পরীক্ষায় সফলতার জন্য আল্লাহ রহমত অপরিহার্য বিষয়। আর কোনো কাজে আল্লাহ তাআলার রহমত তখনি আসে যখন বান্দার পক্ষ থেকে চেষ্টা ও দোয়া থাকে।
এ জন্য পরীক্ষায় সুফল লাভের জন্য চেষ্টা যেমন প্রয়োজন, তেমনি আল্লাহ তাআলার রহমত ও বরকতের জন্য তার সাহায্য প্রার্থনা করা আবশ্যক।
সুতরাং পরীক্ষায় কামিয়াব হতে হলে পরীক্ষার্থীদের প্রথমেই অলসতা ত্যাগ করে নিজের সাধ্যানুযায়ী কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে, তিনিই সকল কাজে সফলতা দান করেন,
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ
‘যে আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট।’ (সূরা ত্বলাক : ৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
হুযায়ফা রাযি. বলেন,
كَانَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا حَزَبَهُ أَمْرٌ صَلَّى
‘রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন কোন সংকটে পড়তেন, তখন নামাজে রত হতেন’। (আবু দাউদ ১৩১৯)
সুতরাং পরীক্ষায় ভালো রেজাল্টের জন্য চেষ্টার পাশাপাশি “সালাতুল হাজত” পড়ে মহান আল্লাহর নিকটে বিনয়ের সাথে দোয়া করতে হবে।
প্রয়োজনে প্রত্যেক দিন এই আমল করা যেতে পারে।
পড়তে বসা ও উঠার সময় দরুদ শরীফ পাঠ করা যেতে পারে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সব রকমের ভয়কে উপেক্ষা করে আপনি পরীক্ষা দিতে যাবেন। কোনো টেনশন করবেননা। স্যার যেখান থেকেই প্রশ্ন করুক,আপনি উত্তর দিবেন,মনে হিম্মত নিবেন যে আমি পারবোই,ইনশাআল্লাহ।
এবং উপরে উল্লেখিত আমল গুলি করুন।
পরিক্ষায় আপনার কামিয়াবির জন্য দোয়া করবো,ইনশাআল্লাহ।