بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/6487/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিয়ের স্বাভাবিক বিধান হল, ইজাব ও কবুল
এবং দুই জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ে হওয়া।সাক্ষী উপস্থিত না থাকলে বিয়েই হবে না।
আল্লামা হাসক্বফী রা বলেনঃ
(وَ) شُرِطَ (حُضُورُ) شَاهِدَيْنِ(حُرَّيْنِ) أَوْ حُرٌّ
وَحُرَّتَيْن (مُكَلَّفَيْنِ سَامِعَيْنِ قَوْلَهُمَا مَعًا)
দুজন স্বাধীন পুরুষ অথবা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দুজন স্বাধীন
মহিলা সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থাকতে হবে,যারা শরীয়তের
বিধি-বিধান পালনে দায়বদ্ধ থাকবে,এবং একসাথে উভয় (স্বামী-স্ত্রী) র ইজাব-কবুল শ্রবণ করবে।(আদ্দুরুল
মুখতার-৩/২২)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে....
(ومنها) سماع الشاهدين كلامهما معا هكذا في فتح القدير فلا ينعقد
بشهادة نائمين إذا لم يسمعا كلام العاقدين،
দুনু সাক্ষীকে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ইজাব-কবুল শুনতে হবে,(ফাতহুল ক্বাদীর)সুতরাং
না শুনার ধরুণ ঘুমন্ত ব্যক্তির সাক্ষ্য দ্বারা বিবাহ সংগঠিত হবে না। (১/২৬৮)
বিয়েতে দু'জন পুরুষ সাক্ষী অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষী থাকতে
হবে,নতুবা
বিয়েই হবে না।পুরুষ ব্যতীত শুধামাত্র মহিলাদের সাক্ষ্য দ্বারা বিয়ে সংগঠিত হবে না।হিজড়া
সাক্ষী হিসেবে থাকতে পারবে।তবে তারা মহিলাদের মত দু'জন একজন পুরুষের সমকক্ষ হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আকাশ-বাতাস, পাহাড়-পর্বতকে সাক্ষী বানিয়ে যদি কেউ বিয়ে করে সেই বিবাহ শুদ্ধ হবে
না। বিয়ে বিশুদ্ধ হবার জন্য শর্ত হল, দুইজন মুসলমান প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ বা
একজন পুরুষ ও দুইজন নারী সাক্ষী হতে হবে।
বিধায় প্রশ্নেল্লিখিত বিবাহ সহিহ হয়নি। কারণ একজন মাত্র সাক্ষী
ছিল। অথচ বিবাহ সহিহ হওয়ার জন্য দুইজন পুরুষ সাক্ষী অথবা একজন পুরুষ
সাক্ষী ও দুইজন মহিলা সাক্ষী থাকা আবশ্যক যেমনটি পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং এ বিয়ে বিশুদ্ধ হয়নি।
একসাথে থাকলে যিনার গোনাহ হবে। সর্বাবস্থায় পূর্বের কৃত হারাম রিলেশনের জন্য
খালেস অন্তরে ইস্তেগফার করা তার উপর আবশ্যক। এসম্পর্কে আরো জানুন: https://ifatwa.info/69174/