আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (58 points)
কিছু প্রশ্নের উত্তর না পাওয়ায় আমার ঈমান ধ্বংসের সম্মুখীন। তাই জরুরি ভিত্তিতে আমার প্রশ্নের সাপেক্ষে কুরানের আয়াত জানা প্রয়োহজন:


১। আমার উপ্প্র জীনের বদনজর রয়েছে। একাধিকবার প্রফেশনাল রাক্বী দিয়ে সরাসরি রুকইয়াহ করার পরেও সমস্যা যায়নি বরং নতুন নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমার প্রশ্ন হল, আল্লাহর কালাম থেকে শয়তান কিভাবে এত শক্তিশালী হতে পারে যে রুকইয়াহ ও আমাকে সুস্থ করতে পারেনা? রুকইয়াহ করার পরেও কিভাবে এখনো আমার উপর বদনজর পড়ে। অসংখ্যবার দুয়া করেছি, রুকইয়াহ করেও সমাধান পাইনি। উলটো জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এখানে, আপনি প্রশ্ন তুলতেই পারেন যে আমার ত্রুটির কারণে, আসলে আল্লাহর কালাম কাজ করছেনা। কিন্তু আল্লাহ তো আমার কাজের উপর নির্ভরশীল ই নন। উপরন্তু, আমার যতই ত্রুটি থাক, আল্লাহর কাছে আমার অনুনয় বিনয় আর এ থেকে পরিত্রানের চেস্টায় আমার ত্রুটি ছিল না।

এ অবস্থায় আমার ধারণা হয়, জিনের ক্ষমতা আল্লাহর থেকেও বেশি।

আমার এ প্রশ্নের উত্তর কুরান থেকে কিভাবে পাব, আর কুরানের বাইরে কিভাবে পাব?

এর প্রেক্ষিতে কিছু উত্তর এমন হতে পারে:

- ইহা আমার জন্য পরীক্ষা, ধৈর্য ধরলে পুরস্কার

_ ইহা তোমার কর্মফল

_ আল্লাহর ইচ্ছায় তোমার সাথে এমন হচ্ছে


এই ৩টা উত্তর নিয়ে আমি ভেবে দেখেছি। এই ৩ উত্তরে আমি সন্তুষ্ট না। এই ৩ ধরণের উত্তরের বাইরে এমন কোন যুক্তিসংগত উত্তর কি আছে ইসলামে? আর আল্লাহ এই ৩ উত্তরের বাইরে আর কি কি উত্তর কুরানে দিয়ে থাকতে পারেন।


উল্লেখ্য, আমি আল্লাহর রহমতে হিদায়াতপ্রাপ্ত ছিলাম। সেসময় দুয়া করতাম, যাতে কোন বদনজর, জাদুটোনা আমার ক্ষতি করতে না পারে। আর হিদায়াত যাতে নস্ট না হয়। কিন্তু জীবন এমন পরিস্থিতিতে নিয়ে গেছে যে জীনের বদনজরে আমার ঈমান শেষ।
২। আল্লাহ সাধ্যাতীত বোঝা কারো উপর চাপিয়ে দেন না। কিন্তু আমার জীবনে এমন ঘটনা ঘটেছে যার ভার সহ্য করতে না পেরে ধৈর্যসীমা ভেঙ্গে গেছে। চাইলেও ধৈর্যধারণ সম্ভব হয়নি। যেমন: আমার চাকরি হচ্ছেনা দেখে, এক অফিসে ৬০০০ টাকা বেতনে ঢুকি ইন্টার্ণ হিসেবে। ৩ মাস অনেক পরিশ্রম করি। দনে ১৪_১৫ ঘন্টা কাজ করতান ৬ হাজার টাকার জন্য। কথা ছিল ৩ মাস পর প্রজেক্ট রান করলে আমাকে পারমানেন্ট করবে। আমি সাধ্যমত পরিশ্রম করেছি। এই পরিশ্রম করতে গিহে শরীর আর পরিবারের দিকে নজর দেইনি। এখন আর শরীর সাপোর্ট দিতেসেনা। এটাকে আসলে কিভাবে ব্যাখ্যা করব? তবে, হা, এ প্রেশার নিতে গিয়ে অনেক কিছু শিখসি। ৩ মাস দাত কামড়ে টিকে ছিলাম। কিন্তু এরপর তো আর চাকরিই হল না। এখন যে মানসিক চাপে আছি তাতে মনে হচ্ছে: আল্লাহ নিজের খুশিমত বোঝা মানুষের উপর চাপিয়ে দেন। মানুষ সেটা মেনে নিয়ে কাজ করে গেলেও আল্লাহ বিনিময়ে দুনিয়াতে কোন পুরস্কার দেন না। কাফির মুশরিক দের কেও আল্লাহ পরিশ্রমের ফল দ্রন, কিন্তু মুসলমান দের দেন না। এখন এই মানসিক চাপ তো নেয়ে যাচ্ছেনা।  তাহলে আল্লাহ অযথাই কেন বলল,আল্লাহ মানুষকে সাধ্যাতীত বোঝা চাপিয়ে দেন না?


উল্লেখ্য, কর্মফল, আল্লাহর ইচ্ছা এ গুলো বাদ দিয়ে বলতে হবে। কারণ, আমার অনেক ভাল কর্ম ও আছে আর খারাপ ও আছে।

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "

 তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অতীব জরুরী ও সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন-ইসলাম পালন করতে, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই-বোন থমকে দাড়ান,এবং যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস .....

মুহতারাম/মুহতারামাহ!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।

উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।

তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,
 ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)

সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরো বাড়িয়ে দিক, আমীন।

প্রত্যেকটা বিষয়ের সাথে নিম্নের হাদীসকে লক্ষ্য রাখবেন।
হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।
ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ : « ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ 
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো।(সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...