আমি প্রবাসী কোন ভাইয়ের টাকা ব্যাংক, নগদ, রকেট অথবা বিকাশ যেকোনো একটার মাধ্যমে দেশে পাঠায় দিলাম। আর তার টাকাটা দেশে পাঠাইছি এর বিনিময়ে তার থেকে আমি প্রতি হাজারে ১০ টাকা করে পারিশ্রমিক অথবা সার্ভিস চার্জ নিলাম।
তো অনেক সময় দেখা যায় অনেক ভাই টাকা সাথে সাথে নগদ দেয় না। একমাস পরে অথবা স্যালারি আসলে পরে দেই। যেমন এক ভাই আমাকে বলল যে, ২০ হাজার টাকা দেশে পাঠায় দিতে। কিন্তু ২০ হাজার টাকা সে এখন দিতে পারবে না। ১ মাস পর/বেতন পেলে তারপর আমাকে দিবে। এখন সে যদি নগদ আমাকে ২০ হাজার টাকা দিত তাহলে আমি প্রতি হাজারে ১০ টাকা সার্ভিস চার্জ/অথবা পারিশ্রমিক হিসেবে তার থেকে ২০০ টাকা নিতাম। এখন যেহেতু সে নগদ দিচ্ছে না এইজন্য তার থেকে আমি সার্ভিস চার্জ/অথবা পারিশ্রমিক টা বাড়িয়ে প্রতি হাজার যদি ১৫ টাকা নেই। এটা কি হারাম হবে বা সুধের মধ্যে পড়বে। এখানে লক্ষ্যনিয় যে আমি কিন্তু তাকে কোন ঋণ দিচ্ছি না। এবং ২০ হাজার টাকা দেরিতে দেওয়ায় তার থেকে কিন্ত আমি ২০ হাজার টাকার উপর ভিত্তি করে কোনো এক্সট্রা টাকা নিচ্ছি না। বরং যেটা হচ্ছে দেরিতে দেওয়ার কারণে সার্ভিস চার্জ/অথবা পারিশ্রমিকটা একটু বাড়িয়ে নিচ্ছি।
উদাহরণ দিলে বুঝতে আরো সহজ হবে, দেখা যায় কিস্তিতে অনেকে পণ্য কিনে। তো এক্ষেত্রে দেখা যায় পণ্যের মালিক নগদে পণ্যটা বিক্রি করলে ১০ টাকা লাভ করে কাস্টমার থেকে। আর যদি কেউ বাকিতে কিনে তাহলে ২০ টাকা লাভ করে। এটা গ্রাহকের সাথে চুক্তি করে, উভয়ের সম্মতিতেই হয়। এছাড়া আরেকটা উদাহরণ দিলে আরো সহজ হবে, কেউ রাজমিস্ত্রির কাজ করল, মালিক রাজমিস্ত্রি কে বলল যে তুমি এই কাজগুলো করে দিবে কিন্ত তোমার পারিশ্রমিকটা আমি এখন দিব না এক সপ্তাহ পর দিব। এখন রাজমিস্ত্রিও তার শর্তে রাজি হয়ে বললো ঠিক আছে যদি আপনি এখন সাথে সাথে দেন তাহলে এই কাজগুলোর জন্য আমাকে ২ হাজার টাকা দিতে হবে। আর যদি এক এক সপ্তাহ পরে দেন তাহলে ২ হাজার ১০০ টাকা দিতে হবে। উপরের টাকা লেনদেনের সার্ভিস চার্জটাও ঠিক একই রকম। তো এক্ষেত্রে কি এটা সুদের আয়তাভুক্ত হবে কিনা?
এখানে আরেকটা বিষয় লক্ষ্যনিয়, টাকার রেট প্রতিনিয়ত কমে বাড়ে। যার কারনে, যদি গ্রাহক কে আমি বাকিতে এবং নগদে সমান সার্ভিস চার্জ দেই। তো এক মাস পরে যখন গ্রাহক আমাকে টাকাটা দিবে তখন যদি টাকার রেট কমে যায় তাহলে দেখা যায় আমার লস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর যদি সার্ভিস চার্জ কিছু বাড়িয়ে নেয়া হয় তাহলে একমাস পরে টাকাটা দিলে রেট কমে গেলেও তেমন বেশি লস হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
প্রিয় উস্তায, উপরের বিষয়গুলো ভালো করে পড়ে বুঝে উত্তর দিবেন আশা করি। জাযাকুমুল্লাহ খাই।