আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
121 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম।
প্রতিবেশির হক নিয়ে জানতে চাই।
আমাদের বিল্ডিং এর এক এক ফ্লাটের মালিক এক একজন। যারা যারা ফ্লাট কিনছে তারা সবাই তাদের ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা করে।তারা নিজেদের সুবিধা ব্যাতিত মোটামুটি কখোনো ই অন্যের গুরুত্ব দেয় না খুব একটা। এবং কিছু ভাড়াটিয়া আছে যারা কিছু ফ্লাট মালিকের সাথে চামচার মতো মিশে এবং সেইম ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা করে। এবং অন্য ভাড়াটিয়া দের সাথে অহংকার দেখায়।
আমাদের যেকোন বিষয়ে তারা অযাচিত নাক গলায়। উনাদের অভিযোগ গুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অযৌক্তিক হয় এবং বুঝাই যায় তাদের ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা করে। আমাদের ফ্লাটের বাহিরে একটা বিড়াল খেতে আসে। ও খুব সম্ভবত কারো পালা বিড়াল, খুব অসহায় বিড়াল। ঐ বিড়াল কে আমাদের বাসার সামনে এসে কান্না করে খেতে চায়। খুব আস্তে আস্তে ডাকে আমাদের একটু খাবারের জন্য। আমরা ওকে খাবার দেই খুব ভয়ে ভয়ে যে পাশের ভাড়াটিয়া এবং উপরের ফ্লাট মালিক রা ঝামেলা করে কি না। পাশের বাসার ভাড়াটিয়া এবং উপরের ফ্লাট মালিকের কোনো সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও তারা ঝামেলা করে কোনো আমরা বিড়াল কে খেতে দেই। তারা ঝগড়া করে, অসামাজিক লোকের মতো গায়ে পরে আসে। এবং ক্ষমতা দেখায়। তাদের ভাষ্যমতে আমার ফ্লাটের সামনে আমি বিড়াল কে ভাত এবং পানি দিতে পারবো না কারন মোটকথা তাদের পছন্দ হয় না। আর তাদের বাচ্চা রা বিড়াল দেখলে দুস্টামি করতে চায়, বাচ্চা মানুষের যেভাবে বিড়াল দেখতে করে পাগলামি তেমন টা করে। আর বিড়াল টা কালো। উনাদের বাচ্চা রা বিড়াল দেখে মজা করে চিল্লাইয়া চিল্লাইয়া দুস্টামি করে ,অথচ তাদের অন্য কোনো সমস্যা নাই। না তাদের বাসার সামনে গিয়ে বসে থাকে, না খাওয়ার জন্য ডিস্টার্ব করে, না প্রসাব করে,,, মোট কথা স্বাভাবিক নজরে প্রতিবেশির হক নষ্ট হওয়ার মতো তেমন কিছু ই না। তবুও তারা অনেক সমস্যা করে।
এখন প্রশ্ন হলো আমার খাবার দেয়াতে তারা যে ঝামেলা করে এবং তাদের ভালো লাগে না হ্যান তেন, এতে করে আমি যদি তবুও খাবার দেই তাহলে কি উনাদের হক নষ্ট হবে? এইক্ষেত্রে কি করবো? বিড়াল টা অনেক অসহায়।। কেউ খাবার দেয় না আমাদের কাছে আসে একটু যেনো খাবার দেই।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ( دخلتِ امرأةٌ النارَ في هِرَّة حبَسَتْها، لا هي أطعَمَتْها ولا هي ترَكَتْها تأكُلُ مِن خَشَاش الأرض حتى ماتَتْ )
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।(সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4980

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি বিড়ালকে খেতে দিতে পারবেন।এতেকরে প্রতিবেশীর হক নষ্ট হওয়ার কথা না। এদ্বারা তাদের কোনো হক নষ্ট হচ্ছে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...