আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
227 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি কিশোর আবস্থায় আমার এক বন্ধুর সাথে মাঝে মাঝে উত্তেজিত অবস্থায় যৌন সুখ নিতাম৷ কিন্তু কখনো পায়ু পথে সঙ্গম করিনি, শুধু শরীরের মাধ্যমেই গুনাহ করতাম, বীর্যপাতও হতো। এখন এতে করে কি হুরমত সাব্যস্ত হয়েছে? কারণ, আমি ওর আপন বোনকে বিয়ে করেছি কিছুদিন হলো। আগে আমি হুরমতে মুসাহারাত সম্পর্কে জানতাম না৷ এখন জানার পরে খুব ভয়ে আছি৷

1 Answer

0 votes
by (57,240 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

বিবাহের মাধ্যমে যে সম্পর্ক স্থাপিত হয় তাকে বলা হয় মুসাহারাতযেমন শশুর-শাশুরী এবং তাদের

উর্ধতন-নিম্নতন অর্থাৎ তাদের পিতা-মাতা,এবং স্ত্রীর কন্যা/স্বামীর ছেলে ইত্যাদি। এই আত্মীয়দের সাথে সম্পৃক্ত হুরমত কে হুরমতে মুসাহারাত বলা হয়ে থাকে।

আল্লাহ তা’য়ালা বংশগত এবং বৈবাহিক উভয় প্রকারের আত্মীয়দের সম্মান করার হুকুম দিয়েছেন।

ইরশাদ ফরমান,

وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ مِنَ الْمَاءِ بَشَرًا فَجَعَلَهُ نَسَبًا وَصِهْرًا [الفرقان: 54]

আর তিনিই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পানি হতেতারপর তিনি তাকে বংশগত ও বৈবাহিক সম্পর্কশীল করেছেন।

(সুরা ফুরকান -৫৪)

আর হুরমতে মুসাহারাত যেমনিভাবে বিবাহের মাধ্যমে প্রমানিত হয় তেমনিভাবে ব্যভিচার দ্বারাও প্রমানিত হয়।

এটাই হানাফী,হাম্বলী এবং এক বর্ণানা মতে মালেকী মাযহাবের মতামত। আর হানাফি মাযহাবে গ্রহণযোগ্য শর্তাবলী সহ দাওয়ায়ে যিনাহ তথা যা ব্যভিচারের দিকে আহবান করে তা দ্বারাও হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হয়ে যায়। আর এটাই অধিকাংশ সাহাবা এবং বড় বড় তাবেয়ীনদের অভিমত। এবং যার স্বপক্ষে কোরআন-সুন্নাহের প্রমাণাদি ও রয়েছে।

এ কারণে কোনো ব্যক্তি যদি কোনো মহিলা কে বিবাহ করে ফেলে অথবা তার সাথে সহবাস করেচাই তা আকদে সহীহ অথবা আকদে ফাসেদের পরই হোক অথবা ব্যভিচার করে বা কোনো মহিলাকে কামভাবের সাথে কোন প্রতিবন্ধকতা ব্যতিরেকে স্পর্শ করে অথবা কামভাবের সাথে তার লজ্জাস্থানের ভিতরাংশে নজর দেয় তাহলে হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হয়ে যাবে। এবং

ব্যভিচারী পুরুষ মহিলা উভয়ের উর্ধতন-নিম্নতন উভয়দিকে এই হুরমতের বিস্তার ঘটবে।

আল্লাহ তা’য়ালা ফরমান,

{وَلَا تَنْكِحُوا مَا نَكَحَ آبَاؤُكُمْ مِنَ النِّسَاءِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَمَقْتًا وَسَاءَ سَبِيلًا} [النساء: 22]

নারীদের মধ্যে তোমাদের পিতৃ পুরুষ যাদেরকে বিয়ে করেছে তোমরা তাদেরকে বিয়ে করো না তবে পূর্বে যা সংঘটিত হয়েছে (সেটা ক্ষমা করা হলো) নিশ্চয় তা ছিল অশ্লীলমারাত্মক ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট পন্থা। সুরা নিসা ২২

আর এখানে বিবাহ দ্বারা সহবাস করা উদ্দেশ্য,চাই তা হালালভাবে করুক বা হারাম। কারণ বিবাহের হাকিকী অর্থ হলো সহবাস,আর আকদে নিকাহ তার রূপক অর্থ। তাই আয়াতের উদ্দেশ্য হলো যে মহিলার সাথে পিতা সহবাস করেছে তাকে ছেলে বিবাহ করতে পারবে না।

