بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
জন্মদিন পালন করলে বিধর্মীদের সাথে সাদৃশ্যতা অবলম্বন হয়, তাই ইসলামে
জন্মদিন পালন জায়েজ নেই,
এবং এই উপলক্ষে খাবার খাওয়াও জায়েজ নেই। হাদীস শরীফে
এসেছেঃ
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ
عَنْ جَدِّه رَضِىَ اللهُ عَنْهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ قَالَ:لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لَا تَشَبَّهُوا
بِالْيَهُودِ وَلَا بِالنَّصَارٰى فَإِنَّ تَسْلِيمَ الْيَهُودِ الْإِشَارَةُ
بِالْأَصَابِعِ وَتَسْلِيمَ النَّصَارَى الْإِشَارَةُ بِالْأَكُفِّ. رَوَاهُ
التِّرْمِذِىُّ
আমর ইবনু শু‘আয়ব তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর পিতামহ হতে বর্ণনা
করেন যে, রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের ছাড়া অন্য জাতির সাথে সাদৃশ্য
করে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। তোমরা ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের সাথে সাদৃশ্য করো না।
কেননা ইয়াহূদীরা অঙ্গুলির ইশারায় সালাম দেয়, আর খ্রিষ্টানরা হাতের তালু দ্বারা সালাম
করে। ( তিরমিযী ২৬৯৫, সিলসিলাতুস্
সহীহাহ্ ২১৯৪, আল
জামি‘উস্ সগীর ৯৫৬৫,
সহীহুল জামি‘ ৫৪৩৪,
আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৭৩৮০, ইরওয়া ১২৭০, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৭২৩।)
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى
اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ "
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ
করবে, সে
তাদেরই অন্তরভুক্ত (হয়ে যাবে)। (আবূ দাঊদ ৪০৩১, মুসনাদে আহমাদে এরূপ শব্দে হাদীসটি নেই; আল জামি‘উস্
সগীর ১১০৯৪, সহীহুল
জামি‘ ৬১৪৯, ইরওয়া
২৬৯১।
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/9629/
★প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি ভাই/বোন,
অজ্ঞতা বশত: কোন আত্মীয়, প্রতিবেশী বা বন্ধু যদি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে
আহ্বান করে তাহলে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। তবে তাদের নিকট সত্যের বাণী তুলে ধরার স্বার্থে
সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা করতে হবে।
অনুরূপভাবে তারা যদি এ সব অনুষ্ঠানের খাবার বাড়িতে দিয়ে যায়
তাহলে উক্ত খাবার খাওয়া কিছু আলেমের মতে নাজায়েজ নয় যদি খাবারটা হালাল
হয়। তবে অধিকাংশ উলামায়ে কেরামের মতে যথাসম্ভব তা না খাওয়া
এবং এটিই তাক্বওয়ার অধিক নিকটবর্তী। কারণ তা বিদআতি উপলক্ষে বানানো
হয়েছে। এটাই বিদআতের প্রতি ঘৃণা বোধের পূর্ণাঙ্গ বহিঃপ্রকাশ। তবে মুখের সামনে ফেরত
দিলে যদি সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে (যা তাদের নিকট দাওয়াত পৌঁছানোর ক্ষেত্রে
প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে) তাহলে তাদের মন রক্ষার্থে তা গ্রহণ করবে। কিন্তু নিজেরা
না খেয়ে কোন গরিব মানুষকে দিয়ে দিবে, যেন এই আল্লাহর হালাল রিজিকটা নষ্ট না
হয়। সেই
সাথে সময় ও সুযোগ অনুযায়ী বুঝাতে হবে যে, তাদের এ ধরণের কার্যক্রম বিদআত। বিভিন্ন অজুহাতে
আপনি তা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন ইনশাআল্লাহ। তাদেরকে জানানো জরুরী
নয় যে, আপনি তা ভক্ষণ করেননি।
এসম্পর্কে আরো জানুন:
https://ifatwa.info/9629/
https://ifatwa.info/67960/