জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَجُلاً أَتَى النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ الطُّهُورُ؟ فَدَعَا بِمَاءٍ فِي إِنَاءٍ، فَغَسَلَ كَفَّيْهِ ثَلَاثًا، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلَاثًا، ثُمَّ غَسَلَ ذِرَاعَيْهِ ثَلَاثًا، ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ، فَأَدْخَلَ إِصْبَعَيْهِ السَّبَّاحَتَيْنِ فِي أُذُنَيْهِ، وَمَسَحَ بِإِبْهَامَيْهِ عَلَى ظَاهِرِ أُذُنَيْهِ وَبِالسَّبَّاحَتَيْنِ بَاطِنَ أُذُنَيْهِ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلَاثًا ثَلَاثًا ثُمَّ قَالَ " هَكَذَا الْوُضُوءُ فَمَنْ زَادَ عَلَى هَذَا أَوْ نَقَصَ فَقَدْ أَسَاءَ وَظَلَمَ " . أَوْ " ظَلَمَ وَأَسَاءَ "
‘আমর ইবনু শু‘আইব (রহঃ) সূত্রে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রসূল! পবিত্রতা অর্জন (অযু) কিভাবে করতে হয়? তিনি এক পাত্র পানি আনালেন। তারপর উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধুলেন। এরপর তিনবার মুখমন্ডল ধুলেন। এরপর তিনবার উভয় হাত কনুই পর্যন্ত ধুলেন। এরপর মাথা মাসাহ্ করলেন এবং উভয় শাহাদাত আঙ্গুলি কানে প্রবেশ করালেন। বৃদ্ধাঙ্গলি দিয়ে কানের বহিরাংশ মাসাহ্ করলেন আর শাহাদাত অঙ্গুলি দিয়ে কানের ভেতরের অংশ মাসাহ্ করলেন। সবশেষে উভয় পা তিনবার করে ধুলেন। অতঃপর বললেনঃ এভাবেই অযু করতে হয়। যে ব্যক্তি এর চেয়ে বেশি বা কম করবে সে তো মন্দ ও জুলুম করল। (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) অথবা (তিনি বলেছেন) সে তো জুলুম ও মন্দ কাজ করল। (অর্থাৎ মন্দ ও জুলুম শব্দদ্বয় হয়ত আগে পরে করেছেন)
(আবু দাউদ ১৩৫)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ওযুর সময় কান মাসেহ করা সুন্নাত।
এটি ফরজ নয়।
সুতরাং আপনি যদি কান মাসাহ না করেন,তবুও অযু হয়ে যাবে।
আপনি কান মাসাহ বাদ দিতে পারবেন।
(তবে চেহারা ধোয়ার সময় কানের লতি পর্যন্ত ধৌত করবেন।)