আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
134 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
১/ভর্তি আবেদনে ছবি দিতে হয় এক্ষেত্রে কি তা করা জায়েজ?

২/আমি যদি কাউকে বলি পিরিয়ড অবস্থায় শ্যাম্পু না করতে দুধ না খেতে তাহলে কি এটা উপদেশ?

৩/কেউ যদি অন্যকারো থেকে টাকা দিয়ে অন্যের  ওয়াইফাই ব্যবহার করে আমি যদি তার থেকে সেইটা ব্যবহার করি তা কি জায়েজ?

৪/কারো কাছে কিছু বিক্রি  করার কথা বললে সেও যদি কিনবে বলে তারপরে যদি আমি বিক্রি করতে না চাই  তাহলে কি আমার গুনাহ হবে?
৫/যদি ইচ্ছায় অনিচ্ছায় কোনো পোশাক নিয়ে মনের মধ্যে অহংকার চলে আসে যা আমি বাস্তবে চাই না করতে বা কখনো করবোও না  তাহলে কি পোশাকটি পড়লে আমার গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (586,740 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জরুরত অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে হালাল করে দেয়,
 ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।
যেমনঃ-কোরআন থেকে.....
 ﻭَﻣَﺎ ﻟَﻜُﻢْ ﺃَﻻَّ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﻣِﻤَّﺎ ﺫُﻛِﺮَ ﺍﺳْﻢُ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﻗَﺪْ ﻓَﺼَّﻞَ ﻟَﻜُﻢ ﻣَّﺎ ﺣَﺮَّﻡَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﺍﺿْﻄُﺮِﺭْﺗُﻢْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﻭَﺇِﻥَّ ﻛَﺜِﻴﺮًﺍ ﻟَّﻴُﻀِﻠُّﻮﻥَ ﺑِﺄَﻫْﻮَﺍﺋِﻬِﻢ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﻋِﻠْﻢٍ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ ﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﺎﻟْﻤُﻌْﺘَﺪِﻳﻦ
তরজমাঃ-কোন কারণে তোমরা এমন জন্তু থেকে ভক্ষণ করবে না, যার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয়, অথচ আল্লাহ ঐ সব জন্তুর বিশদ বিবরণ দিয়েছেন, যেগুলোকে তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন; কিন্তু সেগুলোও তোমাদের জন্যে হালাল, যখন তোমরা নিরুপায় হয়ে যাও। অনেক লোক স্বীয় ভ্রান্ত প্রবৃত্তি দ্বারা না জেনে বিপথগামী করতে থাকে। আপনার প্রতিপালক সীমাতিক্রম কারীদেরকে যথার্থই জানেন।(সূরা আন-আম-আয়াতঃ-১১৯)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)ভর্তি আবেদনের সময জরুরতের কারণে ছবি দেওয়া জায়েয হবে।

(২) যদি কাউকে বলা হয় যে, পিরিয়ড অবস্থায় শ্যাম্পু ব্যবহার না করবেন না বা দুধ না খাবেন না, তাহলে এটা একটা মুবাহ কথা হিসেবে বিবেচিত হবে।

(৩) যদি কেউ টাকা দিয়ে অন্যের ওয়াইফাই ব্যবহার করে, তাহলে তার থেকে টাকার বিনিময়ে আপনি সেইটা ব্যবহার করতে পারবেন না,জায়েয হবে না।

(৪)কারো কাছে কিছু বিক্রি করার কথা বললে, বিক্রি করাই উচিৎ। বিশেষ কোনো জরুরত ব্যতিত বিক্রি না করলে, অবশ্যই ওয়াদা খেলাফের গোনাহ হবে।

(৫)যদি অনিচ্ছায় কোনো পোশাক নিয়ে মনের মধ্যে অহংকার চলে আসে, অতপর পোশাকটি পড়লে, এক্ষেত্রে আপনার কোনো গুনাহ হবে না। তবে ইচ্ছাকৃত অহংকার করলে তখন কিন্তু ঐ পোষাকটি পরিধান করা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...