ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ مُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ اتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّهَا لَيْسَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ اللهِ حِجَابٌ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মু‘আয (রাঃ)-কে ইয়ামানে পাঠান এবং তাকে বলেন, মাযলুমের ফরিয়াদকে ভয় করবে। কেননা, তার ফরিয়াদ এবং আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা থাকে না। (সহীহ বোখারী-২৪৪৮)
(وَأَجِبْ دَعْوَتِي)أَيْ دُعَائِي، وَأَمَّا قَوْلُ ابْنِ حَجَرٍ ذُكِرَ لِأَنَّهُ مِنْ فَوَائِدَ قَبُولُ التَّوْبَةِ فَمُوهِمٌ أَنَّهُ لَا تُجَابُ دَعْوَةُ غَيْرِ التَّائِبِ وَلَيْسَ الْأَمْرُ كَذَلِكَ لِمَا صَحَّ مِنْ أَنَّ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ مُسْتَجَابَةٌ وَإِنْ كَانَ فَاجِرًا، وَفِي رِوَايَةٍ وَلَوْ كَانَ كَافِرًا، (مرقاة المفاتيح ج٥'-١٧٢٤)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
সৎ কাজে আদেশ না করা, মন্দ কাজে নিষেধ না করা,যিনায় লিপ্ত থাকা, হারাম উপার্জন করা, কারো সম্পদ অন্যায় ভাবে দখলে রাখা,পিতা মাতার অসন্তূষ্টি, কারো কাছে এসব বিদ্যমান থাকাবস্থায় সে ব্যক্তি দু'আ করে যাবে,এবং সাথে সাথে ঐ মন্দ।অভ্যাস গুলি পরিত্যাগ করার দৃঢ়সংকল্প করবে এবং পরিত্যাগ করে নিবে। আল্লাহ চাইলে অবশ্যই তার দু'আ কবুল হবে।
(২) মজলুম হারাম উপার্জনে লিপ্ত হলেও মজলুম হবার কারণে তার দু'আ কবুল হবে।
(৩) অমুসলিমের চাওয়াকেও আল্লাহ কবুল করে নিতে পারেন।