ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/50877/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে
যে, নিয়মিত নামায আদায় করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে মুনাজাত করে,
তাঁকে স্মরণ করে, তাঁর কিতাব তেলাওয়াত করে স্বাদ
অনুভব করতে হবে।
আল্লাহ্ তাআলা বলেন,
اتْلُ
مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ
تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ وَاللَّهُ
يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ
আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম
করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ।
আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। (সূরা আনকাবুত ৪৫)
একবার সাহাবারা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলল, অমুক সাহাবী বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়েছে। রাসূলুল্লাহ
ﷺ জিজ্ঞেস করলেন, সে
কি এখনো নামাজ পড়ে? সবাই বলল, হ্যাঁ,
পড়ে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, সে যদি নামাজ পড়তে
থাকে তাহলে নামাজ তাকে অবশ্যই একদিন খারাপ কাজ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। (মুসনাদে আহমাদ
২/৪৪৭)
★বেশি বেশি যিকির করতে হবে।
★নিজের ভিতর থেকে হতাশা সম্পূর্ন ভাবে দূর করে দিন। আলোর পথে
আসুন।
★যেই জায়গা, যেই কাজ করলেই ঐ
বিষয় গুলো মাথায় আসে, সেই জায়গায় যাওয়া সেই কাজ করা থেকে বিরত
থাকুন।
★কোনোভাবেই একাকী থাকা যাবেনা।
কিভাবে কাহারো সাথে থাকা যায়, সেই ব্যবস্থা করুন। বিশেষ করে একাকী রাত কোনোভাবেই কাটানো যাবেনা।
আপনার রুমে অন্য কাহারো থাকা নিশ্চিত করুন।
ঘুমানোর সময় ইসলামী আদবগুলো মেনে চলতে হবে। যেমন ঘুমানোর দোয়াগুলো
পড়া, ডান পার্শ্বে কাত হয়ে শোয়া, পেটের উপর ভর দিয়ে না-ঘুমানো; যেহেতু এ সম্পর্কে নবী
ﷺ-এর নিষেধ আছে।
★কাছে মোবাইল বা কম্পিউটার
রাখা যাবেনা, সেটি অন্য ঘরে রেখে আসতে হবে। যথাসম্ভব মাগরিবের
পর থেকেই মোবাইল থেকে দূরে থাকতে হবে।
★অনৈসলামিক কোনোকিছুই মোবাইল, কম্পিউটারে রাখা যাবেনা।
★পাশাপাশি নবী নবী ﷺ-এর নির্দেশিত প্রতিকার
পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। সেটা হচ্ছে– রোযা রাখা। কেননা রোযা যৌন চাহিদাকে পরিশীলিত করে।
হস্তমৈথুন কারীরা অনেকে সাহস না পাওয়ার কারনে বিবাহ করতে ভয়
পায়, আসলে তাদের অনেকেই বিবাহ করতে পারবে,
তবে ভয় পাওয়া আর হাতুরি ডাক্টারদের কথা শুনে বিবাহের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন
করে ফেলে। আমি বলবো যে এক্ষেত্রে বিবাহই করতে হবে।
যদি শতচেষ্টার পর কোনো কারণে বিয়ে করা অসম্ভব হয়,তাহলে যৌনক্ষমতাকে দমিয়ে রাখতে এক্ষেত্রে রোযা রাখাই নির্দিষ্ট।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
يَا
مَعْشَرَ الشَّبَابِ ، مَنْ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ ،
فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ
فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ
হে যুবকদের দল! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থবান,তারা যেন বিয়ে করে নেয়।কেননা বিয়ে চক্ষুকে নিচু রাখে এবং লজ্জাস্থানকে
হেফাজত করে। আর যাদের বিয়ের সামর্থ্য নেই তারা যেন রোযা রাখে।কেননা রোযা ঢাল স্বরূপ।
(সহীহ বোখারী-১৯০৫,সহীহ মুসলিম-১৪০০)
সুতরাং মাঝে মাঝে নফল রোজা রাখতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
يَا
مَعْشَرَ الشَّبَابِ ، مَنِ اسْتَطَاعَ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ ، ، وَمَنْ
لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ
وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ
হে যুবক সম্প্রদায় ! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহ করার সামর্থ্য
রাখে, তারা যেন বিবাহ করে। কেননা, বিবাহ তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং যৌনতাকে সংযমী করে এবং যাদের বিবাহ করার
সামর্থ্য নাই, সে যেন রোযা পালন করে। কেননা, রোযা তার যৌনতাকে দমন করে। (বুখারী, হাদীস নং-৪৯৯৬)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. যেই জায়গা, যেই
কাজ করলেই ঐ বিষয় গুলো মাথায় আসে, সেই জায়গায় যাওয়া সেই কাজ করা
থেকে বিরত থাকুন এবং উক্ত খারাপ কাজের গোনাহর কথা মনে করে উক্ত খারাপ কাজ হতে বিরত
থাকুন।
২. আপনার পরিবারের যিনি (বোন, নানা, নানি, দাদি, দাদা, খালা
ইত্যাদি) আপনার কথা ভালো মতো শুনেন তার মাধ্যমে আপনাকে বিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আপনার
পিতা-মাতাকে বলতে পারেন এবং দ্রুত বিয়ের জন্য বেশী বেশী দুআ করতে থাকুন।