আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
"أعيذكما بكلمات الله *التامة* من كل شيطان وهامة ومن كل عين لامة"

 أعيذكما بكلمات الله *التامات* من كل شيطان وهامة ومن كل عين لامة.

বদ নজর থেকে বাচ্চাদের হেফাজতের উক্ত দোয়ার মধ্যে দুই ধরনের এবারত পাওয়া যায়
কিছু জায়গায় পাওয়া যায় التامة (মীমের সাথে আলিফ ছাড়া), আবার কিছু জায়গায় পাওয়া যায় التامات (মীমের সঙ্গে আলিফ সহ) , কোনটা সঠিক? কোনটার অর্থ কি হয়?

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِيْ شَيْبَةَ حَدَّثَنَا جَرِيْرٌ عَنْ مَنْصُوْرٍ عَنْ الْمِنْهَالِ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُعَوِّذُ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ وَيَقُوْلُ إِنَّ أَبَاكُمَا كَانَ يُعَوِّذُ بِهَا إِسْمَاعِيْلَ وَإِسْحَاقَ أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান এবং হুসাইন (রাঃ)-এর জন্য নিম্নোক্ত দু‘আ পড়ে পানাহ চাইতেন আর বলতেন, তোমাদের পিতা ইবরাহীম (আঃ) ইসমাঈল ও ইসহাক (আঃ)-এর জন্য দু‘আ পড়ে পানাহ চাইতেন। আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমার দ্বারা প্রত্যেক শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং প্রত্যেক কুদৃষ্টির অনিষ্ট হতে পানাহ চাচ্ছি। (বুখারী শরীফ ৩৩৭১.আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩১২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩১২৯)

وَعَن خَوْلَةَ بِنْتِ حَكِيمٍ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَنْ نَزَلَ مَنْزِلًا فَقَالَ: أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ لَمْ يَضُرَّهُ شَيْءٌ حَتَّى يرحل من منزله ذَلِك . رَوَاهُ مُسلم

খাওলাহ্ বিনতু হাকীম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কোন জায়গায় অবতরণ করে বলে, ’’আ’ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্ তা-ম্মা-তি মিন্ শাররি মা- খলাক’’ (অর্থাৎ- আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালামসমূহের মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্ট সকল কিছুর অনিষ্টতা হতে আশ্রয় চাই)। তাহলে তাকে কোন জিনিস অনিষ্ট করতে পারবে না তার ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত।

(মুসলিম ২৭০৮, তিরমিযী ৩৪৩৭, ইবনু মাজাহ ৩৫৪৭, মুয়াত্ত্বা মালিক ৩৫৮৪, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯৪০৯, আহমাদ ২৭১২২, ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫৬৬, মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৬০৩, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১০৩২২, ইবনু হিব্বান ২৭০০, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ১৮০, সহীহাহ্ ৩৯৮০, সহীহ আত্ তারগীব ৩১৩০, সহীহ আল জামি‘ ৮০৫।)


وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَقِيتُ مِنْ عَقْرَبٍ لَدَغَتْنِي الْبَارِحَةَ قَالَ: أَمَا لَوْ قُلْتَ حِينَ أَمْسَيْتَ: أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خلق لم تَضُرك . رَوَاهُ مُسلم


আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! গত রাতে আমি বিচ্ছুর দংশনে আক্রান্ত হয়েছি। এটা শুনে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি যদি সন্ধ্যার পর বলতে, ’’আ’ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্ তা-ম্মা-তি মিন্ শাররি মা- খলাক’’ (অর্থাৎ- আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালামসমূহের মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্ট সকল কিছুর অনিষ্টতা হতে আশ্রয় চাই)- তাহলে তোমাকে তা ক্ষতিসাধন করতে পারত না।

মুসলিম ২৭০৯, ইবনু হিব্বান ১০২০, সহীহ আত্ তারগীব ৬৫২, মুয়াত্ত্বা মালিক ৩৫০১, সহীহ আল জামি‘ ১৩১৮।

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا فَزِعَ أَحَدُكُمْ فِي النَّوْمِ فَلْيَقُلْ: أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونَ فَإِنَّهَا لَنْ تَضُرَّهُ «وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو يُعَلِّمُهَا مَنْ بَلَغَ مِنْ وَلَدِهِ وَمَنْ لَمْ يَبْلُغْ مِنْهُمْ كَتَبَهَا فِي صَكٍّ ثُمَّ عَلَّقَهَا فِي عُنُقِهِ»

’আমর ইবনু শু’আয়ব তাঁর পিতার মাধ্যমে তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন ঘুমের মধ্যে ভয় পায় সে যেন বলে,

’’আ’ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্ তা-ম্মা-তি মিন্ গাযাবিহী ওয়া ’ইকাবিহী ওয়া শার্রি ’ইবা-দিহী ওয়ামিন্ হামাযা-তিশ্ শায়া-ত্বীনি ওয়া আন্ ইয়াহ্যুরূন’’

(অর্থাৎ- আমি আল্লাহর পূর্ণ বাক্যসমূহের মাধ্যমে আশ্রয় চাই, আল্লাহর ক্রোধ ও তার শাস্তি হতে, তাঁর বান্দাদের অপকারিতা হতে এবং শয়তানের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব হতে। আর তারা যেন আমার কাছে উপস্থিত হতে না পারে।)। এতে শয়তানের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব তার ক্ষতি করতে পারবে না। বর্ণনাকারী বলেনঃ ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর তাঁর সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যারা বয়ঃপ্রাপ্ত হতেন তাদেরকে এই দু’আ শিখিয়ে দিতেন, আর যারা অপ্রাপ্তবয়স্ক এ দু’আ কাগজে লিখে তাদের গলায় লটকিয়ে দিতেন।
(তিরমিযী ৩৫২৮, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৩৫৪৭, আবূ দাঊদ ৩৮৯৩, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ৪৯, সহীহ আল জামি‘ ৭০১।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
التامة (মীমের সাথে আলিফ ছাড়া), আবার কিছু জায়গায় পাওয়া যায় التامات (মীমের সঙ্গে আলিফ সহ) উভয়টিই সঠিক।
,
উভয় পদ্ধতিই হাদীসে আছে। 
হাদীসে উভয়টির অর্থ একই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...