আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
282 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (25 points)
আমি প্রবাসী কোন ভাইয়ের টাকা ব্যাংক, নগদ, রকেট অথবা বিকাশ যেকোনো একটার মাধ্যমে দেশে পাঠায় দিলাম। আর তার টাকাটা দেশে পাঠাইছি এর বিনিময়ে তার থেকে আমি প্রতি হাজারে ১০ টাকা করে পারিশ্রমিক অথবা সার্ভিস চার্জ নিলাম।
তো অনেক সময় দেখা যায় অনেক ভাই টাকা সাথে সাথে নগদ দেয় না। একমাস পরে অথবা স্যালারি আসলে পরে দেই। যেমন এক ভাই আমাকে বলল যে, ২০ হাজার টাকা দেশে পাঠায় দিতে। কিন্তু ২০ হাজার টাকা সে এখন দিতে পারবে না। ১ মাস পর/বেতন পেলে তারপর আমাকে দিবে। এখন সে যদি নগদ আমাকে ২০ হাজার টাকা দিত তাহলে আমি প্রতি হাজারে ১০ টাকা সার্ভিস চার্জ/অথবা পারিশ্রমিক হিসেবে তার থেকে ২০০ টাকা নিতাম। এখন যেহেতু সে নগদ দিচ্ছে না এইজন্য তার থেকে আমি সার্ভিস চার্জ/অথবা পারিশ্রমিক টা বাড়িয়ে প্রতি হাজার যদি ১৫ টাকা নেই। এটা কি হারাম হবে বা সুধের মধ্যে পড়বে। এখানে লক্ষ্যনিয় যে আমি কিন্তু তাকে কোন ঋণ দিচ্ছি না। এবং ২০ হাজার টাকা দেরিতে দেওয়ায় তার থেকে কিন্ত আমি ২০ হাজার টাকার উপর ভিত্তি করে কোনো এক্সট্রা টাকা নিচ্ছি না। বরং যেটা হচ্ছে দেরিতে দেওয়ার কারণে সার্ভিস চার্জ/অথবা পারিশ্রমিকটা একটু বাড়িয়ে নিচ্ছি।
উদাহরণ দিলে বুঝতে আরো সহজ হবে, দেখা যায় কিস্তিতে অনেকে পণ্য কিনে। তো এক্ষেত্রে দেখা যায় পণ্যের মালিক নগদে পণ্যটা বিক্রি করলে ১০ টাকা লাভ করে কাস্টমার থেকে। আর যদি কেউ বাকিতে কিনে তাহলে ২০ টাকা লাভ করে। এটা গ্রাহকের সাথে চুক্তি করে, উভয়ের সম্মতিতেই হয়। এছাড়া আরেকটা উদাহরণ দিলে আরো সহজ হবে, কেউ রাজমিস্ত্রির কাজ করল, মালিক রাজমিস্ত্রি কে বলল যে তুমি এই কাজগুলো করে দিবে কিন্ত তোমার পারিশ্রমিকটা আমি এখন দিব না এক সপ্তাহ পর দিব। এখন রাজমিস্ত্রিও তার শর্তে রাজি হয়ে বললো ঠিক আছে যদি আপনি এখন সাথে সাথে দেন তাহলে এই কাজগুলোর জন্য আমাকে ২ হাজার টাকা দিতে হবে। আর যদি এক এক সপ্তাহ পরে দেন তাহলে ২ হাজার ১০০ টাকা দিতে হবে। উপরের টাকা লেনদেনের সার্ভিস চার্জটাও ঠিক একই রকম। তো এক্ষেত্রে কি এটা সুদের আয়তাভুক্ত হবে কিনা?

এখানে আরেকটা বিষয় লক্ষ্যনিয়, টাকার রেট প্রতিনিয়ত কমে বাড়ে। যার কারনে, যদি গ্রাহক কে আমি বাকিতে এবং নগদে সমান সার্ভিস চার্জ দেই। তো এক মাস পরে যখন গ্রাহক আমাকে টাকাটা দিবে তখন যদি টাকার রেট কমে যায় তাহলে দেখা যায় আমার লস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর যদি সার্ভিস চার্জ কিছু বাড়িয়ে নেয়া হয় তাহলে একমাস পরে টাকাটা দিলে রেট কমে গেলেও তেমন বেশি লস হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
প্রিয় উস্তায, উপরের বিষয়গুলো ভালো করে পড়ে বুঝে উত্তর দিবেন আশা করি। জাযাকুমুল্লাহ খাই।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


