নামাজের মধ্যে কুরআন তিলাওয়াতের সময় বা অন্য কোনো রুকুনে নামায ফাসিদ বা মাকরূহ হবে এমন কোন কাজ ইমাম যদি ভুলে করতে থাকে, তখন মুক্তাদী ইমামকে লুকমা দেয়া জরুরী।
আর যদি ভুলটি এমন না হয়,যা দ্বারা নামাজ ফাসিদ বা মাকরুহ হবেনা,তাহলে লুকমা দেওয়া জরুরি নয়।
রাসূল সাঃ নামাযে ভুল করলে পিছনে থাকা সাহাবীগণ লুকমা দিয়েছেন।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْصَرَفَ مِنَ اثْنَتَيْنِ، فَقَالَ لَهُ ذُو اليَدَيْنِ: أَقَصُرَتِ الصَّلاَةُ، أَمْ نَسِيتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَصَدَقَ ذُو اليَدَيْنِ» فَقَالَ النَّاسُ: نَعَمْ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَصَلَّى اثْنَتَيْنِ أُخْرَيَيْنِ،
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ একদা [চার রাকাত বিশিষ্ট নামাযে] দুই রাকাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে ফেললেন। তখন যুল ইয়াদাইন রাঃ বলেলনঃ নামায কি কমে গেছে নাকি আপনি ভুলে গেছেন হে আল্লাহর রাসূল? তখন রাসূল সাঃ বললেনঃ যুল ইয়াদাইন কি সত্য বলছে? তখন সাহাবাগণ বললেনঃ হ্যাঁ, তখন রাসূল সাঃ দাঁড়িয়ে বাকি দুই রাকাত পড়লেন।[বুখারী, হাদীস নং-৭১৪]
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ইমাম সাহেব যদি উক্ত ভুল লুকমা করেন,সেক্ষেত্রে দেখতে হবে যে সেই ভুল লুকমা কোন ধরনের ভুল?
ইমাম সাহেব যদি সেই ভুল লুকমা গ্রহন করলে নামায ফাসিদ বা মাকরূহ হয়ে যাবে,এমনটি হয়,সেক্ষেত্রে ইমাম সাহেব ভুল লুকমা গ্রহনের পর মুক্তাদীরা শুদ্ধ লুকমা দিবেন।
★ইমাম সাহেব যদি সেই ভুল লুকমা গ্রহন করলে নামায ফাসিদ বা মাকরূহ হয়ে যাবে,এমনটি না হয়,বসেক্ষেত্রে ইমাম সাহেব ভুল লুকমা গ্রহনের পর মুক্তাদীরা শুদ্ধ লুকমা দিবেনা।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
নামাজে মাসবুক থাকতে ঈমাম সাহেবের তত্ত্বাবধানে সম্মিলিত সুরা হাশর পাঠ কিংবা এমতাবস্থায় উচু আওয়াজে দুয়া কোনোটিই কাম্য নয়।
এক্ষেত্রে মাসবুকের নামাজের মধ্যে যেনো কোনো ব্যাঘাত না ঘটে,সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।