আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
269 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)

আসসালামু আলাইকুম। 
আমরা জানি,নারীদের ক্ষেত্রে পর্দার প্রথম স্তর হলো ঘরে অবস্থান করা, তবে প্রয়োজনে বাইরে যাওয়া যাবে।

আমার প্রশ্ন হলো,প্রয়োজন বলতে আসলে ঠিক কোন ধরণের প্রয়োজন বোঝানো হচ্ছে?অর্থাৎ, শরীয়ত কোন কোন অবস্থাকে প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত করেছে?কেউ কেউ মার্কেটে কেনাকাটা করতে যায়, আবার কেউ কেউ ফ্রিমিক্সিং পরিবেশ আছে এরকম রেস্টুরেন্টে খেতে যায়....এগুলো কি ফাতওয়ায় উল্লেখিত প্রয়োজনের মধ্যে পড়ে?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
4672 নং প্রশ্নের জবাবে আমরা বলেছি যে,

মানুষের প্রয়োজন তিন প্রকারের হতে পারে।
(১)
জরুরত (এমন প্রয়োজন যা না হলে নয়) : 
এমন এক ধরনের প্রয়োজন, যা ছাড়া জীবন হুমকির মুখে পড়ে যায়। যেমন, মরুভূমিতে ক্ষুধার্ত একজন মানুষ, যার কাছে কোনো খাবার নেই। (এই পরিস্থিতিতে মানুষটি জীবন বাঁচানোর তাগিদে হারাম বস্তুও ভক্ষণ করতে পারবে)।

(২)
হাজত (এমন প্রয়োজন যা না হলে অত্যাধিক কষ্ট হবে) : 
কষ্ট বা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে যা করা হয়ে থাকে। (এখানে কষ্ট বা যন্ত্রণা বলতে জীবনের জন্যে হুমকিস্বরূপ বোঝাচ্ছে না) যেমন- একজন সাওম পালনকারী ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে খাওয়া-দাওয়া করতে পারে। ফরজ সাওম হলেও এ ক্ষেত্রে তা ঐ ব্যক্তির জন্যে ভাঙার অনুমোদন রয়েছে।বা মেয়ের বিয়েতে টাকার প্রয়োজন।
 
(৩)
তাহসিন (পছন্দনীয় ও সুশোভিতকরণ) :
এ ধরনের প্রয়োজনীয়তাগুলো মানুষের পোশাক-আশাক ও আচার-আচরণের পরিশুদ্ধতা ও পরিপূর্ণতার জন্যে এবং জীবনের মান উন্নয়নের জন্যে দরকারি। যেমন, একজন মানুষের শারীরিক অবস্থা ঠিক রাখার জন্যে মাছ, মাংস ও ফলমূল খাওয়া প্রয়োজন।

(এই তিন প্রকার একজন দ্বীনী বোনের গবেষনা থেকে কপিকৃত)

প্রথম অবস্থায় সুদ গ্রহণ জায়েয।এবং তৃতীয় অবস্থায় সুদ গ্রহণ জায়েয হবে না।

আর দ্বিতীয় অবস্থার ব্যাখ্যা এরূপ যে,অভাব অনটনের পরিস্থিতি এমন পর্যায়ের যে,খানাপিনা এবং চিকিৎসা ইত্যাদি মত মৌলিক প্রয়োজনাদিকে পূর্ণ করা সুদ ব্যতীত প্রায় অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে সুদ গ্রহণ করা বৈধ হবে।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল-৪/৫২)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত তিন অবস্থার মত পর্দা বিষয়েও মানুষের হাজত তিন প্রকারের হতে পারে।

প্রথম প্রকার তথা ঘর থেকে বাহির না হলেও নয়,এমন অবস্থায় জায়েয।তৃতীয় প্রকার তথা সুন্দর্য্য বর্ধন ও আরাম আয়েশ করার নিমিত্তে বাহিরে যাওয়া,এমন অবস্থায় বাহিরে যাওয়া অনুচিৎ।ফ্রি মিক্সিং পরিবেশে হলে হারাম।
দ্বিতীয় অবস্থায় বাহিরে যাওয়া বৈধ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...