হুরমতে মুসাহারাতের এই চার সবব তথা কারণের কিছু আছে এমন যার ব্যাপারে সকল ইমামগণ একমত পোষন করেছেনআর কিছুর ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে।

১.সহীহ বিবাহএরপর সর্বসম্মতিক্রমে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হয়ে যায়।

فحرمۃ المصاہرۃ تثبت بالعقدالصحیح بدون کلام(عبدالرحمن الجزیری ،الفقہ علی المذاہب الاربعۃ ،دارالکتب العلمیۃ ، بیروت ،طبع ثانی

২.সহবাসসহীহ বিবাহের পর সহবাসের মাধ্যমে হুরমত প্রমানিত হয়ে যায়,এবং ব্যভিচারের মাধ্যমে সহবাসের দ্বারাও হানাফিহাম্বলী,এবং এক বর্ণানামতে ইমাম মালেকের নিকটও হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হয়ে যায়। আর শাফেয়ী ও মালেকী মাযহাবের গ্রহণযোগ্য মতামত হলো ব্যভিচার দ্বারা হুরমত সাব্যস্ত হয় না।

ہو:ومناط التحریم عند الحنفیۃ و الحنابلۃ الوطء حلالا کان او حراما(الموسوعۃ الفقہیۃ الکویتیۃ،وزارۃ الأوقاف والشؤن الأسلامیۃ الکویت،۱۴۲۷،۳۶/۲۱۴)۔

৩-৪. স্পর্শ ও নজরকামভাবের সাথে স্পর্শ এবং কামভাবের সাথে লজ্জাস্থানের ভিতরের অংশ দেখার দ্বারা হানাফী মাযহাব অনুযায়ী হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হয়ে যাবে।

تثبت حرمۃ المصاہرۃ بالزنا والمس والنظر بدون نکاح والملک وشبہتہ لان المس والنظرسبب داع الی الوطء فیقام مقامہ احتیاطا ( الفقہ الاسلامی و ادلتہ ۹/۶۶۳۰)

এক,সহীহ বিবাহ,বা ফাসেদ এবং বাতিল বিবাহের পর সহবাসের মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হয়ে যায়। তবে এর জন্য নিম্নোক্ত কয়েকটি শর্ত রয়েছে,

১. সহবাসকৃতা জিবীত হতে হবে।

২.সহবাসকৃতা কামভাবের অধিকারীনী হতে হবে,বা তার বয়স কমপক্ষে ৯ বছর হতে হবে। এবং বৃদ্ধা নারীগণও এ হুকুমের অন্তর্ভুক্ত।

৩. এমনিভাবে পুরুষও বালেগ হতে হবে অথবা সাবালেগ হতে হবে। গ্রহণযোগ্য মত অনুযায়ী তার বয়স কমপক্ষে ১২ বছর হতে হবে।

৪.সহবাস হতে হবে সামনের দিক দিয়েপিছন দিক দিয়ে নয়।

یشترط فی الوطء ثلاتۃ امور ،ان تکون الموطوء ۃحیۃ و ان تکون مشتہاۃ وہی من کان سنہا تسع سنین فاکثر و الشرط الثالث ان یکون الوطء فی القبل (عبدالرحمن الجزیری ،الفقہ علی المذاہب الاربعۃ ۴/۶۲)

দুই,স্পর্শ করার দ্বারা হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। শর্তগুলো হলো

১.সরাসরি খালি গায়ে বা এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করেযা এতটাই পাতলা যেশরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। যদি এমন মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে যেশরীরের উষ্ণতা অনুভূত না হয়তাহলে নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।

ﻓﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ – ﺃﻭ ﻟﻤﺲ ) ﻭﻟﻮ ﺑﺤﺎﺋﻞ ﻻ ﻳﻤﻨﻊ ﺍﻟﺤﺮﺍﺭﺓ

ﻭﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺪﻳﻦ – ( ﻗﻮﻟﻪ : ﺑﺤﺎﺋﻞ ﻻ ﻳﻤﻨﻊ ﺍﻟﺤﺮﺍﺭﺓ ) ﺃﻱ ﻭﻟﻮ ﺑﺤﺎﺋﻞ ﺇﻟﺦ ، ﻓﻠﻮ ﻛﺎﻥ ﻣﺎﻧﻌﺎ ﻻ ﺗﺜﺒﺖ ﺍﻟﺤﺮﻣﺔ ، ﻛﺬﺍ ﻓﻲ ﺃﻛﺜﺮ ﺍﻟﻜﺘﺐ ( ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﺸﺎﻣﻴﺔ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻨﻜﺎﺡ، ﻓﺼﻞ ﻓﻰ ﺍﻟﻤﺤﺮﻣﺎﺕ 108-107/3- )

