আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
121 views
in সালাত(Prayer) by (9 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু

আউয়াল ওয়াক্তে নামাজ পড়া কি মেয়েদের জন্য ফরজ?

জোহর আসর আর এশা নামাজ আমি দেড়ি করে পড়ে থাকে, আউয়াল ওয়াক্তের নামাজ অতি দরকারে নাকি পড়া যায়,  কিন্তু এখন জানলাম এই নামাজ নাকি মেয়েদের জন্য ফরজ, শাইখ আহমাদুল্লাহ ওয়াজ শুনেছিলাম, ওখানে মেয়েদের জন্য ফরজ কিনা বলা নেই, ফরজ নামাজ বাদ দিলে তো অনেক গুনা হয়,

যদি ফরজ না হয় তাহলে আমি আজানের কিছু পরে আমি নামাজগুলো পড়তে চাই, তাহলে কি আমার হবে, নাকি আমি পাপের ভাগী হব,

ওস্তাদের কাছে শুনেছিলাম এশার নামাজ দেরি করে পড়া ভালো, এশার নামাজ পড়তে পড়তে রাত দশটা বেজে যায়, আমার করনীয় কি


কি ভাবে এই নামাজ আদায় করতে হয়, এর কি কনো নিয়ম আছে

1 Answer

0 votes
by (58,470 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

 https://ifatwa.info/3575/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মহিলা একা নামায পড়ুক বা জমাতের সাথে পড়ুক তাদের জন্য ইক্বামত নেই। (আহসানুল ফাতাওয়া-২/২৮৩)

নামাযের জন্য আযান ফরয বা ওয়াজিব নয় বরং সুন্নাত। (ফাতাওয়ায়ে ক্বাসিমিয়্যাহ-৫/৩৬২)

ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেনঃ

(ﻗَﻮْﻟُﻪُ: ﻟِﻠﺮِّﺟَﺎﻝِ) ﺃَﻣَّﺎ اﻟﻨِّﺴَﺎءُ ﻓَﻴُﻜْﺮَﻩُ ﻟَﻬُﻦَّ اﻷَْﺫَاﻥُ ﻭَﻛَﺬَا اﻹِْﻗَﺎﻣَﺔُ، ﻟِﻤَﺎ ﺭُﻭِﻱَ ﻋَﻦْ ﺃَﻧَﺲٍ ﻭَاﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻣِﻦْ ﻛَﺮَاﻫَﺘِﻬِﻤَﺎ ﻟَﻬُﻦَّ؛ ﻭَﻷَِﻥَّ ﻣَﺒْﻨَﻰ ﺣَﺎﻟِﻬِﻦَّ ﻋَﻠَﻰ اﻟﺴَّﺘْﺮِ، ﻭَﺭَﻓْﻊُ ﺻَﻮْﺗِﻬِﻦَّ ﺣَﺮَاﻡٌ ﺇﻣْﺪَاﺩٌ، ﺛُﻢَّ اﻟﻈَّﺎﻫِﺮُ ﺃَﻧَّﻪُ ﻳُﺴَﻦُّ ﻟِﻠﺼَّﺒِﻲِّ ﺇﺫَا ﺃَﺭَاﺩَ اﻟﺼَّﻼَﺓَ ﻛَﻤَﺎ ﻳُﺴَﻦُّ ﻟِﻠْﺒَﺎﻟِﻎِ ﻭَﺇِﻥْ ﻛَﺎﻥَ ﻓِﻲ ﻛَﺮَاﻫَﺔِ ﺃَﺫَاﻧِﻪِ ﻟِﻐَﻴْﺮِﻩِ ﻛَﻼَﻡٌ ﻛَﻤَﺎ ﺳَﻴَﺄْﺗِﻲ ﻓَﺎﻓْﻬَﻢْ.