মহান আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ-

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ

তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم 
  " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)

https://ifatwa.info/86133/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

ব্যাংকের টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফার (টিটি) এবং ডাক বিভাগের মানি অর্ডারের সহজ বিকল্প হিসেবে বর্তমান মোবাইল ব্যাংকিং সেন্ড মানি ও ক্যাশ আউটের কাজ করে থাকে। ফিকহে ইসলামীর দৃষ্টিতে এটি ‘আলইজারাহ’-এর অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে টাকা জমা/উত্তোলনকারী হচ্ছে শ্রম/সেবা গ্রহীতা বা ‘মুসতাজির’।আর এজেন্ট হচ্ছে শ্রম/সেবাদাতা যাকে বলা হয় ‘আজীর’ (বা মূল‘আজীরে’র প্রতিনিধি)।
এক সময়ে ডাক বিভাগের মানি অর্ডারকেও তখনকার উলামায়ে কেরাম এভাবে বিশ্লেষণ করেছিলেন। ‘আলইজারা’এর মৌলিক শর্তগুলো পাওয়া যাওয়ায় বিকাশ ব্যবসা জায়েয বলা যায়। তবে বিকাশ ব্যবসায়ী বা এজেন্টের জন্য কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখা জরুরী।

১. পার্সোনাল একাউন্টের মাধ্যমে ব্যবসা করা যাবেনা, কেননা এটি আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ।
২. সেন্ড মানির সময় গ্রাহক থেকে কোন চার্জ নেয়া বা ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রে নির্ধারিত হারের চেয়েও বেশি রাখা যেমন হাজারে ১৮.৫০ টাকার জায়গায় ২০/- টাকা বা তার চেয়ে বেশি রাখা কোনোক্রমেই জায়েয হবে না। কেননা এখানে এজেন্ট হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির নিযুক্ত শ্রম/সেবাদাতা প্রতিনিধি (উকীল)।
কোম্পানি কর্তৃক নির্ধারিত চার্জের বেশি নেওয়ার অধিকার তার নেই।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/36025

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি যেহেতু ব্যাংক, নগদ, রকেট অথবা বিকাশ কর্তৃপক্ষের পক্ষ হতে নিয়মতান্ত্রিক এজেন্ট নন,আর এভাবে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করার বিনিময়ে লাভ নেয়া কোম্পানীর আইন বিরোধী কাজ।

সুতরাং নগদে টাকা পাঠালে হাজারে ১০ টাকা হোক,আর বাকিতে পাঠালে হাজারে ১৫ টাকা হোক,প্রশ্নের বিবরন মতে কোনো টাকা নেয়াই আপনার জন্য জায়েজ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
উস্তায আপনি বিষয়টা বুঝতে পারেননি, এখানে ব্যাংক, নগদ অথবা বিকাশের এজেন্টের কোন বিষয় না। তাদের সাথে আমি কানেক্টেড না। তাদের সাথে কানেক্টেড হলে তো আমি কোম্পানীর আইনবিরোধী হিসেবে সাব্যস্ত হবো। এখানে লেনদেনটা হচ্ছে আমার পার্সোনাল ব্যাংক একাউন্ট থেকে। আর আমি আমার পার্সোনাল একাউন্ট থেকে যেখানে ইচ্ছে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবো , এটা ব্যাংক থেকে অনুমোদিত এবং এটা সুযোগ ব্যাংক থেকেই করে দিয়েছে। এখানে ব্যাংক বিকাশ বা নগদের কোন কানেক্টিভিটি নাই। এখন আমি যে প্রশ্নটা করেছি ঐ প্রশ্নটার উত্তর দিলে উপকার হতো।
by (25 points)
প্রশ্নের উত্তরটা চাচ্ছি উস্তায
by (573,870 points)
উপরে বিস্তারিত উল্লেঝ রয়েছে,
পার্সোনাল একাউন্টের মাধ্যমে ব্যবসা করা যাবেনা। 
by
উস্তায এখানে পারসনাল অ্যাকাউন্ট দারা কি বিকাশের পারসনাল অ্যাকাউন্ট বুঝিয়েছেন? কেননা বিকাশ তাদের পারসনাল অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন করতে নিষেধ করে। 
by (573,870 points)
বিকাশের পারসনাল অ্যাকাউন্ট উদ্দেশ্য। 

তদুপরি বিকাশ কর্তৃপক্ষ থেকে জানা গিয়েছে যে তারা এভাবে লভ্যাংশ গ্রহনের অনুমতি দেয়না।
by
জী। কিন্ত আমি তো উস্তায বিকাশের পারসোনাল হোক আর এজেন্ট হোক কোনটার মাদ্ধমেই লেনদেন করতেছি না। বিকাশ বা নগদ কারো সাথেই কানেক্টেড না। আমি আমার নিজস্ব সিস্টেমে লেনদেন করতেছি।
by
কিন্ত আমি তো উস্তায বিকাশের পারসোনাল হোক আর এজেন্ট হোক কোনটার মাদ্ধমেই লেনদেন করতেছি না। বিকাশ বা নগদ কারো সাথেই কানেক্টেড না। আমি আমার নিজস্ব সিস্টেমে লেনদেন করতেছি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...