ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সু্প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে লুঙ্গী, জোব্বা, টুপি,পাগড়ী এবং কোনো কোনো বর্ণনা অনুযায়ী পায়জামা পড়াও প্রমাণিত রয়েছে।লুঙ্গি জোব্বা এ সবই নিসফে সাক পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাঃ পরিধান করেছেন।সুতরাং এই সমস্ত পোষাক পরিধান করা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাত।তবে এই সুন্নত, সুন্নতে যায়েদা, অর্থাৎ যা অত্যাবশ্যকীয় নয়।তবে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাঃ অনুসরণ হিসেবে কল্যাণকর ।এছাড়া আরো পোষাক যেগুলো নেককারগণ পরিধান করেছেন,সেগুলোও পরিধান করা যাবে।সার্ট-পেন্ট ইত্যাদিও পরিধান করা যাবে যদি সেগুলো পোষাক পরিধানের মূলনীতির বিরোধী না হয়ে থাকে।কিন্তু অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় পোষাক পরা যাবে না।এটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১৯/২৬০)
শরয়ী পোশাক হওয়ার জন্য কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয়। ১. পরিপূর্ণ ভাবে সতর ঢাকা, ২. সৌন্দর্যের জন্য হওয়া, ৩. শরীয়তে নিষিদ্ধ না হওয়া, ৪. রিয়া বা লৌকিকতা না থাকা, ৫. বিধর্মীদের সাথে সাদৃশ্য না হওয়া। আর ফাড়া পাঞ্জাবী দ্বারা যেহেতু এই উদ্দেশ্যগুলো অর্জন হয় তাই এর দ্বারাও সুন্নত আদায় হবে। [ আবু দাউদ শরীফ: ২/৫৫৯, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া: ২৭/৩৯৪]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এর যুগে যেহেতু সাহাবাগণ একটি পোষাক পড়তেন, কাজেই বুঝা যাচ্ছে যে, সেই সময়ের পাঞ্জাবী ফাড়া ছিলনা, এবং সেগুলো নিসফে সাক্ব তথা হাটু এবং টখনুর মধ্যবর্তী লম্বা ছিলো। তাই এটাও সুন্নাহ। এবং ফাড়া পাঞ্জাবী দ্বারাও সুন্নাহ আদায় হবে।