ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জরুরত অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে হালাল করে দেয়,
ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।
যেমনঃ-কোরআন থেকে.....
ﻭَﻣَﺎ ﻟَﻜُﻢْ ﺃَﻻَّ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﻣِﻤَّﺎ ﺫُﻛِﺮَ ﺍﺳْﻢُ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﻗَﺪْ ﻓَﺼَّﻞَ ﻟَﻜُﻢ ﻣَّﺎ ﺣَﺮَّﻡَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﺍﺿْﻄُﺮِﺭْﺗُﻢْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﻭَﺇِﻥَّ ﻛَﺜِﻴﺮًﺍ ﻟَّﻴُﻀِﻠُّﻮﻥَ ﺑِﺄَﻫْﻮَﺍﺋِﻬِﻢ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﻋِﻠْﻢٍ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ ﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﺎﻟْﻤُﻌْﺘَﺪِﻳﻦ
তরজমাঃ-কোন কারণে তোমরা এমন জন্তু থেকে ভক্ষণ করবে না, যার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয়, অথচ আল্লাহ ঐ সব জন্তুর বিশদ বিবরণ দিয়েছেন, যেগুলোকে তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন; কিন্তু সেগুলোও তোমাদের জন্যে হালাল, যখন তোমরা নিরুপায় হয়ে যাও। অনেক লোক স্বীয় ভ্রান্ত প্রবৃত্তি দ্বারা না জেনে বিপথগামী করতে থাকে। আপনার প্রতিপালক সীমাতিক্রম কারীদেরকে যথার্থই জানেন।(সূরা আন-আম-আয়াতঃ-১১৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)ভর্তি আবেদনের সময জরুরতের কারণে ছবি দেওয়া জায়েয হবে।
(২) যদি কাউকে বলা হয় যে, পিরিয়ড অবস্থায় শ্যাম্পু ব্যবহার না করবেন না বা দুধ না খাবেন না, তাহলে এটা একটা মুবাহ কথা হিসেবে বিবেচিত হবে।
(৩) যদি কেউ টাকা দিয়ে অন্যের ওয়াইফাই ব্যবহার করে, তাহলে তার থেকে টাকার বিনিময়ে আপনি সেইটা ব্যবহার করতে পারবেন না,জায়েয হবে না।
(৪)কারো কাছে কিছু বিক্রি করার কথা বললে, বিক্রি করাই উচিৎ। বিশেষ কোনো জরুরত ব্যতিত বিক্রি না করলে, অবশ্যই ওয়াদা খেলাফের গোনাহ হবে।
(৫)যদি অনিচ্ছায় কোনো পোশাক নিয়ে মনের মধ্যে অহংকার চলে আসে, অতপর পোশাকটি পড়লে, এক্ষেত্রে আপনার কোনো গুনাহ হবে না। তবে ইচ্ছাকৃত অহংকার করলে তখন কিন্তু ঐ পোষাকটি পরিধান করা জায়েয হবে না।