আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
ওযু ছাড়া আজান দেওয়া যাবে?

ওযু ছাড়া আজান দিলে বিপদ আপদ আসে কথাটি কি ঠিক?

আমার দাদা বলছে ওযু ছাড়া আজান দেওয়া যায় না।

যে কুরআন তেলাওয়াত অশুদ্ধ পড়ে . যেমন এক খ কে খা বলে অক্ষর ঠিক থাকে না। তার পিছনে নামায আদায় করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

ওযু ছাড়া আযান দিলেও আযান সহীহ হয়ে যায়। হযরত ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেন-

لَا بَأْسَ بِأَنْ يُؤَذِّنَ المُؤَذِّن، وَهُوَ عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ.

মুআযযিন যদি ওযু ছাড়া আযান দেয় এতে অসুবিধা নেই। (কিতাবুল আছার, বর্ণনা ৫৮)

তবে ওযু অবস্থায় আযান দেওয়া সুন্নত। তাই ওযুসহ আযান দেওয়ার প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। হযরত আতা রাহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-

حَقّ، وَسُنّةٌ مَسْنُونَةٌ، أَنْ لَا يُؤَذِّنَ مُؤَذِّنٌ إِلّا مُتَوَضِّئًا.

আযানের সুন্নত তরীকা হল মুআযযিন ওযু অবস্থায়ই আযান দেবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রায্যাক, বর্ণনা ১৭৯৯)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. অযু অবস্থায় আযান দেওয়া মুস্তাহাব। তাই যথাসম্ভব অযুসহ আযান দেওয়ার চেষ্টা করবে। তবে অযু না থাকা অবস্থায় আযান দিলেও তা আদায় হয়ে যাবে এবং গুনাহ হবে না। অজু অবস্থায় আজান দেওয়া মুস্তাহাব। অজু ছাড়া দিলেও শুদ্ধ হয়ে যায়। তবে অজুবিহীন আজানে অভ্যস্ত হওয়া উচিত নয়। সুতরাং আপনার দাদার উক্ত কথাটি সঠিক নয়।

২. মসজিদের ইমামের তিলাওয়াত শুদ্ধ হতে হবে। কেননা তার নামাজের উপরেই সকলের নামাজের শুদ্ধতা নির্ভর করে। যার তেলাওয়াত সবচেয়ে বেশী বিশুদ্ধ, তিনিই ইমামতি করবেন। যদি এমন কেউ ইমামতি করেন,যার তেলাওয়াতে লাহনে জ্বালী থাকে অর্থাৎ এমন ভূল যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,এবং সেই নামাযে বিশুদ্ধ তেলাওয়াতকারীও উপস্থিত থাকেন, তাহলে বিশুদ্ধ তেলাওয়াতকারীর নামায হবে না।উনাকে এ'আদাহ তথা আবার নতুন করে ঐ নামায পড়তে হবে।। কোথাও যদি এক পর্যায়ের এমন কিছু লোক থাকে যাদের সবারই ক্বেরাতে ভূল থাকে,তাহলে তাদের মধ্যে যে কেউ নামায পড়াতে পারবে।এবং তখন সবার নামাযই বিশুদ্ধ হবে।

সুতরাং প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে “খ” কে “খা” বললে আয়াতের অর্থ বিকৃত হয়ে যায় না। বিধায় এতটুকু ভুলের কারণে তার পিছনে নামাজ পড়া নাজায়েয হবে না। তবে ইমামের উচিত স্বীয় তেলাওয়াত আরো সহিহ করে নেওয়া। কিন্তু তার তেলাওয়াতে যদি অর্থ বিকৃত হওয়ার মত ভুল থাকে তাহলে বিশুদ্ধ তেলাওয়াত কারী ব্যক্তির জন্য তার পিছনে সালাত আদায় করা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 681 views
0 votes
1 answer 102 views
...