বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/3012/ নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,
কুফরী বাক্যের অর্থ জানা নেই এবং
বলার ইচ্ছে নেই তবে মুখ ফসকে কোনো কুফরী বাক্য মুখ থেকে উচ্ছারণ হয়ে গেছে, এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট
ব্যক্তি কাফির হবে না। যেমন হযরত আবুযর রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ
أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ رضي الله عنه قَالَ :قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى
اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :(إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ
وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ
তা'আলা আমার উম্মত থেকে ভূল ভ্রান্তি এবং নিরুপায় মূলক কাজ কে ক্ষমা
করে দিয়েছেন। (সুনানু উবনি মা'জা-২০৪৩)
কুফরী বাক্যর অর্থ জানা রয়েছে এবং বলার ইচ্ছাও রয়েছে, তবে কাফির হওয়ার জন্য বলেনি, বরং রং তামাশ মূলক কেউ
বলল, তাহলে এমতাস্থায় সে কাফির হয়ে যাবে,
" مَنْ
تَكَلَّمَ بِكَلِمَةِ الْكُفْرِ هَازِلًا أَوْ لَاعِبًا كَفَرَ عِنْدَ الْكُلِّ
وَلَا اعْتِبَارَ بِاعْتِقَادِه
যে ব্যক্তি কোনো কুফুরি বাক্য রং
তামাশা করে বলবে,সে কাফির হয়ে যাবে।যদিও তার এ'তেকাদ বা বিশ্বাসে
কুফরি না থাকুক। (বাহরুর রায়েক-৫/১৩৪,ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/২৭৫-২৭৬)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি মুখ
ফসকে উক্ত বাক্য বের হয়ে থাকে তাহলে তিনি এই বাক্য বলার দ্বারা কাফের হয়ে যাবে না
এবং তার ঈমানের কোনো সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ। তবে তারপরও তাকে আল্লাহ তায়ালার
কাছে ক্ষমা প্রার্থণা ও তওবা করতে বলবেন এবং কালিমায়ে শাহাদত পড়ে নিতে বলবেন।
২. আপনি যেহেতু মাসআলা জানার
জন্য প্রশ্ন করেছেন তাই এতে কোনো সমস্যা বা গোনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ।