বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
4672 নং প্রশ্নের জবাবে আমরা বলেছি যে,
মানুষের প্রয়োজন তিন প্রকারের হতে পারে।
(১)
জরুরত (এমন প্রয়োজন যা না হলে নয়) :
এমন এক ধরনের প্রয়োজন, যা ছাড়া জীবন হুমকির মুখে পড়ে যায়। যেমন, মরুভূমিতে ক্ষুধার্ত একজন মানুষ, যার কাছে কোনো খাবার নেই। (এই পরিস্থিতিতে মানুষটি জীবন বাঁচানোর তাগিদে হারাম বস্তুও ভক্ষণ করতে পারবে)।
(২)
হাজত (এমন প্রয়োজন যা না হলে অত্যাধিক কষ্ট হবে) :
কষ্ট বা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে যা করা হয়ে থাকে। (এখানে কষ্ট বা যন্ত্রণা বলতে জীবনের জন্যে হুমকিস্বরূপ বোঝাচ্ছে না) যেমন- একজন সাওম পালনকারী ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে খাওয়া-দাওয়া করতে পারে। ফরজ সাওম হলেও এ ক্ষেত্রে তা ঐ ব্যক্তির জন্যে ভাঙার অনুমোদন রয়েছে।বা মেয়ের বিয়েতে টাকার প্রয়োজন।
(৩)
তাহসিন (পছন্দনীয় ও সুশোভিতকরণ) :
এ ধরনের প্রয়োজনীয়তাগুলো মানুষের পোশাক-আশাক ও আচার-আচরণের পরিশুদ্ধতা ও পরিপূর্ণতার জন্যে এবং জীবনের মান উন্নয়নের জন্যে দরকারি। যেমন, একজন মানুষের শারীরিক অবস্থা ঠিক রাখার জন্যে মাছ, মাংস ও ফলমূল খাওয়া প্রয়োজন।
(এই তিন প্রকার একজন দ্বীনী বোনের গবেষনা থেকে কপিকৃত)
প্রথম অবস্থায় সুদ গ্রহণ জায়েয।এবং তৃতীয় অবস্থায় সুদ গ্রহণ জায়েয হবে না।
আর দ্বিতীয় অবস্থার ব্যাখ্যা এরূপ যে,অভাব অনটনের পরিস্থিতি এমন পর্যায়ের যে,খানাপিনা এবং চিকিৎসা ইত্যাদি মত মৌলিক প্রয়োজনাদিকে পূর্ণ করা সুদ ব্যতীত প্রায় অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে সুদ গ্রহণ করা বৈধ হবে।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল-৪/৫২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত তিন অবস্থার মত পর্দা বিষয়েও মানুষের হাজত তিন প্রকারের হতে পারে।
প্রথম প্রকার তথা ঘর থেকে বাহির না হলেও নয়,এমন অবস্থায় জায়েয।তৃতীয় প্রকার তথা সুন্দর্য্য বর্ধন ও আরাম আয়েশ করার নিমিত্তে বাহিরে যাওয়া,এমন অবস্থায় বাহিরে যাওয়া অনুচিৎ।ফ্রি মিক্সিং পরিবেশে হলে হারাম।
দ্বিতীয় অবস্থায় বাহিরে যাওয়া বৈধ।