আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
172 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর,

আমি ও আমার স্ত্রী ঝগড়া করছিলাম।ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী স্বামীকে বলে জানি না আমাদের পরিণতি কি হবে কিন্তু আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক না।

স্ত্রীর এই কথা শুনে স্বামী তাকে বলে এটা ঠিক করো নাই।এটা বলা ঠিক হয় নাই,এর আগে ও এটা বলছো।স্ত্রী তখন বলে আমি খারাপ কিছু বোঝাই নাই।মানে সে হয়তো তা** বুঝায় নাই এরকম বলেছে।কিন্তু স্বামীর মনে হইতাছিল স্ত্রী ঐ নিয়তে এ  বলছে।
তারপর স্বামী বলে তুমি বলেছো যে আমাদের মিলে না,আমার কারনে তোমার এত কষ্ট পাওয়া লাগে,পরিবার থেকে ও থেকে কষ্ট পাওয়া লাগে(স্ত্রী নওমুসলিমা)।স্ত্রী স্বামীর এই কথার ধরন শুনে বলে যে এরকম ভিত্তিহীন কথা বলার দরকার নাই।

স্বামীর এই কথা বলার উদ্দেশ্য স্ত্রী ভাববে যে স্বামী তা** এর নিয়তে বলতেছে।আর স্বামীর নিয়ত ছিলো যে তা** ব্যাতীত আলাদা হবে এবং স্ত্রীর এই উপলব্ধি হবে যে স্বামীর গুরুত্ব কতটুকু  (আসলে নওমুসলিমা হওয়ার কারনে স্বামীর এত গুরুত্ব মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে)।

এই কথোপকথন মেসেজে হচ্ছিল।

এমন অবস্থায় স্বামী মেসেজ লিখে যে "তাহলে আমি তোমার জীবন থেকে চলে. "হয়তো পুরো মেসেজ টাইপ করি নাই।হয়তো পুরো মেসেজ টাইপ করছি।কিন্তু এই কথা লিখার সময় উদ্দেশ্য ছিলো যে নারা যাওয়া।স্ত্রী জানেন যে স্বামী খুবই অসুস্থ এবং এই অসুস্থতার কারনে স্বামী মারা যাইতে পারেন।তাই স্বামীর উদ্দেশ্য ছিলো মারা যাওয়া(কিন্তু স্বামী চাইছিলেন স্ত্রী ভয় পাবে বা বুঝবে যে স্বামী বিচ্ছেদের কথা বলতেছে)।কিন্তু স্বামী স্ত্রীকে সেই মেসেজ সেন্ড না করে ডিলেট করে দেন।অর্থাৎ আমি তোমার জীবন থেকে চলে যাইতাছি এটা স্ত্রীকে সেন্ড করেন নি।

তারপর স্ত্রী বলেন আমি দ্বীনদার হওয়ার আগ পর্যন্ত আমার সাথে যোগাযোগ করিও না। স্বামী কিছু না বলে ifatwa তে চলে আসে মাসায়ালা নেওয়ার জন্য।

আমার প্রশ্নো হলো-

১.এখানে কি তা** এর  মজলিস হয়েছে?

২.এই বাক্যের কারনে কি কেনায়া তা** পতিত হয়েছে?

আমাদের বৈবাহিক অবস্থা এখন কি?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

তালাক খুবই মারাত্মক  একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 


যদি স্বামী তালাক দেয়ার উপর ধমক দিতে থাকে,বা স্ত্রী তালাক চায়,বা সেখানে অন্য কোনো ব্যাক্তি সেই স্বামীকে তালাক দেয়ার উপর উদ্ভুদ্ধ করে,তাহলে সেটিকে তালাকের মজলিস,মুযাকারায়ে তালাক বলা হবে।

মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের মজলিস কাকে বলে?
এ বিষয়ে রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
"(قَوْلُهُ: وَهِيَ حَالَةُ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ) أَشَارَ بِهِ إلَى مَا فِي النَّهْرِ مِنْ أَنَّ دَلَالَةَ الْحَالِ تَعُمُّ دَلَالَةَ الْمَقَالِ قَالَ: وَعَلَى هَذَا فَتُفَسَّرُ الْمُذَاكَرَةُ بِسُؤَالِ الطَّلَاقِ أَوْ تَقْدِيمِ الْإِيقَاعِ كَمَا فِي اعْتَدِّي ثَلَاثًا وَقَالَ قَبْلَهُ الْمُذَاكَرَةُ أَنْ تَسْأَلَهُ هِيَ أَوْ أَجْنَبِيٌّ الطَّلَاقَ".
( كتاب الطلاق، بَابُ الْكِنَايَاتِ، ٣ / ٢٩٧)

মুযাকারায়ে তালাকের অর্থ হল, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করা ,অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন এবং তামান্না করা। এই উভয় প্রকারকে 'মুতালাবায়ে তালাক' নামে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে,তাহলে এদ্বারাও মুযাকারায়ে তালাক প্রমাণিত হবে।এই তৃতীয় প্রকারকে  তাকদীমূল ঈ'কা বলা হয়ে থাকে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৯৭) 

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এখানে তালাকের মজলিস হয়নি।

(০২)
উক্ত বাক্যের দরুন তালাক পতিত হয়নি।
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...