ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/16736/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
ইসলামি পরিভাষায় দান করাকেই সদকা বলা হয়।
সদকা শব্দটি এসেছে আরবি ‘সিদকুন’ থেকে। অর্থ: সত্যতা, যথার্থতা। পরিভাষায়
সদকা বলা হয়, একমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করার লক্ষ্যে স্বীয়
সম্পদ ব্যয় করা।
সদকা দুই প্রকার।
এক, আবশ্যকীয় যেমন যাকাত।
দুই, নফল দান।
,
এই নফল দান তথা যেটি আবশ্যকীয় নয়,সেটি আবার দুই
প্রকার।
(১) সাধারণ সদকা (২) সদকায়ে জারিয়া। গরিব দুঃখীকে টাকা পয়সা দান
করা, ভালো ব্যবহার করা সাধারণ সদকার অন্তর্ভুক্ত।
আর সাদকায়ে জারিয়া বলা হয় ঐ সমস্ত সৎকর্ম যেগুলোর কল্যাণকারিতা
স্থায়ী হয়।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَمَثَلُ
الَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَالَهُمُ ابْتِغَاء مَرْضَاتِ اللّهِ وَتَثْبِيتًا
مِّنْ أَنفُسِهِمْ كَمَثَلِ جَنَّةٍ بِرَبْوَةٍ أَصَابَهَا وَابِلٌ فَآتَتْ
أُكُلَهَا ضِعْفَيْنِ فَإِن لَّمْ يُصِبْهَا وَابِلٌ فَطَلٌّ وَاللّهُ بِمَا
تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করে আল্লাহর সন্তুষ্টি
অর্জনের লক্ষ্যে এবং নিজের মনকে সুদৃঢ় করার জন্যে তাদের উদাহরণ টিলায় অবস্থিত বাগানের
মতো, যাতে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়; অতঃপর দ্বিগুণ ফসল দান
করে। যদি এমন প্রবল বৃষ্টিপাত না-ও হয়, তবে হাল্কা বর্ষণই যথেষ্ট। আল্লাহ তোমাদের কাজকর্ম যথার্থই প্রত্যক্ষ
করেন।’ (সূরা: বাকারা, আয়াত: ২৬৫)
مَثَلُ
الَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ
أَنْبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِي كُلِّ سُنْبُلَةٍ مِائَةُ حَبَّةٍ وَاللَّهُ
يُضَاعِفُ لِمَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
যারা আল্লাহর রাস্তায় সম্পদ ব্যয় করে তার উদাহরণ হচ্ছে সেই বীজের
মতো যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। আর প্রতিটি শীষে একশতটি করে দানা থাকে। আর আল্লাহ যাকে
ইচ্ছা অতিরিক্ত দান করেন। আল্লাহ সুপ্রশস্ত সুবিজ্ঞ।’ (সূরা: বাকারা, আয়াত: ২৬১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنِي
مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي الْحُبَابِ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ تَصَدَّقَ
بِصَدَقَةٍ مِنْ كَسْبٍ طَيِّبٍ وَلَا يَقْبَلُ اللَّهُ إِلَّا طَيِّبًا كَانَ
إِنَّمَا يَضَعُهَا فِي كَفِّ الرَّحْمَنِ يُرَبِّيهَا كَمَا يُرَبِّي أَحَدُكُمْ
فَلُوَّهُ أَوْ فَصِيلَهُ حَتَّى تَكُونَ مِثْلَ الْجَبَلِ
সায়ীদ ইবনে ইয়াসার (রহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি হালাল উপায়ে অর্জিত মাল সদকা করে, আল্লাহ তা’আলা
হালাল অর্থাৎ পবিত্রকেই কবুল করেন – তাহা হইলে উক্ত সদকা সে আল্লাহর হাতে দিল। আল্লাহ্
পাক তাহাকে এইভাবে লালন-পালন করেন, যেইভাবে তোমরা ঘোড়ার বাচ্চা কিংবা উটের বাচ্চা লালন-পালন কর।
শেষ পর্যন্ত সেই সদকা (বর্ধিত হইয়া) পর্বতসমান হইয়া যায়। (মুয়াত্তা মালিক- ১৮৭২)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জ্বী হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার শশুরের রোগের কথা
বলে মানুষের থেকে নফল সদকাহ উঠিয়ে দিতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। বরং আপনার আরো
অনেক সওয়াব হবে ইনশাআল্লাহ।