ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির
রহমানির রহিম
بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
ওযু ছাড়া আযান
দিলেও আযান সহীহ হয়ে যায়। হযরত ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেন-
لَا
بَأْسَ بِأَنْ يُؤَذِّنَ المُؤَذِّن، وَهُوَ عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ.
মুআযযিন যদি
ওযু ছাড়া আযান দেয় এতে অসুবিধা নেই। (কিতাবুল আছার, বর্ণনা ৫৮)
তবে ওযু অবস্থায়
আযান দেওয়া সুন্নত। তাই ওযুসহ আযান দেওয়ার প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। হযরত আতা রাহ.
থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
حَقّ،
وَسُنّةٌ مَسْنُونَةٌ، أَنْ لَا يُؤَذِّنَ مُؤَذِّنٌ إِلّا مُتَوَضِّئًا.
আযানের সুন্নত
তরীকা হল মুআযযিন ওযু অবস্থায়ই আযান দেবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রায্যাক,
বর্ণনা ১৭৯৯)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. অযু
অবস্থায় আযান দেওয়া মুস্তাহাব। তাই যথাসম্ভব অযুসহ আযান দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে অযু না থাকা অবস্থায় আযান দিলেও তা আদায় হয়ে যাবে এবং গুনাহ হবে না।
অজু অবস্থায় আজান দেওয়া মুস্তাহাব। অজু ছাড়া দিলেও শুদ্ধ হয়ে যায়। তবে অজুবিহীন আজানে
অভ্যস্ত হওয়া উচিত নয়। সুতরাং আপনার দাদার উক্ত কথাটি সঠিক নয়।
২. মসজিদের
ইমামের তিলাওয়াত শুদ্ধ হতে হবে। কেননা তার নামাজের উপরেই সকলের নামাজের শুদ্ধতা নির্ভর
করে। যার তেলাওয়াত সবচেয়ে বেশী বিশুদ্ধ, তিনিই ইমামতি করবেন। যদি এমন কেউ ইমামতি করেন,যার তেলাওয়াতে লাহনে জ্বালী থাকে অর্থাৎ এমন ভূল
যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,এবং সেই নামাযে বিশুদ্ধ তেলাওয়াতকারীও উপস্থিত থাকেন,
তাহলে বিশুদ্ধ তেলাওয়াতকারীর নামায
হবে না।উনাকে এ'আদাহ তথা আবার নতুন করে ঐ নামায পড়তে হবে।। কোথাও যদি এক পর্যায়ের এমন কিছু লোক
থাকে যাদের সবারই ক্বেরাতে ভূল থাকে,তাহলে তাদের মধ্যে যে কেউ নামায পড়াতে পারবে।এবং
তখন সবার নামাযই বিশুদ্ধ হবে।
সুতরাং প্রশ্নেল্লিখিত
ছুরতে “খ” কে “খা” বললে আয়াতের অর্থ বিকৃত হয়ে যায় না। বিধায় এতটুকু ভুলের কারণে তার
পিছনে নামাজ পড়া নাজায়েয হবে না। তবে ইমামের উচিত স্বীয় তেলাওয়াত আরো সহিহ করে নেওয়া।
কিন্তু তার তেলাওয়াতে যদি অর্থ বিকৃত হওয়ার মত ভুল থাকে তাহলে বিশুদ্ধ তেলাওয়াত কারী
ব্যক্তির জন্য তার পিছনে সালাত আদায় করা জায়েয হবে না।