আযান পুরুষদের জন্য সুন্নাত।এবং মহিলাদের জন্য আযান-ঈক্বামত মাকরুহ। হযরত আনস রাযি এবং ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,যে তারা মহিলাদের জন্য আযান-ইক্বামতকে অপছন্দ করতেন।কেননা মহিলাদের অবস্থান পর্দার আড়ালে।এবং তাদের স্বরকে পর পুরুষের সামনে উচ্ছ করা হারাম।নাবালেক বালকদের জন্য আযান-ঈক্বামত মাসনুন যখন তারা নামাযের ইচ্ছা পোষন করবে।যেভাবে বালেগদের জন্য মাসনুন।তবে যদিও নাবালেক কর্তৃক বালেগদের জন্য আযান-ঈক্বামত প্রদাণ মাকরুহ।এবং এ বিষয়ে আলোচনা রয়েছে। {রদ্দুল মুহতার;১/৩৮৪}

قال (وليس على النساء أذان ولا إقامة) لأنهما سنة الصلاة بالجماعة وجماعتهن منسوخة لما في اجتماعهن من الفتنة وكذلك إن صلين بالجماعة صلين بغير أذان ولا إقامة

মহিলাদের উপর আযান-ঈক্বামত নেই।কেননা আযান-ঈক্বামত হচ্ছে জামাতের সাথে নামায আদায়কালীন সুন্নাত।আর মহিলাদের জামাতের সাথে নামায মানসুখ বা রহিত কেননা মহিলাদের জমায়েত ফিৎনা আশংকাজনক।ঠিকতেমনিভাবে যদি তারা জামাতে নামায পড়েও নেয় তবে যেন তারা আযান-ঈক্বামত ব্যতীত পড়ে। (মাবসুত-সারখাসী-১/১৩৩)

আযান প্রচলনের হেকমত বা রহস্য হিসেবে চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ  "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় "বর্ণিত রয়েছে,

شُرِعَ الأَْذَانُ لِلإِْعْلاَمِ بِدُخُول وَقْتِ الصَّلاَةِ، وَإِعْلاَءِ اسْمِ اللَّهِ بِالتَّكْبِيرِ، وَإِظْهَارِ شَرْعِهِ وَرِفْعَةِ رَسُولِهِ، وَنِدَاءِ النَّاسِ إِلَى الْفَلاَحِ وَالنَّجَاحِ

তরজমাঃ-নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশ হয়েছে, একথা বোঝানোর জন্য আযানের প্রচলন শুরু হয়।শুধু তাই নয় বরং তাকবীরের মাধ্যমে আল্লাহর নামকে উচু করার স্বার্থে।এবং আল্লাহ তা'আলার বিধি-বিধানকে প্রকাশ করতে ও তার রাসূল সাঃ এর মর্যদাকে বৃদ্ধি করতে সর্বোপরি লোকদিগকে কল্যাণ ও কামিয়াবির দিকে ডাকতে আযানের প্রচলন শুরু হয়।

(২/৩৫৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

ফুকাহায়ে কেরামদের উপরোক্ত  আলোচনা দ্বারা বুঝা যায় যে, আযান হচ্ছে নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশের ঘোষক। কিন্তু যেহেতু আযানের পরপরই নামায শুরু করাটা সুবিধাজনক। তাই ওয়াক্ত প্রবেশের সাথে সাথেই আযান না দিয়ে বরং হাদীসে বর্ণিত মুস্তাহাব ওয়াক্তের কিছু পূর্বে আযান দেয়া হয়ে থাকে।

সুতরাং প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্ত হয়ে গেলে আযান হোক বা নাই হোক, শোনা যাক বা নাই যাক। নামায পড়ে নিলে নামায দায় হয়ে যাবে। কিন্তু আওয়াল ওয়াক্তে নামাজ পড়া ফরজ নয়, বরং মুস্তাহাব। প্রত্যেক নামাযের মুস্তাহাব ওয়াক্তেই নামায পড়া উত্তম। আজানের কিছু সময় পরে ওয়াক্তের মধ্যে সালাত আদায় করা জায়েয আছে। তবে ওয়াক্তের মধ্যে সালাত আদায় করতেই হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 341 views
...