২.আর যদি মাথার চুলের উপর হাত লাগায় এবং মাথার উপরিভাগের চুল স্পর্শ করে তাহলে বর্ণিত হারাম সাব্যস্ত হবে। আর যদি মাথার থেকে নিচে ঝুলে পড়া চুলে হাত লাগায়। তাহলে হারাম সাব্যস্ত হবে না।

قال الشامی فی ردالمحتار ٩٢٦٩

(قوله ولو لشعر علی الرأس) خرج به المسترسل؛ وظاهر ما فی الخانیة ترجیح ان مس الشعر غیر محرم وجزم فی المحیط بخلافه ورجحه فی البحر؛ وفصل فی الخلاصة فخص التحریم بما علی علی الرأس دون المسترسل..

৩.স্পর্শ করলে পুরুষ মহিলা যেকোন একজনের উত্তেজনা অনুভুত হওয়া।

পুরুষের উত্তেজনা অনুভূত হওয়ার লক্ষণ হল গোপনাঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়াআর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।

ﻭﻓﻰ ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ – ﻗﻮﻟﻪ ( ﺑﺸﻬﻮﺓ ) ﺍﻱ ﻭﻟﻮ ﻣﻦ ﺍﺣﺪﻫﻤﺎ ،

ﻭﻓﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ – ﻭﺣﺪﻫﺎ ﻓﻴﻬﻤﺎ ﺗﺤﺮﻙ ﺁﻟﺘﻪ ﺃﻭ ﺯﻳﺎﺩﺗﻪ ﺑﻪ ﻳﻔﺘﻰ

ﻭﻓﻲ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻭﻧﺤﻮ ﺷﻴﺦ ﻛﺒﻴﺮ ﺗﺤﺮﻙ ﻗﻠﺒﻪ ﺃﻭ ﺯﻳﺎﺩﺗﻪ ( ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﺸﺎﻣﻴﺔ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻨﻜﺎﺡ، ﻓﺼﻞ ﻓﻰ ﺍﻟﻤﺤﺮﻣﺎﺕ 109-107/4- )

৪.স্পর্শ করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। সেই সাথে স্পর্শ করার আগে বা শেষেহাত ছেড়ে দেওয়ার আগে বা পর যদি উত্তেজনা অনুভূত হয় তাহলেও নিষিদ্ধতার সাব্যস্ত হবে না।

ﻭﻓﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ – ﻭﺍﻟﻌﺒﺮﺓ ﻟﻠﺸﻬﻮﺓ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﻤﺲ ﻭﺍﻟﻨﻈﺮ ﻻ ﺑﻌﺪﻫﻤﺎ

ﻭﻓﻰ ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ – ( ﻗﻮﻟﻪ : ﻭﺍﻟﻌﺒﺮﺓ ﺇﻟﺦ ) ﻗﺎﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻔﺘﺢ : ﻭﻗﻮﻟﻪ : ﺑﺸﻬﻮﺓ ﻓﻲ ﻣﻮﺿﻊ ﺍﻟﺤﺎﻝ ، ﻓﻴﻔﻴﺪ ﺍﺷﺘﺮﺍﻁ ﺍﻟﺸﻬﻮﺓ ﺣﺎﻝ ﺍﻟﻤﺲ ، ﻓﻠﻮ ﻣﺲ ﺑﻐﻴﺮ ﺷﻬﻮﺓ ، ﺛﻢ ﺍﺷﺘﻬﻰ ﻋﻦ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻤﺲ ﻻ ﺗﺤﺮﻡ ﻋﻠﻴﻪ ( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ -ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻨﻜﺎﺡ، ﻓﺼﻞ ﻓﻰ ﺍﻟﻤﺤﺮﻣﺎﺕ – 4/108 )

৫.স্পর্শ করার পর উদ্ভূত উত্তেজনা স্থির হওয়ার পূর্বেই বীর্যপাত না হতে হবে। যদি উত্তেজনা হওয়ার সাথে সাথেই বীর্যপাত হয়ে যায়তাহলেও নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।

ﻭﻓﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ – ﻫﺬﺍ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳﻨﺰﻝ ﻓﻠﻮ ﺃﻧﺰﻝ ﻣﻊ ﻣﺲ ﺃﻭ ﻧﻈﺮ ﻓﻼ ﺣﺮﻣﺔ ﺑﻪ ﺑﻔﺘﻰ

ﻭﻓﻰ ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ – ﻗﻮﻟﻪ : ﻓﻼ ﺣﺮﻣﺔ ) ﻷﻧﻪ ﺑﺎﻹﻧﺰﺍﻝ ﺗﺒﻴﻦ ﺃﻧﻪ ﻏﻴﺮ ﻣﻔﺾ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻮﻁﺀ ﻫﺪﺍﻳﺔ .

ﻗﺎﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﻨﺎﻳﺔ : ﻭﻣﻌﻨﻰ ﻗﻮﻟﻬﻢ ﺇﻧﻪ ﻻ ﻳﻮﺟﺐ ﺍﻟﺤﺮﻣﺔ ﺑﺎﻹﻧﺰﺍﻝ ﺃﻥ ﺍﻟﺤﺮﻣﺔ ﻋﻨﺪ ﺍﺑﺘﺪﺍﺀ ﺍﻟﻤﺲ ﺑﺸﻬﻮﺓ ﻛﺎﻥ ﺣﻜﻤﻬﺎ ﻣﻮﻗﻮﻓﺎ ﺇﻟﻰ ﺃﻥ ﻳﺘﺒﻴﻦ ﺑﺎﻹﻧﺰﺍﻝ ، ﻓﺈﻥ ﺃﻧﺰﻝ ﻟﻢ ﺗﺜﺒﺖ ، ﻭﺇﻻ ﺛﺒﺖ ( ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﺸﺎﻣﻴﺔ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻨﻜﺎﺡ، ﻓﺼﻞ ﻓﻰ ﺍﻟﻤﺤﺮﻣﺎﺕ – 4/109

৬. যদি স্পর্শকারী মহিলা হয়আর উত্তেজনা হওয়ার দাবি করেআর স্বামীর এ ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয় যেস্ত্রী সত্য বলছেবা স্পর্শকারী পুরুষ হয় এবং উত্তেজনার দাবি করেতাহলেও তার সংবাদের উপর স্বামীর প্রবল ধারণা হয় যেলোকটি সত্য বলছেতাহলে নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে নতুবা নয়। কেননা স্ত্রী এ দাবি করার মাধ্যমে স্বামী থেকে বাঁচতে চাচ্ছেতাই স্বামীর সত্যায়ন জরুরীতাছাড়া যদি দুই জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেয় যেস্পর্শ করার সময় উত্তেজনা ছিল তাহলে স্বামীর সত্যায়নের কোন প্রয়োজন নেই। -ইমদাদুল ফাতওয়া-২/৩২০হুরমতে মুসাহারাত-১৯

৭.মহিলার বয়স ৯ বছর থেকে কম না হতে হবে। আর পুরুষের বয়স ১২ বছর থেকে কম না হতে হবে।

ﻭﻛﺬﺍ ﺍﻟﻤﻘﺒﻼﺕ، ﺃﻭ ﺍﻟﻤﻤﺴﻮﺳﺎﺕ ﺑﺸﻬﻮﺓ ﻷﺻﻮﻟﻪ، ﺃﻭ ﻓﺮﻭﻋﻪ ( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ – 4/100 )

ﻷﻥ ﺣﺮﻣﺔ ﺍﻟﻤﺼﺎﻫﺮﺓ ﺇﺫﺍ ﺛﺒﺘﺖ ﻻ ﺗﺴﻘﻂ ﺃﺑﺪﺍ ( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ – 4/

৮.স্পর্শকৃতা মহিলা জিবীত হতে হবে।

উপরোক্ত ৮টি শর্ত পাওয়া গেলে হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হয়ে যাবে। এবং স্পর্শকারী পুরুষ মহিলা উভয়ের উর্ধতন-নিম্নতন উভয়দিকে এই হুরমতের বিস্তার ঘটবে।

আরো জানুন: https://ifatwa.info/33869/   

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টির কারণে হুরমতে মুসাহারাত প্রামাণিত হবে না। কারণ, ছেলে ও মেয়ের মাঝে উক্ত সম্পর্ক সাব্যস্থ হয়ে। তবে ছেলে ছেলেকে বা মেয়ে মেয়ের মাঝে যৌন সম্পর্ক করা সমকামিতার অন্তর্ভুক্ত। সমকামিতা অনেক ঘৃণিত কাজনষ্ট মন মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। মুসলসমানদের রাষ্ট্রীয় বিধান হলসমকামীদের হত্যা করা। সমকামীদের বিধান রাষ্ট্র বাস্তবায়ন করবে। আরো জানুন: https://ifatwa.info/26628/

সুতরাং প্রশ্নেল্লিখিত বিবাহ সহিহ হয়েছে, এতে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। তবে পূর্বেকৃত হারাম কাজ থেকে অধিক পরিমাণে ইস্তেগফার করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...