(ক) স্বামীর মর্জি অনুযায়ী সাজসজ্জার জন্য ঠোঁটে বা জিহবায় কিংবা নাভিতে দুল/আংটি ব্যবহার করা যাবে না। কেননা এটাতে কাফিরদের সাথে সাদৃশ্য হয়ে যায়।
(খ)দুই কানে দুইটি ফোরানো থাকাবস্থায় স্বামীর আদেশে কানদ্বয়ে আরেকটি ফুড়ানো করা জায়েয হবে না।