আসসালামু আলাইকুম হুজুর,
আমি ও আমার স্ত্রী ঝগড়া করছিলাম।ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী স্বামীকে বলে জানি না আমাদের পরিণতি কি হবে কিন্তু আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক না।
স্ত্রীর এই কথা শুনে স্বামী তাকে বলে এটা ঠিক করো নাই।এটা বলা ঠিক হয় নাই,এর আগে ও এটা বলছো।স্ত্রী তখন বলে আমি খারাপ কিছু বোঝাই নাই।মানে সে হয়তো তা** বুঝায় নাই এরকম বলেছে।কিন্তু স্বামীর মনে হইতাছিল স্ত্রী ঐ নিয়তে এ বলছে।
তারপর স্বামী বলে তুমি বলেছো যে আমাদের মিলে না,আমার কারনে তোমার এত কষ্ট পাওয়া লাগে,পরিবার থেকে ও থেকে কষ্ট পাওয়া লাগে(স্ত্রী নওমুসলিমা)।স্ত্রী স্বামীর এই কথার ধরন শুনে বলে যে এরকম ভিত্তিহীন কথা বলার দরকার নাই।
স্বামীর এই কথা বলার উদ্দেশ্য স্ত্রী ভাববে যে স্বামী তা** এর নিয়তে বলতেছে।আর স্বামীর নিয়ত ছিলো যে তা** ব্যাতীত আলাদা হবে এবং স্ত্রীর এই উপলব্ধি হবে যে স্বামীর গুরুত্ব কতটুকু (আসলে নওমুসলিমা হওয়ার কারনে স্বামীর এত গুরুত্ব মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে)।
এই কথোপকথন মেসেজে হচ্ছিল।
এমন অবস্থায় স্বামী মেসেজ লিখে যে "তাহলে আমি তোমার জীবন থেকে চলে. "হয়তো পুরো মেসেজ টাইপ করি নাই।হয়তো পুরো মেসেজ টাইপ করছি।কিন্তু এই কথা লিখার সময় উদ্দেশ্য ছিলো যে নারা যাওয়া।স্ত্রী জানেন যে স্বামী খুবই অসুস্থ এবং এই অসুস্থতার কারনে স্বামী মারা যাইতে পারেন।তাই স্বামীর উদ্দেশ্য ছিলো মারা যাওয়া(কিন্তু স্বামী চাইছিলেন স্ত্রী ভয় পাবে বা বুঝবে যে স্বামী বিচ্ছেদের কথা বলতেছে)।কিন্তু স্বামী স্ত্রীকে সেই মেসেজ সেন্ড না করে ডিলেট করে দেন।অর্থাৎ আমি তোমার জীবন থেকে চলে যাইতাছি এটা স্ত্রীকে সেন্ড করেন নি।
তারপর স্ত্রী বলেন আমি দ্বীনদার হওয়ার আগ পর্যন্ত আমার সাথে যোগাযোগ করিও না। স্বামী কিছু না বলে ifatwa তে চলে আসে মাসায়ালা নেওয়ার জন্য।
আমার প্রশ্নো হলো-
১.এখানে কি তা** এর মজলিস হয়েছে?
২.এই বাক্যের কারনে কি কেনায়া তা** পতিত হয়েছে?
আমাদের বৈবাহিক অবস্থা এখন কি?